এক বছরের জন্যে ইব্রাহিম ফরাজিকে সভাপতি ও আকতার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হলেও পেরিয়েছে ২৯ মাস। কিন্তু নতুন করে এখনও কমিটি দেয়া হয়নি। এমনকি এসময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটিও করতে পারেনি এ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি।
জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি। সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচ। ইব্রাহিম-আকতারের কমিটিতে স্থান পান ৩৫ জন। বর্তমানে ওই ৩৫ জনের অধিকাংশ নেতাই নিষ্ক্রিয় কিংবা নানা পেশার সাথে জড়িত। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ তম ব্যাচ আসতে চলেছে।
বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন সময়ে গত দুই বছরে দফায় দফায় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দিয়েও তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এদিকে কমিটি ভেঙে যাবার আশঙ্কায় কমিটি পুর্ণাঙ্গ করা হচ্ছেনা বলে মনে করছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা খসড়া তালিকা তৈরি করেছেন। ২০২২ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠনের দুই বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা। এতে একদিকে যেমন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না অন্যদিকে নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মাঝে বেড়েছে হতাশা।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখা সাংগঠনিক জেলার মর্যাদা পায়। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১০(খ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর’। সেই হিসেবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে ইব্রাহিম-আকতারের নেতৃত্বে বর্তমান কমিটির মেয়াদ।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সিভি সংগ্রহ করা হলেও এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের দাবির মুখে বিভিন্ন সময়ে শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আশার বাণী শুনালেও তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলে অভিযোগ পদবঞ্চিত কর্মীদের।এদিকে দলীয় অন্তর্কোন্দল ও অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অনেকে। এছাড়াও জাতীয় কর্মসূচী ব্যতীত পদপ্রত্যাশীদের দেখা মিলছে না ক্যাম্পাসে। ফলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝেও। ফলে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার কিছুটা দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে।
পদপ্রত্যাশী একাধিক কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নানা সময়ে বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কমিটিকে পূর্নাঙ্গ করার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন। বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদক তাদের কর্তৃত্ব ধরে রাখার জন্য গত বছরগুলোতে কমিটি পূর্নাঙ্গ করার কথা বলেননি। যখনই জুনিয়ররা কমিটি নিয়ে কথা বলতে গেছেন তখন তারা সিভি আহ্বান করে পূর্নাঙ্গ কমিটি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের থামিয়ে দিয়েছে বলে জানান তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্তমান ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক সংবাদকে বলেন, বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমাদের ক্যাম্পাসের অনেক সিনিয়র। ক্যাম্পাসের মোস্ট জুনিয়র তাদের থেকে ১০ থেকে ১৩ বছরের ছোট। এতে বলা যায় তাদের সাথে বর্তমান কমিটির নেতাদের জেনারেশন গ্যাপ থাকায় জুনিয়ররা এখন ছাত্রলীগ করতে চান না।
এবিষয়ে পদপ্রত্যাশী এক নেতা সংবাদকে বলেন, ‘বর্তমান দায়িত্বশীলদের আদৌ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সদিচ্ছা আছে বলে আমার মনে হয় না। তারা আংশিক কমিটির ভার সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন৷ আমরা কোনো প্রোগ্রামে গেলে জুনিয়র দিয়ে আমাদের অপমানিত করা হয়। তারা নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গেলে বয়সসীমার একটি বিষয় আছে। আমাদের সেটাও পার হয়ে যাচ্ছে। দ্রুতই কমিটির পূর্ণাঙ্গ হওয়া প্রয়োজন।’
জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবুল হোসেন পরাগ সংবাদকে বলেন, ‘এতদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ার পেছনে ইউনিট সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের অবশ্যই দায় রয়েছে। ক্ষমতা পেলে সবাই চেয়ারে থাকতে চায়। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে দিলে নতুন করে ক্যান্ডিডেট তৈরী হবে, তাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটবে। এমনিতেই তারা ৩৫ সদস্যের কমিটির সদস্যদের ক্যাম্পাসে চলতে দেয়না। তারা নিজেদের মত কর্মকান্ড চালায়৷ এমনকি আমাকে শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দিয়েছিলো তারা। কমিটির পূর্ণাঙ্গ করার যে দীর্ঘসূত্রিতা, এটা তাদের একটা রাজনৈতিক কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম আকতার হোসাইন সংবাদকে বলেন, আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্য বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বলছিলাম, এখন তারা সেটা রাজি হয়েছে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে পাঠানো হয়েছে, তথ্য যাচাই-বাছাই হয়ে গেছে। যেকোনোদিন পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা হতে পারে।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী সংবাদকে বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে দিবো৷ আশা করছি এমাসের মধ্যেই হয়ে যাবে। কমিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়৷ এখানে কে কি বলছে সেটা দেখার বিষয় না৷
একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, জবি ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুতই জবি ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে তৃতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যেন দ্রুতই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে সেজন্য আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। তবে জবি ইউনিট থেকে আমাদের কাছে এখনও কমিটির কোনো খসড়া পাঠানো হয়নি।’
নতুন কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা৷ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিলে অনেক ব্যাচ বাদ পড়ে যাবে৷’
২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রয়ারি জবি ছাত্রলীগের দু’গ্রপের সংঘর্ষের পরে তরিকুল-রাসেল কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। ওই বছরের ২০ জুলাই কমিটি গঠনের জন্য জবি ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আড়াই বছর পরে ইব্রাহিম ফরাজি ও আক্তারকে দিয়ে নতুন কমিটি পায় জবি ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
এক বছরের জন্যে ইব্রাহিম ফরাজিকে সভাপতি ও আকতার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হলেও পেরিয়েছে ২৯ মাস। কিন্তু নতুন করে এখনও কমিটি দেয়া হয়নি। এমনকি এসময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটিও করতে পারেনি এ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি।
জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয় ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি। সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচ। ইব্রাহিম-আকতারের কমিটিতে স্থান পান ৩৫ জন। বর্তমানে ওই ৩৫ জনের অধিকাংশ নেতাই নিষ্ক্রিয় কিংবা নানা পেশার সাথে জড়িত। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ তম ব্যাচ আসতে চলেছে।
বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন সময়ে গত দুই বছরে দফায় দফায় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দিয়েও তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এদিকে কমিটি ভেঙে যাবার আশঙ্কায় কমিটি পুর্ণাঙ্গ করা হচ্ছেনা বলে মনে করছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা খসড়া তালিকা তৈরি করেছেন। ২০২২ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠনের দুই বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা। এতে একদিকে যেমন নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না অন্যদিকে নতুন কমিটিতে পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মাঝে বেড়েছে হতাশা।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শাখা সাংগঠনিক জেলার মর্যাদা পায়। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১০(খ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর’। সেই হিসেবে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে ইব্রাহিম-আকতারের নেতৃত্বে বর্তমান কমিটির মেয়াদ।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সিভি সংগ্রহ করা হলেও এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের দাবির মুখে বিভিন্ন সময়ে শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার আশার বাণী শুনালেও তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলে অভিযোগ পদবঞ্চিত কর্মীদের।এদিকে দলীয় অন্তর্কোন্দল ও অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অনেকে। এছাড়াও জাতীয় কর্মসূচী ব্যতীত পদপ্রত্যাশীদের দেখা মিলছে না ক্যাম্পাসে। ফলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝেও। ফলে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার কিছুটা দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে।
পদপ্রত্যাশী একাধিক কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নানা সময়ে বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কমিটিকে পূর্নাঙ্গ করার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন। বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদক তাদের কর্তৃত্ব ধরে রাখার জন্য গত বছরগুলোতে কমিটি পূর্নাঙ্গ করার কথা বলেননি। যখনই জুনিয়ররা কমিটি নিয়ে কথা বলতে গেছেন তখন তারা সিভি আহ্বান করে পূর্নাঙ্গ কমিটি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের থামিয়ে দিয়েছে বলে জানান তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বর্তমান ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক সংবাদকে বলেন, বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক আমাদের ক্যাম্পাসের অনেক সিনিয়র। ক্যাম্পাসের মোস্ট জুনিয়র তাদের থেকে ১০ থেকে ১৩ বছরের ছোট। এতে বলা যায় তাদের সাথে বর্তমান কমিটির নেতাদের জেনারেশন গ্যাপ থাকায় জুনিয়ররা এখন ছাত্রলীগ করতে চান না।
এবিষয়ে পদপ্রত্যাশী এক নেতা সংবাদকে বলেন, ‘বর্তমান দায়িত্বশীলদের আদৌ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সদিচ্ছা আছে বলে আমার মনে হয় না। তারা আংশিক কমিটির ভার সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছেন৷ আমরা কোনো প্রোগ্রামে গেলে জুনিয়র দিয়ে আমাদের অপমানিত করা হয়। তারা নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে গেলে বয়সসীমার একটি বিষয় আছে। আমাদের সেটাও পার হয়ে যাচ্ছে। দ্রুতই কমিটির পূর্ণাঙ্গ হওয়া প্রয়োজন।’
জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাবুল হোসেন পরাগ সংবাদকে বলেন, ‘এতদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ার পেছনে ইউনিট সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের অবশ্যই দায় রয়েছে। ক্ষমতা পেলে সবাই চেয়ারে থাকতে চায়। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে দিলে নতুন করে ক্যান্ডিডেট তৈরী হবে, তাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটবে। এমনিতেই তারা ৩৫ সদস্যের কমিটির সদস্যদের ক্যাম্পাসে চলতে দেয়না। তারা নিজেদের মত কর্মকান্ড চালায়৷ এমনকি আমাকে শুরুতেই সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রুপ থেকে রিমুভ করে দিয়েছিলো তারা। কমিটির পূর্ণাঙ্গ করার যে দীর্ঘসূত্রিতা, এটা তাদের একটা রাজনৈতিক কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম আকতার হোসাইন সংবাদকে বলেন, আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্য বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে বলছিলাম, এখন তারা সেটা রাজি হয়েছে। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে পাঠানো হয়েছে, তথ্য যাচাই-বাছাই হয়ে গেছে। যেকোনোদিন পূর্ণাঙ্গ ঘোষণা হতে পারে।
এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজী সংবাদকে বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে দিবো৷ আশা করছি এমাসের মধ্যেই হয়ে যাবে। কমিটি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়৷ এখানে কে কি বলছে সেটা দেখার বিষয় না৷
একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, জবি ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুতই জবি ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে তৃতীয় সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যেন দ্রুতই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে সেজন্য আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি। তবে জবি ইউনিট থেকে আমাদের কাছে এখনও কমিটির কোনো খসড়া পাঠানো হয়নি।’
নতুন কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা৷ মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি দিলে অনেক ব্যাচ বাদ পড়ে যাবে৷’
২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রয়ারি জবি ছাত্রলীগের দু’গ্রপের সংঘর্ষের পরে তরিকুল-রাসেল কমিটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। ওই বছরের ২০ জুলাই কমিটি গঠনের জন্য জবি ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আড়াই বছর পরে ইব্রাহিম ফরাজি ও আক্তারকে দিয়ে নতুন কমিটি পায় জবি ছাত্রলীগ।