alt

বিএনপি কোনো বিদেশী শক্তির অঙ্গুলি হেলানের রাজনীতি করে না: মঈন খান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি বলে বিভেদ তৈরি করে আজীবন ক্ষমতায় থেকে শাসন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন মঈন খান। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমতার লোভে বিভাজনের মাধ্যমে এই জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐক্যের রাজনীতি করেছেন, বিভাজনের রাজনীতি করেননি, যেটা আজকে আওয়ামী লীগ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা বিভাজন ভুলে গিয়ে নতুন করে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করি। রাজনৈতিক হানাহানি এবং দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে আদর্শ সেটিতে দীক্ষিত হয়ে এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

গতকাল জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি, বিদেশকে নিয়ে রাজনীতি করি না। এমনকি বিএনপি কোনো বিদেশি শক্তির অঙ্গুলি হেলানের রাজনীতিও করে না, যেটা সরকার করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই আদর্শ থেকে সরকার অনেক দূরে সরে গেছে। ২৮ অক্টোবরে পর আমাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করে সরকার একদলীয়ভাবে সাজানো নাটক মঞ্চায়িত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলদেশকে সত্যিকারভাবে একটি গণমানুষের দেশ হিসেবে পুনরায় সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে যেতে হবে। বর্তমান সরকার দেশে ২২০টি পরিবার সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের পরিবর্তে একটি অলিগার (লুটেরা-চোর) সৃষ্টি করেছে। যারা দেশের সম্পদ কুক্ষিগত করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে আজ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ছিটেফোঁটাও নেই। গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী সরকার দুঃশাসনের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভোটারবিহীন অবৈধ ক্ষমতার গরিমায় মন্ত্রীরা জুলুমের তীব্রতা বৃদ্ধির হুমকি দিয়ে জনসমাজে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।’

রিজভী বলেন, ‘ডামি সরকারের’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে সংসদে আইন আনা হবে। অলরেডি একটি আইন আছে যেটা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, আরও কিছু আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সংসদে আসবে’। অর্থাৎ নাগরিকদের ওপর নজরদারি আরও তীব্র হবে, এটি সমগ্র জাতিকে পর্যবেক্ষণে রাখার এক নতুন কালো আইন প্রণয়নের আলামত। মূলত, সরকারের দুঃশাসন, লুটপাট ও বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোনো কথা বলতে না পারে সেজন্যই একের পর এক ড্রাকোনিয়ান (কঠোর) আইন তৈরি করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নানাভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের মিথ্যা জয়গান প্রচার করছে। তারপরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশি ও বিদেশি কিছু মিডিয়ায় তাদের অনেক অপকর্ম প্রকাশিত হয়ে পড়ছে। সেটিও যাতে প্রকাশ হতে না পারে সেজন্য কিছুদিন আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার ডামি নির্বাচনে জনগণ কতৃর্ক প্রত্যাখ্যাত হয়ে মানুষের কণ্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে আইনমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা না করে সরকার আবারো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে যখন ইচ্ছা বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। এই স্বেচ্ছাচারী আইন অনুমোদন করিয়ে জনগণকে নিপীড়ণ ও ফতুর করার নীতি গ্রহণ করেছে মাফিয়া সিন্ডিকেট সরকার। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা বৃদ্ধি কার্যকর হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণমানুষ, ভোক্তা অধিকার কিংবা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যুক্তি-অনুরোধ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে যখনই সরকারের টাকায় টান পড়ছে তখনই গ্যাস বিদ্যুৎ পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। সরকার আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে সাধারণ জনগণের পকেট শূন্য করার নীতি গ্রহণ করেছে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার বেগমপাড়ায় দামি বাড়ি-গাড়ির জন্য টাকা দরকার হলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী আগ্রাসী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। গ্যাস সংকট জিইয়ে রেখে এলএনজির ব্যবসার দ্বার খোলা হয়েছে। সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরছেন। এটা স্পষ্ট যে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের লোকসান আসলে সংশ্নিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বশীলদের অব্যবস্থাপনা, অবহেলা আর দুর্নীতির ফল। কিন্তু এর দায় মেটাতে হচ্ছে জনগণকে।’

গাইবান্ধা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান রিজভী। একই সঙ্গে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানান তিনি।

ইসলামী কয়েকটি দলের যুগপৎ কর্মসূচি ‘গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়’: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লির ভাবনা: কেউ বলছে ‘অপেক্ষা করো এবং দেখো’, অনেকের দ্বিমত

রাজধানীতে নিষিদ্ধ আ’লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ১৮

ছবি

পিআর, সংস্কার দাবিতে ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ

ছবি

পিআর পদ্ধতিতে গণভোটের দাবি জামায়াতে ইসলামী

ছবি

বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য: যুগপৎ আন্দোলন ‘গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়’

ছবি

নরসিংদী বিএনপিতে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১, আহত ৫

ছবি

প্রবাসী ভোটারদের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ আসছে, ১৫তম সংসদ নির্বাচনে ডাকযোগে ভোটের ব্যবস্থা

ছবি

১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসম্মেলনের ডাক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের

ছবি

রাজনৈতিক সরকার না আসা পর্যন্ত অস্থিতিশীলতা কাটবে না: আমীর খসরু

ছবি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে ক্ষুব্ধ ফয়জুল করীম

ছবি

প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যম সংস্কার হয়নি, বললেন নাহিদ

ছবি

ঢাকায় আজ জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোট প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো

ছবি

রাজশাহীতে এনসিপি নেত্রীর আকস্মিক পদত্যাগ

ছবি

জামায়াতসহ কয়েক দলের যুগপৎ আন্দোলনের জবাব রাজপথেই দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

ছবি

খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিনকে আহ্বায়ক করে এইবির নতুন কমিটি

