দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলা পরিষদে ভোট মঙ্গলবার (২১ মে)। এই ধাপে ভোটের আগেই ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন; যাদের ৭ জন করে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। বিএনপির বর্জনের ঘোষণায় এবারও চেয়ারম্যান পদে অধিকাংশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ কম বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
একই পরিস্থিতির কারণে গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় ধাপে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলো থেকে সংবাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, অনেকটা একতরফা নির্বাচনের কারণে শেষ পর্যন্ত ভোটারদের কতটা ভোটকেন্দ্রে আনা যাবে, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ভোটার এবং প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেরই সংশয় রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার রোববার (১৯ মে) রাতে শেষ হয়েছে। এই ধাপেও প্রচার ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কয়েকজন সংসদ সদস্যের (এমপি বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও উঠেছে)।
বিএনপির নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ধাপেও লড়ছেন দলটির অন্তত ৬১ জন স্থানীয় নেতা। এ কারণে তাদের সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয় সূত্র বলছে, অধিকাংশ প্রার্থী মাঠ পর্যায়ে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই।
সংঘর্ষ, কুপিয়ে জখম
সংবাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ি, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনের জেরে গোপালগঞ্জ সদর ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে ঘিরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সাইদুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গত শুক্রবার সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এক প্রার্থীর দুই সমর্থক আহত হন।
কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকায় এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার এক নির্বাচনী পথসভায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম সারওয়ার প্রতিপক্ষকে ‘পিটিয়ে লম্বা করে দেয়ার’ হুমকি দেন। এ ঘটনায় গোলাম সারওয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার ইসি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৮ মে শনিবার থেকে ১৫৭ উপজেলায় মাঠে নামছেন একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোট গ্রহণের পরের দুই দিন অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
নেই নৌকা-ধানের শীষ
স্থানীয় সরকার আইনে বিগত কয়েকটি (ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষধ) নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই হলেও এবার তা হচ্ছে না আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের কারণে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের খড়ার আশঙ্কা ছিল প্রথম ধাপ থেকেই। ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনার নানা পরিকল্পনা করার পরও প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল ৩৬ শতাংশ।
বিএনপি বিগত সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে পথম ধাপে দলটির তৃণমূল নেতাদের অনেকে ভোটে দাঁড়ালেও দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাননি, উল্টো দল থেকে বহিষ্কৃত হন ৮০ জন স্থানীয় নেতা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাদের মধ্যে ২৬ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৮ জন জয়লাভ করেন।
এদিকে, বিএনপির বর্জনে ভোটের খড়ার আশঙ্কায় আওয়ামী লীগও এবার প্রতীক দেয়নি। ক্ষমতাসীনদের ধারণা, নৌকা প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দিলে প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া যাবে না। তাই প্রার্থীতা উন্মুক্ত করে দিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবে তাদের সেই সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে ভোটকেন্দ্রে ভোটার টানার কৌশল নেয় আওয়ামী লীগ। দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয়দের নির্বাচনে প্রার্থী না হতেও দলের কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বাস্তবতা হলো দলের সিদ্ধান্ত সবাই মানেননি।
প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৬ জন স্বজন প্রার্থী হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ধাপেও মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন প্রার্থী ভোটে আছেন বলে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
চার ধাপে ৪৭৬ উপজেলায় ভোট
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেয়া হবে।
গত ৮ মে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন মোটামোটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিষ্ফোরণ, গুলি এবং কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, সকাল থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অনেক কেন্দ্র ছিল ফাঁকা।
ভোট শেষে ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ধান কাটার মৌসুম এবং ঝড়-বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে।
প্রথম ধাপের চারটি উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি। কারণ ওই উপজেলাগুলোতে সব পদেই একক প্রার্র্থী ছিল। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ওই ধাপে মোট ২৬ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন।
প্রথম ধাপে অধিকাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতারা জয়লাভ করেন। ৮টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির (বহিষ্কৃত) নেতাদের বিজয়ী হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
ভোট শেষে রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজত সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো প্রাণহানি ছাড়া এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। ইসির প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, এটা সন্তোষজনক।
তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মানুষ উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন।
রোববার, ১৯ মে ২০২৪
