alt

রাজনীতি

জবি ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের মারামারি, আহত ৪

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : রোববার, ০২ জুন ২০২৪

সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপ থেকে ২ জন করে ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারামারি সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাত ১০ টা থেকে ১২ টা ৩০ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে ও ন্যাশনাল হাসপাতালে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে প্রথম মারামারির সূত্রপাত ঘটে। এসময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা রড, হাতুড়ি, ইট দিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজির কর্মী মেহেদী হাসান মিরাজসহ তার বন্ধুদের মারধর করে গুরুতর আহত করে। এরপর তাদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে নেয়া হলে সোহরাওয়ার্দী- সূত্রাপুর ছাত্রলীগের কয়েকজন হাসপাতালে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। এসময় খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি গ্রুপের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠি, জিআই পাইপ নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা করে। এতে সুত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন গুরুতর আহত হন। 

পরবর্তীতে জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় লাঠি সোটা নিয়ে শোডাউন দিয়ে বিপক্ষ গ্রুপকে খুঁজতে থাকে। পরে পুলিশ ঘুলটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এবিষয়ে আহত হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমি পুরান ঢাকার স্থানীয়। গতকাল রাতে জগন্নাথের ৫-৬ জন ও পুরান ঢাকার আরো ৫-৬ জন বন্ধুরা মিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় আমার বন্ধু আকাশের (বাবু বাজারে ব্যবসা করে) সঙ্গে পুরাতন শত্রুতার জের ধরে আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় তারা ৭-৮ জন থাকলেও তাদের এলাকা বলে কাছে থাকা হাতুড়ি, রড দিয়ে হামলা করে। এসময় আমার কয়েকজন বন্ধু মার খেয়ে দৌঁড় দেয়। একা পেয়ে আমাকে ও আমার বন্ধু সাব্বিরকে (জুবিলি স্কুলে পড়ালেখা করেন) মেরে গুরুতর আহত করে। এরপর আমাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ওই গ্রুপের কয়েকজন হাসপাতালে আমাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসে। মনে করছে জগন্নাথের কেউ নেই। তবে খবর পেয়ে ফরাজী ভাইয়ের গ্রুপের আমার বড় ভাইরা আসে। তখন বিপক্ষ গ্রুপের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন মার খেয়েছে।’

বিপক্ষ গ্রুপের পরিচয় জানতে চাইলে মিরাজ আরো বলেন, তারা কেউ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রলীগের, আবার কেউ সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের নেতা আজিম। আর আজিম সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিল্লালের রাজনীতি করে। জানা যায়, আলী আজিম খাঁন সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পড়ালেখা করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে মেহেদীর এক বন্ধুকে থানায় আটক করেছে সূত্রাপুর থানার পুলিশ। 

এবিষয়ে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজম খাঁন বলেন, ‘সিয়ামকে মারতে জগন্নাথের ৩০-৪০ জন আসে। আর এরা ছিল মাত্র ৩-৪ জন। তাদের হামলায় সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন আহত হয়েছে। সিয়াম একটি কলেজে ও ফয়সাল লালবাগ কলেজে পড়ে। আমার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম করে মাঝেমাঝে। এটা রাজনৈতিক ঘটনা না। বন্ধুদের ভিতর হাতাহাতি।’

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কলেজের কেউ এ ঘটনায় জড়িত নেই। বহিরাগতরা কলেজের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘটনা ঘটায়। সিয়াম, ফয়সাল কলেজের কেউ নয়।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেন বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউই ছিলো না। ওখানে যারা মারামারি করেছে সেটা ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলায় ঘটেছে। যারা ওখানে মারামারিতে ছিলো তাদের সাথে আমাদের মিছিল মিটিং করা অবস্থায় কোনো ছবি কেউ দেখাতে পারবে? এমনকি সেখানে সোহরাওয়ার্দী কলেজেরও কেউ সেখানে ছিলো না। চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে পারেন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী সেখানে মারামারিতে জড়িত ছিল তাদের কাওকেই আমি চিনিনা।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভিতর কোনো মারামারি হয়নি। জেনেছি এই ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ছিল। কোনো অপরাধকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্রয় দেয় না। পুলিশ প্রশাসন ঘটনা তদন্ত করছে। তারা ব্যবস্থা নিবে।’

এবিষয়ে সূত্রাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, ‘তুচ্ছ ঘটনায় হাতাহাতি। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।’

ছবি

বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি প্রতিমন্ত্রী পলকের আহ্বান

ছবি

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা রাজনীতি করছেন : ওবায়দুল কাদের

ছবি

সরকারের মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রাখা: ফখরুল

ছবি

হার্টে পেসমেকার বসানোর পর খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর

ছবি

‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে অর্জন অনেক’- ওবায়দুল কাদের

ছবি

আওয়ামী লীগ কর্মীদের দল আর বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়নের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

ভারসাম্য ঠিক নেই বলে বিএনপি দোষারোপ করছে

ছবি

শেখ হাসিনা রাজনীতির জাদুকর : ওবায়দুল কাদের

ছবি

খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হচ্ছে

ছবি

ভস্ম থেকে জেগে উঠেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

ছবি

ভারতের স্বার্থেই ১০ টি চুক্তি করেছেন : ফখরুল

ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভার ম‌ঞ্চে‌ শেখ হাসিনা

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ছবি

দুদকে হাজির হননি বেনজীর, দিয়েছেন লিখিত বক্তব্য

ছবি

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর: নেতাকর্মীদের ঢল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

ছবি

খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে : মির্জা ফখরুল

ছবি

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ছবি

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় নতুন আবেদন পাইনি : আইনমন্ত্রী

ছবি

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার-শপথ নিয়ে আ.লীগের সৃষ্টি

ছবি

দোয়া চাইলেন ফখরুল,খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘বেশ ক্রিটিক্যাল’

ছবি

সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া

ছবি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীতে আ’লীগের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

ছবি

বাংলাদেশের সব অর্জনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে: পলক

ছবি

বিএনপি ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করে দেশের ক্ষতি করেছিল : কাদের

ছবি

বিএনপি সরকারকে মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর উসকানি দিচ্ছে : কাদের

ছবি

নানা পদে রদবদল, আরও কমিটি বিলুপ্ত করবে বিএনপি

ছবি

আক্রান্ত হলে আমরাও জবাব দেবো: সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের

ছবি

বিএনপির টপ টু বটম- সবাই দুর্নীতিবাজ : কাদের

ছবি

দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের

ছবি

সাধারণ নাগরিকের মত করেই ড. ইউনূসের বিচার হচ্ছে : আইনমন্ত্রী

ছবি

বিএনপির ৭ আইনজীবীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও সহিংসতা না থাকা স্বস্তিদায়ক : সিইসি

ছবি

দেশকে ‘বিক্রি’ করে দিচ্ছে, করেছে ‘পরনির্ভরশীল’ : ফখরুল

ছবি

খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে সব প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে : আইনমন্ত্রী

ছবি

বিএনপি’র লুটপাটের রাজত্ব থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন শেখ হাসিনা : কাদের

ছবি

খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন, তিনি কি দুর্বৃত্ত

tab

রাজনীতি

জবি ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের মারামারি, আহত ৪

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

রোববার, ০২ জুন ২০২৪

সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপ থেকে ২ জন করে ৪ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারামারি সূত্রপাত বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাত ১০ টা থেকে ১২ টা ৩০ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে ও ন্যাশনাল হাসপাতালে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে প্রথম মারামারির সূত্রপাত ঘটে। এসময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা রড, হাতুড়ি, ইট দিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজির কর্মী মেহেদী হাসান মিরাজসহ তার বন্ধুদের মারধর করে গুরুতর আহত করে। এরপর তাদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে নেয়া হলে সোহরাওয়ার্দী- সূত্রাপুর ছাত্রলীগের কয়েকজন হাসপাতালে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। এসময় খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি গ্রুপের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠি, জিআই পাইপ নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা করে। এতে সুত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন গুরুতর আহত হন। 