ছবি

নাশকতার দুই মামলা থেকে ফখরুল ও আব্বাসসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি

ছবি

এখন কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

অভিন্ন দাবিতে তিন ইসলামী দলের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

যুগপতে পাঁচ দাবিতে জামায়াতের তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ সনাতন যোগ দিলেন জামায়াতে

ছবি

তারেকের নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বাবরের আলোচনা

ছবি

যুগপতে কারা থাকছে ঠিক হয়নি, তবে খেলাফতের কর্মসূচি ঘোষণা

জামায়াতের আযাদ: মুক্তিযুদ্ধ না মানলে ‘বাংলাদেশ অস্বীকার করা হবে’

ছবি

জুলাই সনদের গেরো: এবার আদালতের মত নিতে বলল বিএনপি

ছবি

‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরে রাজি বিএনপি, তবে আইনি ভিত্তি নিয়ে মতভেদ

ছবি

ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রশ্ন তুললেন রিজভী

ছবি

মৌলবাদীরা ‘বেহেশতের টিকেট’ বিক্রি করছে: বিএনপির গয়েশ্বর

ছবি

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের তিন দিনের কর্মসূচি

ছবি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবার তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

ছবি

রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে বাস্তুতন্ত্রও নিরাপদ থাকবে: তারেক রহমান

ছবি

সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে পশু-পাখি ও বাস্তুতন্ত্রের অধিকার নিশ্চিত হবে: তারেক রহমান

ছবি

বসুন্ধরায় গোপন বৈঠক: ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগ নেতার দোষ স্বীকার

tab

বিএনপি কোনো বিদেশী শক্তির অঙ্গুলি হেলানের রাজনীতি করে না: মঈন খান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি বলে বিভেদ তৈরি করে আজীবন ক্ষমতায় থেকে শাসন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন মঈন খান। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমতার লোভে বিভাজনের মাধ্যমে এই জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐক্যের রাজনীতি করেছেন, বিভাজনের রাজনীতি করেননি, যেটা আজকে আওয়ামী লীগ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা বিভাজন ভুলে গিয়ে নতুন করে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করি। রাজনৈতিক হানাহানি এবং দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে আদর্শ সেটিতে দীক্ষিত হয়ে এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

গতকাল জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি, বিদেশকে নিয়ে রাজনীতি করি না। এমনকি বিএনপি কোনো বিদেশি শক্তির অঙ্গুলি হেলানের রাজনীতিও করে না, যেটা সরকার করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই আদর্শ থেকে সরকার অনেক দূরে সরে গেছে। ২৮ অক্টোবরে পর আমাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করে সরকার একদলীয়ভাবে সাজানো নাটক মঞ্চায়িত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলদেশকে সত্যিকারভাবে একটি গণমানুষের দেশ হিসেবে পুনরায় সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে যেতে হবে। বর্তমান সরকার দেশে ২২০টি পরিবার সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের পরিবর্তে একটি অলিগার (লুটেরা-চোর) সৃষ্টি করেছে। যারা দেশের সম্পদ কুক্ষিগত করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে আজ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ছিটেফোঁটাও নেই। গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী সরকার দুঃশাসনের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভোটারবিহীন অবৈধ ক্ষমতার গরিমায় মন্ত্রীরা জুলুমের তীব্রতা বৃদ্ধির হুমকি দিয়ে জনসমাজে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।’

রিজভী বলেন, ‘ডামি সরকারের’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে সংসদে আইন আনা হবে। অলরেডি একটি আইন আছে যেটা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, আরও কিছু আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সংসদে আসবে’। অর্থাৎ নাগরিকদের ওপর নজরদারি আরও তীব্র হবে, এটি সমগ্র জাতিকে পর্যবেক্ষণে রাখার এক নতুন কালো আইন প্রণয়নের আলামত। মূলত, সরকারের দুঃশাসন, লুটপাট ও বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোনো কথা বলতে না পারে সেজন্যই একের পর এক ড্রাকোনিয়ান (কঠোর) আইন তৈরি করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নানাভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের মিথ্যা জয়গান প্রচার করছে। তারপরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশি ও বিদেশি কিছু মিডিয়ায় তাদের অনেক অপকর্ম প্রকাশিত হয়ে পড়ছে। সেটিও যাতে প্রকাশ হতে না পারে সেজন্য কিছুদিন আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার ডামি নির্বাচনে জনগণ কতৃর্ক প্রত্যাখ্যাত হয়ে মানুষের কণ্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে আইনমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা না করে সরকার আবারো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে যখন ইচ্ছা বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। এই স্বেচ্ছাচারী আইন অনুমোদন করিয়ে জনগণকে নিপীড়ণ ও ফতুর করার নীতি গ্রহণ করেছে মাফিয়া সিন্ডিকেট সরকার। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা বৃদ্ধি কার্যকর হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণমানুষ, ভোক্তা অধিকার কিংবা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যুক্তি-অনুরোধ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে যখনই সরকারের টাকায় টান পড়ছে তখনই গ্যাস বিদ্যুৎ পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। সরকার আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে সাধারণ জনগণের পকেট শূন্য করার নীতি গ্রহণ করেছে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার বেগমপাড়ায় দামি বাড়ি-গাড়ির জন্য টাকা দরকার হলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী আগ্রাসী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। গ্যাস সংকট জিইয়ে রেখে এলএনজির ব্যবসার দ্বার খোলা হয়েছে। সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরছেন। এটা স্পষ্ট যে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের লোকসান আসলে সংশ্নিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বশীলদের অব্যবস্থাপনা, অবহেলা আর দুর্নীতির ফল। কিন্তু এর দায় মেটাতে হচ্ছে জনগণকে।’

গাইবান্ধা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান রিজভী। একই সঙ্গে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানান তিনি।

back to top