alt

রাজনীতি

আক্রান্ত হলে আমরাও জবাব দেবো: সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

সেন্টমার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব তো আমরা দেবো। আমরাও প্রস্তুত।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ যেতে পারছে না। মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে, আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি না—গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। যে কারণে তাকে মানবতার মা বলে অভিহিত করা হয়।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তার একটা ছোট অপারেশন হয়। সে সময় প্রতিদিনই তিনি সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করতেন। আমাদের পার্টি পর্যায়েও সাবধান করে দিতেন—কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা কেউ কোনো উসকানি না দেই। উসকানি দিলে যুদ্ধ হতে পারে, অন্য পক্ষ তো বসে থাকবে না। আমাদের আকাশসীমাও তারা দুএকবার লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও আমরা কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধৈর্য ধরেছিলাম এবং তখন সে অবস্থাটা আর বেশি দূর এগোয়নি। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যাটা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে।

তিনি বলেন, আজকে দুনিয়ার বিভিন্ন সংস্থা, বড় বড় দেশগুলো আমাদের প্রশংসা করে কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তাদের যে সাহায্যের পরিমাণটা ছিল, সেটা কিন্তু অনেক কমে গেছে। আমাদের এমনি অর্থনৈতিক চলমান সংকটে; আমরা নিজেরাই সংকটে আছি। আমাদের নিজেদেরই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেখানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা, যাদের সন্তান-সন্ততি হয়ে সংখ্যা বাড়ছে। এই বোঝাটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে অভিবাসীরা যায়, তাদের আশ্রয় দেয়।

কাদের বলেন, এখানে দুনিয়ার বড় বড় দেশগুলো, যারা এ সংকট নিয়ে আজকে কথা বলে; আমাদের তো লিপ সার্ভিসের দরকার নেই! দরকার এ বোঝাটা আমাদের কাঁধ থেকে সরিয়ে নেওয়া। সার্বিকভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, তিনি সর্বাগ্রে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেন।

ছবি

বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি প্রতিমন্ত্রী পলকের আহ্বান

ছবি

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা রাজনীতি করছেন : ওবায়দুল কাদের

ছবি

সরকারের মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রাখা: ফখরুল

ছবি

হার্টে পেসমেকার বসানোর পর খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর

ছবি

‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে অর্জন অনেক’- ওবায়দুল কাদের

ছবি

আওয়ামী লীগ কর্মীদের দল আর বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়নের দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

ভারসাম্য ঠিক নেই বলে বিএনপি দোষারোপ করছে

ছবি

শেখ হাসিনা রাজনীতির জাদুকর : ওবায়দুল কাদের

ছবি

খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হচ্ছে

ছবি

ভস্ম থেকে জেগে উঠেছে আওয়ামী লীগ: শেখ হাসিনা

ছবি

ভারতের স্বার্থেই ১০ টি চুক্তি করেছেন : ফখরুল

ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভার ম‌ঞ্চে‌ শেখ হাসিনা

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ছবি

দুদকে হাজির হননি বেনজীর, দিয়েছেন লিখিত বক্তব্য

ছবি

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর: নেতাকর্মীদের ঢল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে

ছবি

খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে : মির্জা ফখরুল

ছবি

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ছবি

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় নতুন আবেদন পাইনি : আইনমন্ত্রী

ছবি

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার-শপথ নিয়ে আ.লীগের সৃষ্টি

ছবি

দোয়া চাইলেন ফখরুল,খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘বেশ ক্রিটিক্যাল’

ছবি

সিসিইউতে ভর্তি খালেদা জিয়া

ছবি

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীতে আ’লীগের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

ছবি

বাংলাদেশের সব অর্জনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে: পলক

ছবি

বিএনপি ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করে দেশের ক্ষতি করেছিল : কাদের

ছবি

বিএনপি সরকারকে মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর উসকানি দিচ্ছে : কাদের

ছবি

নানা পদে রদবদল, আরও কমিটি বিলুপ্ত করবে বিএনপি

ছবি

বিএনপির টপ টু বটম- সবাই দুর্নীতিবাজ : কাদের

ছবি

দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের

ছবি

সাধারণ নাগরিকের মত করেই ড. ইউনূসের বিচার হচ্ছে : আইনমন্ত্রী

ছবি

বিএনপির ৭ আইনজীবীকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও সহিংসতা না থাকা স্বস্তিদায়ক : সিইসি

ছবি

দেশকে ‘বিক্রি’ করে দিচ্ছে, করেছে ‘পরনির্ভরশীল’ : ফখরুল

ছবি

খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে সব প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে : আইনমন্ত্রী

ছবি

বিএনপি’র লুটপাটের রাজত্ব থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন শেখ হাসিনা : কাদের

ছবি

খালেদা জিয়াও কালো টাকা সাদা করেছেন, তিনি কি দুর্বৃত্ত

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চলছে ভোটগ্রহন

tab

রাজনীতি

আক্রান্ত হলে আমরাও জবাব দেবো: সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

সেন্টমার্টিন যদি বেদখল হয়ে যায়, বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব তো আমরা দেবো। আমরাও প্রস্তুত।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিনে কোনো জাহাজ যেতে পারছে না। মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে বলেছেন, আমাদের জলসীমায় কোনো একটি রাষ্ট্র ঘাঁটি করতে চাচ্ছে, আমরা চক্রান্তের শিকার হচ্ছি কি না—গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের যে স্রোত এবং মানবিক আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সেদিন উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছিলেন। যে কারণে তাকে মানবতার মা বলে অভিহিত করা হয়।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে তার একটা ছোট অপারেশন হয়। সে সময় প্রতিদিনই তিনি সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফোন করতেন। আমাদের পার্টি পর্যায়েও সাবধান করে দিতেন—কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা কেউ কোনো উসকানি না দেই। উসকানি দিলে যুদ্ধ হতে পারে, অন্য পক্ষ তো বসে থাকবে না। আমাদের আকাশসীমাও তারা দুএকবার লঙ্ঘন করেছিল। তারপরও আমরা কিন্তু তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধৈর্য ধরেছিলাম এবং তখন সে অবস্থাটা আর বেশি দূর এগোয়নি। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যাটা আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে।

তিনি বলেন, আজকে দুনিয়ার বিভিন্ন সংস্থা, বড় বড় দেশগুলো আমাদের প্রশংসা করে কিন্তু এই রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনে তাদের যে সাহায্যের পরিমাণটা ছিল, সেটা কিন্তু অনেক কমে গেছে। আমাদের এমনি অর্থনৈতিক চলমান সংকটে; আমরা নিজেরাই সংকটে আছি। আমাদের নিজেদেরই দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সেখানে ১২ লাখ রোহিঙ্গা, যাদের সন্তান-সন্ততি হয়ে সংখ্যা বাড়ছে। এই বোঝাটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে আছে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে অভিবাসীরা যায়, তাদের আশ্রয় দেয়।

কাদের বলেন, এখানে দুনিয়ার বড় বড় দেশগুলো, যারা এ সংকট নিয়ে আজকে কথা বলে; আমাদের তো লিপ সার্ভিসের দরকার নেই! দরকার এ বোঝাটা আমাদের কাঁধ থেকে সরিয়ে নেওয়া। সার্বিকভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, তিনি সর্বাগ্রে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গটা উত্থাপন করেন।

back to top