পরবর্তীতে জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় লাঠি সোটা নিয়ে শোডাউন দিয়ে বিপক্ষ গ্রুপকে খুঁজতে থাকে। পরে পুলিশ ঘুলটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এবিষয়ে আহত হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমি পুরান ঢাকার স্থানীয়। গতকাল রাতে জগন্নাথের ৫-৬ জন ও পুরান ঢাকার আরো ৫-৬ জন বন্ধুরা মিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় আমার বন্ধু আকাশের (বাবু বাজারে ব্যবসা করে) সঙ্গে পুরাতন শত্রুতার জের ধরে আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় তারা ৭-৮ জন থাকলেও তাদের এলাকা বলে কাছে থাকা হাতুড়ি, রড দিয়ে হামলা করে। এসময় আমার কয়েকজন বন্ধু মার খেয়ে দৌঁড় দেয়। একা পেয়ে আমাকে ও আমার বন্ধু সাব্বিরকে (জুবিলি স্কুলে পড়ালেখা করেন) মেরে গুরুতর আহত করে। এরপর আমাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ওই গ্রুপের কয়েকজন হাসপাতালে আমাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসে। মনে করছে জগন্নাথের কেউ নেই। তবে খবর পেয়ে ফরাজী ভাইয়ের গ্রুপের আমার বড় ভাইরা আসে। তখন বিপক্ষ গ্রুপের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন মার খেয়েছে।’

বিপক্ষ গ্রুপের পরিচয় জানতে চাইলে মিরাজ আরো বলেন, তারা কেউ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রলীগের, আবার কেউ সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের নেতা আজিম। আর আজিম সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিল্লালের রাজনীতি করে। জানা যায়, আলী আজিম খাঁন সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পড়ালেখা করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে মেহেদীর এক বন্ধুকে থানায় আটক করেছে সূত্রাপুর থানার পুলিশ। 

এবিষয়ে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজম খাঁন বলেন, ‘সিয়ামকে মারতে জগন্নাথের ৩০-৪০ জন আসে। আর এরা ছিল মাত্র ৩-৪ জন। তাদের হামলায় সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন আহত হয়েছে। সিয়াম একটি কলেজে ও ফয়সাল লালবাগ কলেজে পড়ে। আমার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম করে মাঝেমাঝে। এটা রাজনৈতিক ঘটনা না। বন্ধুদের ভিতর হাতাহাতি।’

সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কলেজের কেউ এ ঘটনায় জড়িত নেই। বহিরাগতরা কলেজের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘটনা ঘটায়। সিয়াম, ফয়সাল কলেজের কেউ নয়।’

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসেন বলেন, ‘মারামারির ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কেউই ছিলো না। ওখানে যারা মারামারি করেছে সেটা ব্যক্তিগত কোনো ঝামেলায় ঘটেছে। যারা ওখানে মারামারিতে ছিলো তাদের সাথে আমাদের মিছিল মিটিং করা অবস্থায় কোনো ছবি কেউ দেখাতে পারবে? এমনকি সেখানে সোহরাওয়ার্দী কলেজেরও কেউ সেখানে ছিলো না। চাইলে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে পারেন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘এই ঘটনার সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী সেখানে মারামারিতে জড়িত ছিল তাদের কাওকেই আমি চিনিনা।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভিতর কোনো মারামারি হয়নি। জেনেছি এই ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র ছিল। কোনো অপরাধকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশ্রয় দেয় না। পুলিশ প্রশাসন ঘটনা তদন্ত করছে। তারা ব্যবস্থা নিবে।’

এবিষয়ে সূত্রাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, ‘তুচ্ছ ঘটনায় হাতাহাতি। আমরা ঘটনাস্থলে আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।’

back to top