কেন্দ্র দখল, অবৈধ ভোট দেয়ার চেষ্টা, আর জনপ্রতিনিধিদের অপমান অপদস্তের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারাণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। গত ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।
জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় নারাণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ৮ হাজার ১২০ ভোট বেশি পেয়ে ঘোড়া প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।
তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ওরফে ট্যাবলেট বাবু পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৪৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৮ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে তালা প্রতীক নিয়ে নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুম চৌধুুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ মাহাবুব আলম (টিয়া পাখি) পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪০ ভোট। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে ৩৮ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদা পারভীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি (হাঁস) সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪০ ভোট। ১৪২ টি কেন্দ্রের ফলাফল হাতে পেয়ে মঙ্গলবার রাতে বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ।
এদিকে নির্বাচনের দিন উপজেলার কাঁচপুর, পিরোজপুুর, শম্ভুপুরা, সনমান্দি, বারদী ও সোনারগাঁও পৌরসভার কয়েকটি কেন্দ্র দখলে নিয়ে অবৈধ ভোট দেয়ার চেষ্টা করে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরের লোকজন। তাকে সমর্থন করে পৌরসভা এলাকার একটি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে অপমান অপদস্থ করে স্থানীয়রা।
অপরদিকে সনমান্দি ইউপি এলাকার একটি কেন্দ্রে অবৈধ ভোট দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহকে হেনস্থা করে বের করে দেয় এলাকাবাসী। এছাড়াও পিরোজপুর, কাঁচপুর, শম্ভুপুরা, সনমান্দি ও বারদী ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করার সময় বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য হেনস্থার শিকার হন স্থানীয়দের হাতে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠ ও সুন্দর করতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি জনগণ।
পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। এই নির্বাচনে উপজেলার ১৪২ টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৮ জন ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২০৮ জন ভোট প্রয়োগ করেন। এরমধ্যে ভোট বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৯১৫ টি। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট প্রয়োগ করেছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৮ জন। তার মধ্যে বাতিল হয়েছে ৮ হাজার ৪১৪ ভোট।
বুধবার, ২২ মে ২০২৪
কেন্দ্র দখল, অবৈধ ভোট দেয়ার চেষ্টা, আর জনপ্রতিনিধিদের অপমান অপদস্তের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারাণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। গত ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।
জানা গেছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় নারাণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে ৮ হাজার ১২০ ভোট বেশি পেয়ে ঘোড়া প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।
তিনি পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ওরফে ট্যাবলেট বাবু পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৪৮ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৮ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে তালা প্রতীক নিয়ে নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুম চৌধুুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ মাহাবুব আলম (টিয়া পাখি) পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪০ ভোট। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে ৩৮ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ফরিদা পারভীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি (হাঁস) সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৪০ ভোট। ১৪২ টি কেন্দ্রের ফলাফল হাতে পেয়ে মঙ্গলবার রাতে বেসরকারিভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ।
এদিকে নির্বাচনের দিন উপজেলার কাঁচপুর, পিরোজপুুর, শম্ভুপুরা, সনমান্দি, বারদী ও সোনারগাঁও পৌরসভার কয়েকটি কেন্দ্র দখলে নিয়ে অবৈধ ভোট দেয়ার চেষ্টা করে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরের লোকজন। তাকে সমর্থন করে পৌরসভা এলাকার একটি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে অপমান অপদস্থ করে স্থানীয়রা।
অপরদিকে সনমান্দি ইউপি এলাকার একটি কেন্দ্রে অবৈধ ভোট দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহকে হেনস্থা করে বের করে দেয় এলাকাবাসী। এছাড়াও পিরোজপুর, কাঁচপুর, শম্ভুপুরা, সনমান্দি ও বারদী ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু ওমরের আনারস প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করার সময় বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য হেনস্থার শিকার হন স্থানীয়দের হাতে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠ ও সুন্দর করতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি জনগণ।
পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। এই নির্বাচনে উপজেলার ১৪২ টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৮ জন ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১ লাখ ৬৪ হাজার ২০৮ জন ভোট প্রয়োগ করেন। এরমধ্যে ভোট বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৯১৫ টি। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট প্রয়োগ করেছেন ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৮ জন। তার মধ্যে বাতিল হয়েছে ৮ হাজার ৪১৪ ভোট।