মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে পছন্দ-অপছন্দ বা সমর্থন করার কোনো বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আমাদের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য যখন নামের প্রস্তাব চাইবে, তখন আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী নাম দেব।’ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্ররা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের যেসব ঘটনা ঘটছে তার জন্য আন্দোলনের বিরোধিতাকারীরাই জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি। যারা এসব সহিংসতা করছে, এখনই তা বন্ধ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আমরা স্মরণ করছি। এই আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দলের নেতাকবর্মীরা ছিলেন এবং আছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।’ আমাদের ওপর অনেক বড় দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের যেসব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে তা গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলা হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে একটা বিষয়টি খুব জোর দিয়ে অনুরোধ রাখতে চাই যে, এই বার্তাটি সবার কাছে পোঁছে দেন, যারা এখনও সহিংসতা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করছেন তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। এখন রাগ, ক্ষোভ, প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বলব এই ব্যাপারে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সহিংসতাকারীদের প্রতিরোধ করুন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্দলীয় সরকার গঠনের কাজ সমাধান করতে হবে। আমি রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, কাল বিলম্ব না করে আপনি আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে দয়া করে সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করুন। অন্যথায় দেশে আবার রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দিতে পারে।’
তারেক রহমান কবে ফিরবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান যখনই মনে করবেন হিক্যান কাম ব্যাক। আমরা আমাদের অলরেডি অনুরোধ জানিয়েছি যে, দ্রুত চলে আসেন। সেই ব্যবস্থা হবে ইনআশাল্লাহ।’
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘ম্যাডাম সবাইকে প্রথম যা বলেছেন তা হলো, সবাইকে শান্ত হতে বলো। এমন কোনো পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, যাতে অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে যায় কেউ।’
খালেদা জিয়া কবে নাগাদ জনসমক্ষে আসবেন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন, ম্যাডাম খুব অসুস্থ। আমি মঙ্গলবার রাতে দেখা করেছি। তিনি যখনই ফিট মনে করবেন, সুস্থ বোধ করবেন তখনই তিনি জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন।’
‘গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুঃখ প্রকাশ করছি, এই বিজয়ের পরে কিছুসংখ্যক দুস্কৃতকারী তারা কয়েকটি টিভি সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করেছে, ভাঙচুর করেছে। এটা মুক্ত স্বাধীনতা ও স্বাধীন গণমাধ্যমের চিন্তার বিরুদ্ধে। আমরা সব সময় ফ্রিডম অব প্রেসে বিশ্বাস করি, আমরা বিশ্বাস করি, ব্যক্তি, মানুষ, সংগঠন, বিশেষ করে সাংবাদিকেরা তাদের মত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করবেন। সেই বিশ্বাসে আমরা মনে করি যে যারা এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেছেন, তারা এসব থেকে বিরত থাকবেন এবং সংবাদপত্রের যে মুক্ত ধারা, তা অব্যাহত রাখবেন।’
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছেন নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল থেকেই সেখানে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। মঙ্গলবার বিকেলে অসংখ্য নেতাকর্মী হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
গত ১৬ জুলাই রাতে কার্যালয়টিতে অভিযান চালায় ডিবি। এরপর ফটকে তালা লাগিয়ে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা ফিতা টাঙিয়ে দেয় পুলিশ। পরে ১৯ জুলাই ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা ওই তালা ভেঙে ফেলেন। ফের ২০ জুলাই মূল ফটকে তালা লাগানোর ঘটনা ঘটে। এরপর আর কেউ তালা ভাঙার সাহস করেনি।
বুধবার, ০৭ আগস্ট ২০২৪
মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে পছন্দ-অপছন্দ বা সমর্থন করার কোনো বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আমাদের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য যখন নামের প্রস্তাব চাইবে, তখন আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা আমাদের পছন্দ অনুযায়ী নাম দেব।’ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্ররা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের যেসব ঘটনা ঘটছে তার জন্য আন্দোলনের বিরোধিতাকারীরাই জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি। যারা এসব সহিংসতা করছে, এখনই তা বন্ধ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আমরা স্মরণ করছি। এই আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক দলের নেতাকবর্মীরা ছিলেন এবং আছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।’ আমাদের ওপর অনেক বড় দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের যেসব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে তা গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলা হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে একটা বিষয়টি খুব জোর দিয়ে অনুরোধ রাখতে চাই যে, এই বার্তাটি সবার কাছে পোঁছে দেন, যারা এখনও সহিংসতা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করছেন তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। এখন রাগ, ক্ষোভ, প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বলব এই ব্যাপারে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সহিংসতাকারীদের প্রতিরোধ করুন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্দলীয় সরকার গঠনের কাজ সমাধান করতে হবে। আমি রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, কাল বিলম্ব না করে আপনি আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে দয়া করে সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করুন। অন্যথায় দেশে আবার রাজনৈতিক শূন্যতা দেখা দিতে পারে।’
তারেক রহমান কবে ফিরবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান যখনই মনে করবেন হিক্যান কাম ব্যাক। আমরা আমাদের অলরেডি অনুরোধ জানিয়েছি যে, দ্রুত চলে আসেন। সেই ব্যবস্থা হবে ইনআশাল্লাহ।’
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘ম্যাডাম সবাইকে প্রথম যা বলেছেন তা হলো, সবাইকে শান্ত হতে বলো। এমন কোনো পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, যাতে অর্জিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে যায় কেউ।’
খালেদা জিয়া কবে নাগাদ জনসমক্ষে আসবেন প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন, ম্যাডাম খুব অসুস্থ। আমি মঙ্গলবার রাতে দেখা করেছি। তিনি যখনই ফিট মনে করবেন, সুস্থ বোধ করবেন তখনই তিনি জনগণের সামনে উপস্থিত হবেন।’
‘গণমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুঃখ প্রকাশ করছি, এই বিজয়ের পরে কিছুসংখ্যক দুস্কৃতকারী তারা কয়েকটি টিভি সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করেছে, ভাঙচুর করেছে। এটা মুক্ত স্বাধীনতা ও স্বাধীন গণমাধ্যমের চিন্তার বিরুদ্ধে। আমরা সব সময় ফ্রিডম অব প্রেসে বিশ্বাস করি, আমরা বিশ্বাস করি, ব্যক্তি, মানুষ, সংগঠন, বিশেষ করে সাংবাদিকেরা তাদের মত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করবেন। সেই বিশ্বাসে আমরা মনে করি যে যারা এই সমস্ত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকেছেন, তারা এসব থেকে বিরত থাকবেন এবং সংবাদপত্রের যে মুক্ত ধারা, তা অব্যাহত রাখবেন।’
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছেন নেতাকর্মীরা। এর আগে সকাল থেকেই সেখানে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। মঙ্গলবার বিকেলে অসংখ্য নেতাকর্মী হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
গত ১৬ জুলাই রাতে কার্যালয়টিতে অভিযান চালায় ডিবি। এরপর ফটকে তালা লাগিয়ে ‘ক্রাইম সিন’ লেখা ফিতা টাঙিয়ে দেয় পুলিশ। পরে ১৯ জুলাই ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা ওই তালা ভেঙে ফেলেন। ফের ২০ জুলাই মূল ফটকে তালা লাগানোর ঘটনা ঘটে। এরপর আর কেউ তালা ভাঙার সাহস করেনি।