যশোরে ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি থাকবেন। এ সমাবেশ প্রতিহতের হুমকি দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগের এই হুমকি আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি ধামকি বাধা দিলেও বিএনপি এ সমাবেশ হতে পিছু হটবে না। যেকোন মূল্যেই এই সমাবেশ সফল করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার যশোরের বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জেলা বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে জেলা বিএনপি ইতোমধ্যে সব উপজেলা ও ইউনিয়নে প্রস্তুতিসভা সম্পন্ন করেছে। তবে সমাবেশের একদিন বাকি থাকলেও জেলা প্রশাসন এখনও সমাবেশ স্থলের অনুমতি দেয়নি। বিএনপির জনসভাকে ঘিরে যখন সব প্রস্তুতি চলছে, সেই মুহূর্তে যশোর আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করার। গত কয়েকদিনে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের এমন বক্তব্য আর সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া নিয়ে বিএনপির সার্বিক অবস্থান সম্পর্কে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আগামী ২৭ মে যশোরে বিএনপির সমাবেশ করার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারে নেমেছে। এই গণগ্রেপ্তারের মধ্যেই আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দুঃখের বিষয় আমরা সমাবেশ স্থলের অনুমতি চাইলেও জেলা প্রশাসন এখনও অনুমতি দেয়নি। প্রথমে আমরা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও টাউন হল ময়দানে অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু ঈদগাহে ঈদের প্যান্ডেল থাকায় অনুমতি দেয়নি। আর টাউন হল ময়দানে আমাদের সমাবেশের অনুমতি চাইলে না দিয়ে সরকার দলীয় শ্রমিক সংগঠনটিকে অনুমতি দিয়েছে। এই সমাবেশ প্রশাসন অনুমতি দিলেও করব, না দিলেও করব। আগামী ২৭ মে শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে সমাবেশ করা হবে। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা হুমকি উপেক্ষা করেই এই সমাবেশ সফল করা হবে। আমাদের দাবি সাধারণ জনগণের দাবি। সেই দাবি আদায়ে আমরা নৈতিক অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াব না। যশোরে সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান করছে। তাদের সেই হুমকিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিচলিত না।
আওয়ামী লীগ বলছে- প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তারা পাহারা দেবে। সে ক্ষেত্রে কোন সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান আমাকে সভা সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। সেই সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন; কিংবা সংবিধান সমন্বিত রাখবার জন্য যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা যশোরে দায়িত্ব পালন করছেন তারা নিশ্চয়ই এটা বিবেচনা করবে। দায়িত্বটা তাদের। আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকারের বাইরে কিছু বলছি না। আওয়ামী লীগ সব জায়গায় সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছে। প্রশাসন দিয়ে চেষ্টা করেছে, গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে দিয়ে চেষ্টা করেছে তারা তো কোন পথই বাকি রাখেনি। নতুন কোন পথ খোলাও রাখেনি। আমরা সংঘাত এড়িয়েই সমাবেশে করব। বিএনপি দায়িত্বশীল সংগঠন। সংবিধানে যে অধিকার রয়েছে; সেই অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি সন্ত্রাসী রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, সন্ত্রাসের রাজনীতি পছন্দ করি না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকিতে বিচলিত না। তারা তো সমাবেশ করতে দেবেন না বলেই প্রশাসন দিয়ে এখনও সমাবেশস্থলের অনুমতি দিতে দেননি। আর পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছেন। আমাদের রাজপথে প্রতিবন্ধকতা আসবেই; আমরা সেটি পার করেই সমাবেশ সফল করব।
প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ প্রমুখ।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, একই দিনে দুটি সমাবেশে কোন ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা দেখছি না। তারপরও সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩
যশোরে ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি থাকবেন। এ সমাবেশ প্রতিহতের হুমকি দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগের এই হুমকি আমলে নিচ্ছে না বিএনপি। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি ধামকি বাধা দিলেও বিএনপি এ সমাবেশ হতে পিছু হটবে না। যেকোন মূল্যেই এই সমাবেশ সফল করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী শনিবার যশোরের বিক্ষোভ সমাবেশ করবে জেলা বিএনপি। সমাবেশ সফল করতে জেলা বিএনপি ইতোমধ্যে সব উপজেলা ও ইউনিয়নে প্রস্তুতিসভা সম্পন্ন করেছে। তবে সমাবেশের একদিন বাকি থাকলেও জেলা প্রশাসন এখনও সমাবেশ স্থলের অনুমতি দেয়নি। বিএনপির জনসভাকে ঘিরে যখন সব প্রস্তুতি চলছে, সেই মুহূর্তে যশোর আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করার। গত কয়েকদিনে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের এমন বক্তব্য আর সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া নিয়ে বিএনপির সার্বিক অবস্থান সম্পর্কে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, আগামী ২৭ মে যশোরে বিএনপির সমাবেশ করার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারে নেমেছে। এই গণগ্রেপ্তারের মধ্যেই আমরা সব প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দুঃখের বিষয় আমরা সমাবেশ স্থলের অনুমতি চাইলেও জেলা প্রশাসন এখনও অনুমতি দেয়নি। প্রথমে আমরা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও টাউন হল ময়দানে অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু ঈদগাহে ঈদের প্যান্ডেল থাকায় অনুমতি দেয়নি। আর টাউন হল ময়দানে আমাদের সমাবেশের অনুমতি চাইলে না দিয়ে সরকার দলীয় শ্রমিক সংগঠনটিকে অনুমতি দিয়েছে। এই সমাবেশ প্রশাসন অনুমতি দিলেও করব, না দিলেও করব। আগামী ২৭ মে শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে সমাবেশ করা হবে। সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা হুমকি উপেক্ষা করেই এই সমাবেশ সফল করা হবে। আমাদের দাবি সাধারণ জনগণের দাবি। সেই দাবি আদায়ে আমরা নৈতিক অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াব না। যশোরে সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হুমকিমূলক বক্তব্য প্রদান করছে। তাদের সেই হুমকিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিচলিত না।
আওয়ামী লীগ বলছে- প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তারা পাহারা দেবে। সে ক্ষেত্রে কোন সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান আমাকে সভা সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। সেই সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন; কিংবা সংবিধান সমন্বিত রাখবার জন্য যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা যশোরে দায়িত্ব পালন করছেন তারা নিশ্চয়ই এটা বিবেচনা করবে। দায়িত্বটা তাদের। আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকারের বাইরে কিছু বলছি না। আওয়ামী লীগ সব জায়গায় সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছে। প্রশাসন দিয়ে চেষ্টা করেছে, গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে দিয়ে চেষ্টা করেছে তারা তো কোন পথই বাকি রাখেনি। নতুন কোন পথ খোলাও রাখেনি। আমরা সংঘাত এড়িয়েই সমাবেশে করব। বিএনপি দায়িত্বশীল সংগঠন। সংবিধানে যে অধিকার রয়েছে; সেই অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি সন্ত্রাসী রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, সন্ত্রাসের রাজনীতি পছন্দ করি না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হুমকিতে বিচলিত না। তারা তো সমাবেশ করতে দেবেন না বলেই প্রশাসন দিয়ে এখনও সমাবেশস্থলের অনুমতি দিতে দেননি। আর পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছেন। আমাদের রাজপথে প্রতিবন্ধকতা আসবেই; আমরা সেটি পার করেই সমাবেশ সফল করব।
প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ প্রমুখ।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, একই দিনে দুটি সমাবেশে কোন ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা দেখছি না। তারপরও সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।