alt

বিএনপি কোনো বিদেশী শক্তির অঙ্গুলি হেলানের রাজনীতি করে না: মঈন খান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি বলে বিভেদ তৈরি করে আজীবন ক্ষমতায় থেকে শাসন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন মঈন খান। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমতার লোভে বিভাজনের মাধ্যমে এই জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐক্যের রাজনীতি করেছেন, বিভাজনের রাজনীতি করেননি, যেটা আজকে আওয়ামী লীগ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা বিভাজন ভুলে গিয়ে নতুন করে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করি। রাজনৈতিক হানাহানি এবং দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে আদর্শ সেটিতে দীক্ষিত হয়ে এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

গতকাল জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি, বিদেশকে নিয়ে রাজনীতি করি না। এমনকি বিএনপি কোনো বিদেশি শক্তির অঙ্গুলি হেলানের রাজনীতিও করে না, যেটা সরকার করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই আদর্শ থেকে সরকার অনেক দূরে সরে গেছে। ২৮ অক্টোবরে পর আমাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করে সরকার একদলীয়ভাবে সাজানো নাটক মঞ্চায়িত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলদেশকে সত্যিকারভাবে একটি গণমানুষের দেশ হিসেবে পুনরায় সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে যেতে হবে। বর্তমান সরকার দেশে ২২০টি পরিবার সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের পরিবর্তে একটি অলিগার (লুটেরা-চোর) সৃষ্টি করেছে। যারা দেশের সম্পদ কুক্ষিগত করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে আজ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ছিটেফোঁটাও নেই। গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী সরকার দুঃশাসনের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভোটারবিহীন অবৈধ ক্ষমতার গরিমায় মন্ত্রীরা জুলুমের তীব্রতা বৃদ্ধির হুমকি দিয়ে জনসমাজে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।’

রিজভী বলেন, ‘ডামি সরকারের’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে সংসদে আইন আনা হবে। অলরেডি একটি আইন আছে যেটা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, আরও কিছু আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সংসদে আসবে’। অর্থাৎ নাগরিকদের ওপর নজরদারি আরও তীব্র হবে, এটি সমগ্র জাতিকে পর্যবেক্ষণে রাখার এক নতুন কালো আইন প্রণয়নের আলামত। মূলত, সরকারের দুঃশাসন, লুটপাট ও বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোনো কথা বলতে না পারে সেজন্যই একের পর এক ড্রাকোনিয়ান (কঠোর) আইন তৈরি করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নানাভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের মিথ্যা জয়গান প্রচার করছে। তারপরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশি ও বিদেশি কিছু মিডিয়ায় তাদের অনেক অপকর্ম প্রকাশিত হয়ে পড়ছে। সেটিও যাতে প্রকাশ হতে না পারে সেজন্য কিছুদিন আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার ডামি নির্বাচনে জনগণ কতৃর্ক প্রত্যাখ্যাত হয়ে মানুষের কণ্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে আইনমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা না করে সরকার আবারো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে যখন ইচ্ছা বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। এই স্বেচ্ছাচারী আইন অনুমোদন করিয়ে জনগণকে নিপীড়ণ ও ফতুর করার নীতি গ্রহণ করেছে মাফিয়া সিন্ডিকেট সরকার। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা বৃদ্ধি কার্যকর হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণমানুষ, ভোক্তা অধিকার কিংবা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যুক্তি-অনুরোধ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে যখনই সরকারের টাকায় টান পড়ছে তখনই গ্যাস বিদ্যুৎ পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। সরকার আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে সাধারণ জনগণের পকেট শূন্য করার নীতি গ্রহণ করেছে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার বেগমপাড়ায় দামি বাড়ি-গাড়ির জন্য টাকা দরকার হলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী আগ্রাসী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। গ্যাস সংকট জিইয়ে রেখে এলএনজির ব্যবসার দ্বার খোলা হয়েছে। সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরছেন। এটা স্পষ্ট যে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের লোকসান আসলে সংশ্নিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বশীলদের অব্যবস্থাপনা, অবহেলা আর দুর্নীতির ফল। কিন্তু এর দায় মেটাতে হচ্ছে জনগণকে।’

গাইবান্ধা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান রিজভী। একই সঙ্গে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানান তিনি।

ছবি

উত্তরায় ‘প্রার্থীহীন’ ধানের শীষের মিছিল

ইনুর পুনর্বিবেচনার আবেদনে জুলাই বিপ্লবকে ‘সো কলড’ বলা রাষ্ট্রদ্রোহিতা: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

পাবনা-৪ আসনে এনসিপির মনোনয়ন ফরম নিলেন শিক্ষাবিদ এম এ মজিদ

ছবি

গণভোটে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ ছাড়া সংস্কার পূর্ণতা পাবে না: আমিনুল হক

ছবি

বাংলাদেশে ইসলামপন্থিরা অন্যের ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করতে চায় না: মামুনুল হক

ছবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল

পলাশে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ছবি

দেশের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অনির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নেই: তারেক

ছবি

সাংবাদিকদের ‘দলাদলি, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির’ সমালোচনায় ফখরুল

ছবি

পোরশায় বিএনপির নির্বাচনী জনসভা

ছবি

নারীরাই ধানের শীষের অন্যতম চালিকা শক্তি : সেলিমা রহমান

ছবি

সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি

কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো আইন থাকবে না: সালাহউদ্দিন

ছবি

প্রশাসনকে কীভাবে দখল করতে হবে, নেতারা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

।কোরআন–সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন থাকবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

মনোনয়ন পরিবর্তনে ব্যতিক্রমী রিভিউ!

