শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবুকে আরও মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি করে বুধবার তা মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে বাড্ডা থানার তিন হত্যার ঘটনায় পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলাতেই দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার সঙ্গে একটি মামলাতে জড়িয়েছেন মোজাম্মেল বাবু। আর সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও জুনাইদ আহমেদ পলককে দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তাদেরকে কারাগার থেকে সকালে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে প্রত্যেককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
এসময় আসামি পক্ষের কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও তারা জামিনের আবেদন করেননি। তবে একটি মামলায় দীপু মনির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন।
বাড্ডার প্রগতি সরণিতে হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, দীপু মনি ও জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জেহাদ হোসেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২০ জুলাই মেরুল বাড্ডা এলাকায় আসামিরা এলোপাতারিভাবে গুলি চালায়। তাতে হাফিজুল শিকদারের (২৮) ঘাড়ের কাছ দিয়ে গুলি ঢুকে ডান হাতের বগল দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই হাফিজুলের মৃত্যু হয়।
রাজধানীর বাড্ডা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, দীপু মনি ও পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইমরুল ফাহাদ।
মামলার নথি অনুযায়ী, গত ৫ অগাস্ট সকাল ১০টায় কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সোহাগ বাড্ডা গুলশান রিংক রোড এলাকায় পৌঁছালে গুলিবিদ্ধ হন। তাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বাড্ডার বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া হত্যা মামলায় দীপু মনি ও মোজ্জাম্মেল বাবুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন বাড্ডা থানার এসআই সৌমিত্র সাহা।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই মেরুল বাড্ডায় ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারীরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ছোড়ে। তখন বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে তৌফিকুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে ২১ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়।
এ মামলায় দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন।
শুনানিতে তিনি বলেন, “ডা. দীপু মনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তিনি তিনবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে রাজনৈতিক হয়রানির জন্য বিভিন্ন মামলায় বারবার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।
“এটা ন্যায়ের শাসনের পরিপন্থি। এভাবে বারবার গ্রেপ্তার দেখানো হলে বিচাবিভাগের উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।”
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ওই আবেদন নাকচ করে দীপু মনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল বাবুকে আরও মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশের আবেদনের ওপর শুনানি করে বুধবার তা মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে বাড্ডা থানার তিন হত্যার ঘটনায় পৃথক মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলাতেই দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার সঙ্গে একটি মামলাতে জড়িয়েছেন মোজাম্মেল বাবু। আর সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও জুনাইদ আহমেদ পলককে দুইটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তাদেরকে কারাগার থেকে সকালে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে প্রত্যেককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
এসময় আসামি পক্ষের কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও তারা জামিনের আবেদন করেননি। তবে একটি মামলায় দীপু মনির জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন।
বাড্ডার প্রগতি সরণিতে হাফিজুল শিকদার হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, দীপু মনি ও জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জেহাদ হোসেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২০ জুলাই মেরুল বাড্ডা এলাকায় আসামিরা এলোপাতারিভাবে গুলি চালায়। তাতে হাফিজুল শিকদারের (২৮) ঘাড়ের কাছ দিয়ে গুলি ঢুকে ডান হাতের বগল দিয়ে বেরিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই হাফিজুলের মