alt

ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্য

সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামানসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪

সিন্ডিকেট করে ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অন্যরা হলেন- তার সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। এজন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন। টাকা আদায় বা উত্তোলনে মূল ভূমিকা পালন করতেন ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কামাল-হারুন সিন্ডিকেট। একপর্যায়ে হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও এই মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। ঝুঁকি এড়াতে টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে দেশের বাইরে।

অভিযোগ রয়েছে- জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে সর্বনিম্ন ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত নিতো এই চক্র। এই সিন্ডিকেটের আশীর্বাদ ছাড়া পুলিশের কেউ কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন পেতেন না। জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ কোটি টাকা নিতো এই সিন্ডিকেট।

২০২২ সালের ৩০ জুন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান ডিআইজি মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে মোল্ল্যা নজরুলকে গাজীপুরের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়। এর মাস খানেক আগে হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের কাছে ৫ কোটি টাকার একটি চেক দেন মোল্ল্যা নজরুল। পরবর্তীতে গাজীপুরের কমিশনার হিসেবে নিয়োগের পর হোটেল ওয়েস্টিনে হারুন অর রশীদের কাছে নগদ ২ কোটি টাকা দেন তিনি। এসময় পূর্বের চেকটি ফেরত নিয়ে মোল্ল্যা নজরুল ৩ কোটি টাকার একটি চেক দেন। পরবর্তীতে বাকি টাকাও দেওয়া হয়। এসব টাকা বস্তায় ভরে পৌঁছে দেওয়া হতো আসাদুজ্জামান খান কামালের ফার্মগেটের বাসায়।

সূত্র জানায়, এনজিও’র ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা ‘এনওসি’ দিতে গিয়ে প্রতি সংস্থা থেকে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা দিতে হতো আসাদুজ্জামান খান কামালের দরবারে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি উন্নয়ন সংস্থার এনওসি নিতে গেলে বিপত্তি শুরু হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখা, জেলা প্রশাসক, এনএসআই ইতিবাচক প্রতিবেদন দাখিল করে। তারপরও অদৃশ্য কারণে ফাইলটি মাসের পর মাস আটকে রাখা হয় মন্ত্রণালয়ে। বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে মন্ত্রীকে ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ফার্মগেট এলাকায় কামালের বাসার সামনে টাকার ব্যাগটি দেওয়া হয় তার পরিবারের এক সদস্যের কাছে।

ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সে কোনো সার্কুলার হলেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি তালিকা পাঠানো হতো। সে অনুযায়ী তাদেরকে নিয়োগ দিতে ফায়ার সার্ভিসকে বাধ্য করতেন সাবেক এই মন্ত্রী। ২০২৩ সালে ২ অক্টোবর ৫৩৫ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এর মধ্যে ছিলেন ৪৩৬ পুরুষ ফায়ার ফাইটার, ১৫ জন নারী ফায়ার ফাইটার ও ৮৪ জন গাড়িচালক। নিয়োগ কার্যক্রমের শুরুতেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে ২৫০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে। সাবেক এই মন্ত্রীর নির্দেশে সেই তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে বাধ্য হয় ফায়ার সার্ভিস। নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ৮-১২ লাখ টাকা নিতো কামাল-হারুন সিন্ডিকেট।

ছবি

নিবন্ধনের দাবিতে অনশনকারী তারেক রহমানের দাবি পূরণে এগোচ্ছে ইসি

আমজনতাসহ ২ দল পাচ্ছে নিবন্ধন

ছবি

বাম জোটের যমুনামুখী মিছিল আটকে দিলো পুলিশ

আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

ছবি

বিএনপির আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

ছবি

মধ্যরাতের পরে বা শুক্রবার ভোরে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে খালেদা জিয়া

ছবি

কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

ছবি

লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রাতে খালেদা জিয়ার যাত্রা

ছবি

খালেদা জিয়া মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জীবনভর সংগ্রাম করেছেন: আমিনুল হক

ছবি

তফসিল পরে, আগে ‘রাজনৈতিক সংকট’ সমাধান চায় এনসিপি

ছবি

তারেক রহমান ‘কবে ফিরবেন’ জানা নেই বললেন আমীর খসরু

ছবি

পছন্দে জামায়াত, ভোটে এগিয়ে বিএনপি, মার্কিন প্রতিষ্ঠানের জরিপ

ছবি

রেজা কিবরিয়া এবার বিএনপিতে

ছবি

‘যারা বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন তারা আবার ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করতে চায়’

ছবি

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি: কী বলছেন বিএনপি নেতারা

ছবি

খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটাপন্ন: ভেন্টিলেশন সাপোর্টে, অবস্থার আরও অবনতি

ছবি

একটি দল দেশের মঙ্গল চায় না, তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা আব্বাস

ছবি

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জাপা একাংশের

ছবি

নারায়ণগঞ্জে মোহাম্মদ আলীর নির্বাচন করার ঘোষণা

ছবি

জামায়াতের ‘হিন্দু প্রার্থী’: কতোটা প্রভাব ফেলবে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত’ আসনে

ছবি

স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি

ছবি

বিদেশ নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল

ছবি

বাঁশখালীতে চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তাদের পুনর্বহনের প্রতিশ্রুতি জামায়াত প্রার্থী জহিরুল ইসলামের

ছবি

বিএনপি সব সময় অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ভোটের তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করবে ইসি

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পরিবার

দেশের ফেরার সিদ্ধান্ত তার ‘একার নিয়ন্ত্রণে নয়’, বললেন তারেক

ছবি

ড্যাব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

ছবি

পাবনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ: গুলি ছোড়া যুবককে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের পাল্টাপাল্টি দাবি

ছবি

সাংবাদিকদের আবারও দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

ছবি

আ’লীগের নেতৃত্ব পরিবর্তনে ‘বিদেশ থেকে খেলা চলছে’, অভিযোগ জয়ের

ছবি

লালপুরে এবি পার্টির প্রার্থীর বিলবোর্ড ভেঙ্গে ও ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

ছবি

গোয়াইনঘাটে হাকিম চৌধুরীর উঠান বৈঠক ও গণমিছিল

ছবি

সিলেট-৩ আসনে লেবার পার্টির প্রার্থী মতিউর রহমান খানের প্রচারণা শুরু

ছবি

নরসিংদীতে বিএনপি প্রার্থীর বহরের গাড়ীতে আগুন, দগ্ধ ৪

ওবিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

tab

ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্য

সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামানসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০২৪

সিন্ডিকেট করে ঘুষ ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অন্যরা হলেন- তার সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপপরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। এজন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন। টাকা আদায় বা উত্তোলনে মূল ভূমিকা পালন করতেন ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কামাল-হারুন সিন্ডিকেট। একপর্যায়ে হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও এই মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। ঝুঁকি এড়াতে টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে দেশের বাইরে।

অভিযোগ রয়েছে- জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে সর্বনিম্ন ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত নিতো এই চক্র। এই সিন্ডিকেটের আশীর্বাদ ছাড়া পুলিশের কেউ কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন পেতেন না। জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ কোটি টাকা নিতো এই সিন্ডিকেট।

২০২২ সালের ৩০ জুন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান ডিআইজি মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে মোল্ল্যা নজরুলকে গাজীপুরের কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়। এর মাস খানেক আগে হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের কাছে ৫ কোটি টাকার একটি চেক দেন মোল্ল্যা নজরুল। পরবর্তীতে গাজীপুরের কমিশনার হিসেবে নিয়োগের পর হোটেল ওয়েস্টিনে হারুন অর রশীদের কাছে নগদ ২ কোটি টাকা দেন তিনি। এসময় পূর্বের চেকটি ফেরত নিয়ে মোল্ল্যা নজরুল ৩ কোটি টাকার একটি চেক দেন। পরবর্তীতে বাকি টাকাও দেওয়া হয়। এসব টাকা বস্তায় ভরে পৌঁছে দেওয়া হতো আসাদুজ্জামান খান কামালের ফার্মগেটের বাসায়।

সূত্র জানায়, এনজিও’র ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা ‘এনওসি’ দিতে গিয়ে প্রতি সংস্থা থেকে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা দিতে হতো আসাদুজ্জামান খান কামালের দরবারে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি উন্নয়ন সংস্থার এনওসি নিতে গেলে বিপত্তি শুরু হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখা, জেলা প্রশাসক, এনএসআই ইতিবাচক প্রতিবেদন দাখিল করে। তারপরও অদৃশ্য কারণে ফাইলটি মাসের পর মাস আটকে রাখা হয় মন্ত্রণালয়ে। বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে মন্ত্রীকে ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। ফার্মগেট এলাকায় কামালের বাসার সামনে টাকার ব্যাগটি দেওয়া হয় তার পরিবারের এক সদস্যের কাছে।

ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সে কোনো সার্কুলার হলেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি তালিকা পাঠানো হতো। সে অনুযায়ী তাদেরকে নিয়োগ দিতে ফায়ার সার্ভিসকে বাধ্য করতেন সাবেক এই মন্ত্রী। ২০২৩ সালে ২ অক্টোবর ৫৩৫ জনকে জনকে নিয়োগ দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এর মধ্যে ছিলেন ৪৩৬ পুরুষ ফায়ার ফাইটার, ১৫ জন নারী ফায়ার ফাইটার ও ৮৪ জন গাড়িচালক। নিয়োগ কার্যক্রমের শুরুতেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে ২৫০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে। সাবেক এই মন্ত্রীর নির্দেশে সেই তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে বাধ্য হয় ফায়ার সার্ভিস। নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ৮-১২ লাখ টাকা নিতো কামাল-হারুন সিন্ডিকেট।

back to top