ছবি

শ্রীনগরে এক মঞ্চে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩ নেতা

ছবি

নির্বাচন: প্রশাসন ‘আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে’, বললেন জামায়াতের শাহজাহান চৌধুরী

ছবি

আ’লীগের বিচারের দাবিতে এনসিপির মিছিল

ছবি

নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

রাজনৈতিক চেতনা ব্যবসার পরিণতি শুভ হয় না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

‘জামায়াতের টিকেট কাটলে জান্নাতের টিকেট, কোথায় আছে প্রশ্ন ফখরুলের

ছবি

সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট, ‘জেনোসাইডের’ কথা বললেন জামায়াত আমির

ছবি

একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের নির্দেশ, প্রস্তুতিতে ইসি

ছবি

হাটহাজারীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি

সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে: তারেক রহমান

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে: বিএনপি

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুজ্জীবন: নতুন রায়ে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত

ছবি

বাগাতিপাড়ায় পুতুলের পক্ষে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

ছবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ৭ জনের লিখিত আবেদন

ছবি

ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না থাকলে বাতিল হবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট

ছবি

জুলাই গণহত্যার বিচার যেন প্রতীকী না হয়: সিপিবি

ছবি

নির্বাচনকে সামনে রেখে সিপিবির মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার

ছবি

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে আট দলের প্রস্তুতি, সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন

tab

বিএনপি কোনো বিদেশী শক্তির অঙ্গুলি হেলানের রাজনীতি করে না: মঈন খান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তি বলে বিভেদ তৈরি করে আজীবন ক্ষমতায় থেকে শাসন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন মঈন খান। তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমতার লোভে বিভাজনের মাধ্যমে এই জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐক্যের রাজনীতি করেছেন, বিভাজনের রাজনীতি করেননি, যেটা আজকে আওয়ামী লীগ করছে।’ তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা বিভাজন ভুলে গিয়ে নতুন করে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনীতি করি। রাজনৈতিক হানাহানি এবং দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে আদর্শ সেটিতে দীক্ষিত হয়ে এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’

গতকাল জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি, বিদেশকে নিয়ে রাজনীতি করি না। এমনকি বিএনপি কোনো বিদেশি শক্তির অঙ্গুলি হেলানের রাজনীতিও করে না, যেটা সরকার করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঈন খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই আদর্শ থেকে সরকার অনেক দূরে সরে গেছে। ২৮ অক্টোবরে পর আমাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করে সরকার একদলীয়ভাবে সাজানো নাটক মঞ্চায়িত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বাংলদেশকে সত্যিকারভাবে একটি গণমানুষের দেশ হিসেবে পুনরায় সৃষ্টি করতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে যেতে হবে। বর্তমান সরকার দেশে ২২০টি পরিবার সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের পরিবর্তে একটি অলিগার (লুটেরা-চোর) সৃষ্টি করেছে। যারা দেশের সম্পদ কুক্ষিগত করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে আজ মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ছিটেফোঁটাও নেই। গত ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর আওয়ামী সরকার দুঃশাসনের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভোটারবিহীন অবৈধ ক্ষমতার গরিমায় মন্ত্রীরা জুলুমের তীব্রতা বৃদ্ধির হুমকি দিয়ে জনসমাজে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।’

রিজভী বলেন, ‘ডামি সরকারের’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সংসদে বলেছেন, ‘মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে সংসদে আইন আনা হবে। অলরেডি একটি আইন আছে যেটা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, আরও কিছু আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সংসদে আসবে’। অর্থাৎ নাগরিকদের ওপর নজরদারি আরও তীব্র হবে, এটি সমগ্র জাতিকে পর্যবেক্ষণে রাখার এক নতুন কালো আইন প্রণয়নের আলামত। মূলত, সরকারের দুঃশাসন, লুটপাট ও বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোনো কথা বলতে না পারে সেজন্যই একের পর এক ড্রাকোনিয়ান (কঠোর) আইন তৈরি করছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলোকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নানাভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের মিথ্যা জয়গান প্রচার করছে। তারপরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দেশি ও বিদেশি কিছু মিডিয়ায় তাদের অনেক অপকর্ম প্রকাশিত হয়ে পড়ছে। সেটিও যাতে প্রকাশ হতে না পারে সেজন্য কিছুদিন আগে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এবার ডামি নির্বাচনে জনগণ কতৃর্ক প্রত্যাখ্যাত হয়ে মানুষের কণ্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে আইনমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা না করে সরকার আবারো বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে যখন ইচ্ছা বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে সরকার। এই স্বেচ্ছাচারী আইন অনুমোদন করিয়ে জনগণকে নিপীড়ণ ও ফতুর করার নীতি গ্রহণ করেছে মাফিয়া সিন্ডিকেট সরকার। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ১ মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা বৃদ্ধি কার্যকর হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণমানুষ, ভোক্তা অধিকার কিংবা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যুক্তি-অনুরোধ কোনো কিছুরই তোয়াক্কা না করে যখনই সরকারের টাকায় টান পড়ছে তখনই গ্যাস বিদ্যুৎ পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। সরকার আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে সাধারণ জনগণের পকেট শূন্য করার নীতি গ্রহণ করেছে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার বেগমপাড়ায় দামি বাড়ি-গাড়ির জন্য টাকা দরকার হলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী আগ্রাসী সিন্ডিকেটের মুনাফার জন্য সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। গ্যাস সংকট জিইয়ে রেখে এলএনজির ব্যবসার দ্বার খোলা হয়েছে। সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরছেন। এটা স্পষ্ট যে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের লোকসান আসলে সংশ্নিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বশীলদের অব্যবস্থাপনা, অবহেলা আর দুর্নীতির ফল। কিন্তু এর দায় মেটাতে হচ্ছে জনগণকে।’

গাইবান্ধা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা ও ঢাকা জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান রিজভী। একই সঙ্গে গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি জানান তিনি।

back to top