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলা পরিষদে ভোট মঙ্গলবার (২১ মে)। এই ধাপে ভোটের আগেই ২১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন; যাদের ৭ জন করে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। বিএনপির বর্জনের ঘোষণায় এবারও চেয়ারম্যান পদে অধিকাংশ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ। এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ কম বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
একই পরিস্থিতির কারণে গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩৬ শতাংশ।
দ্বিতীয় ধাপে সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলো থেকে সংবাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, অনেকটা একতরফা নির্বাচনের কারণে শেষ পর্যন্ত ভোটারদের কতটা ভোটকেন্দ্রে আনা যাবে, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদ, ভোটার এবং প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেরই সংশয় রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার রোববার (১৯ মে) রাতে শেষ হয়েছে। এই ধাপেও প্রচার ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং কয়েকজন সংসদ সদস্যের (এমপি বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও উঠেছে)।
বিএনপির নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্বিতীয় ধাপেও লড়ছেন দলটির অন্তত ৬১ জন স্থানীয় নেতা। এ কারণে তাদের সবাইকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয় সূত্র বলছে, অধিকাংশ প্রার্থী মাঠ পর্যায়ে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই।
সংঘর্ষ, কুপিয়ে জখম
সংবাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ি, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচনের জেরে গোপালগঞ্জ সদর ও সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনেও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনকে ঘিরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. সাইদুর রহমানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গত শুক্রবার সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় এক প্রার্থীর দুই সমর্থক আহত হন।
কোনো কোনো নির্বাচনী এলাকায় এক প্রার্থী অন্য প্রার্থীকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। গত মঙ্গলবার এক নির্বাচনী পথসভায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. গোলাম সারওয়ার প্রতিপক্ষকে ‘পিটিয়ে লম্বা করে দেয়ার’ হুমকি দেন। এ ঘটনায় গোলাম সারওয়ারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার ইসি সূত্র জানায়, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৮ মে শনিবার থেকে ১৫৭ উপজেলায় মাঠে নামছেন একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ভোট গ্রহণের পরের দুই দিন অর্থাৎ ২৩ মে পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
নেই নৌকা-ধানের শীষ
স্থানীয় সরকার আইনে বিগত কয়েকটি (ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষধ) নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই হলেও এবার তা হচ্ছে না আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের কারণে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের খড়ার আশঙ্কা ছিল প্রথম ধাপ থেকেই। ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনার নানা পরিকল্পনা করার পরও প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল ৩৬ শতাংশ।
বিএনপি বিগত সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে পথম ধাপে দলটির তৃণমূল নেতাদের অনেকে ভোটে দাঁড়ালেও দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাননি, উল্টো দল থেকে বহিষ্কৃত হন ৮০ জন স্থানীয় নেতা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাদের মধ্যে ২৬ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৮ জন জয়লাভ করেন।
এদিকে, বিএনপির বর্জনে ভোটের খড়ার আশঙ্কায় আওয়ামী লীগও এবার প্রতীক দেয়নি। ক্ষমতাসীনদের ধারণা, নৌকা প্রতীকে প্রার্থী মনোনয়ন দিলে প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়া যাবে না। তাই প্রার্থীতা উন্মুক্ত করে দিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যারা নির্বাচনে অংশ নিতে চাইবে তাদের সেই সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
নিজ দলের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে ভোটকেন্দ্রে ভোটার টানার কৌশল নেয় আওয়ামী লীগ। দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয়দের নির্বাচনে প্রার্থী না হতেও দলের কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বাস্তবতা হলো দলের সিদ্ধান্ত সবাই মানেননি।
প্রথম ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের ১৬ জন স্বজন প্রার্থী হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ধাপেও মন্ত্রী-এমপিদের ১৭ জন স্বজন প্রার্থী ভোটে আছেন বলে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
চার ধাপে ৪৭৬ উপজেলায় ভোট
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোট নেয়া হবে।
গত ৮ মে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন মোটামোটি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। ভোটকেন্দ্রের পাশে ককটেল বিষ্ফোরণ, গুলি এবং কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী, সকাল থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অনেক কেন্দ্র ছিল ফাঁকা।
ভোট শেষে ঢাকায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ধান কাটার মৌসুম এবং ঝড়-বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে।
প্রথম ধাপের চারটি উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি। কারণ ওই উপজেলাগুলোতে সব পদেই একক প্রার্র্থী ছিল। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। ওই ধাপে মোট ২৬ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন।
প্রথম ধাপে অধিকাংশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ নেতারা জয়লাভ করেন। ৮টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপির (বহিষ্কৃত) নেতাদের বিজয়ী হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
ভোট শেষে রাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজত সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো প্রাণহানি ছাড়া এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। ইসির প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি হওয়ার কথা বলা হচ্ছে, এটা সন্তোষজনক।
তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, মানুষ উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন।