প্রথম প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতারা
তার আদর্শ ছিল ‘উদার ও অসাম্প্রদায়িক’, তিনি ‘স্বার্থহীন’ রাজনীতির এক উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন; বিশিষ্ট রাজনীতিক ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রথম প্রয়াণ দিবসে তাকে এভাবেই স্মরণ করেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক ব্যাক্তি।
গত শতাব্দির ষাটের দশকের অন্যতম বাম ছাত্রনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশেষ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর প্রধান উপদেষ্টা পঙ্কজ ভট্টাচার্য গত বছরের ২৪ এপ্রিল মারা যান।
চট্টগ্রামের রাউজানে জন্ম নেয়া ৮৩ বছরের জীবনে ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী, একজন নেতৃস্থানীয় কর্মী ও সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য।
তার প্রথম প্রয়াণ উপলক্ষে বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা টেনিস কমপ্লেক্সের ঐক্য ন্যাপের কার্যালয়ের পাশে অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন নেতারা।
পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। তার সঙ্গে ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও ডা. সুব্রত চৌধুরীর নেতৃত্বে গণফোরাম, নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে জাসদ (একাংশ), ডা. শহীদুল্লাহ সিকদারের নেতৃত্বে গনতন্ত্রী পার্টি (একাংশ), মোহাম্মদ শাহ আলম ও রুহিন হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে কমিনিস্ট পার্টি (সিপিবি), এ কে আজাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, শেখর দত্তের নেতৃত্বে মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধ জানানো হয়। এ সময় সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. অসিত বরণ রায়, সাইফুল হকের নেতৃত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রণজিদ কুমার শাহা, যুব সাধারণ সম্পাদক এড. পারভেজ হাশেম, যুগ্ম-সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গির আলম শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া ডা. ফওজিয়া মুসলিমের নেতৃত্বে মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম গঠনের সময় তিনি ছিলেন দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিম-লীর সদস্য। পরে গণফোরাম থেকে বেরিয়ে সম্মিলিত ‘সামাজিক আন্দোলন’ নামে দেশের প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন। পরে তিনি ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।