রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরে যান তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের বাসয় ফিরেন তিনি। এর আগে গত রোববার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দীন দিদার।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের অপর সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ‘খালেদা জিয়াকে আজ (মঙ্গলবার) ইফতার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ‘খালেদা জিয়া আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করার তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন আগের মতো বাসায় তার চিকিৎসা চলবে। একইসঙ্গে যে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে তাকে যেন হাসপাতালে নেওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও রাখা হবে।’
এর আগে গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁর শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। খালেদার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৭ মার্চ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়েছিল। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে তাঁর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন এবং তাঁকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
খালেদা জিয়া দির্ঘদিন যাবৎ লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি বøক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। সবশেষ ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ছাড়া ৮ ফেব্রæয়ারি নিয়মিত চেক আপের জন্য এভারকেয়ারে যান তিনি।
খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দÐ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে শারীরিক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরে যান তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে গুলশানের বাসয় ফিরেন তিনি। এর আগে গত রোববার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দীন দিদার।
চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের অপর সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ‘খালেদা জিয়াকে আজ (মঙ্গলবার) ইফতার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ‘খালেদা জিয়া আগের চেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করার তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন আগের মতো বাসায় তার চিকিৎসা চলবে। একইসঙ্গে যে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে তাকে যেন হাসপাতালে নেওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও রাখা হবে।’
এর আগে গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাঁর শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। খালেদার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। গত ২৭ মার্চ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়েছিল। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে গিয়ে তাঁর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন এবং তাঁকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
খালেদা জিয়া দির্ঘদিন যাবৎ লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি বøক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। সবশেষ ১৩ মার্চ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসনকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ছাড়া ৮ ফেব্রæয়ারি নিয়মিত চেক আপের জন্য এভারকেয়ারে যান তিনি।
খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রæয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দÐ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।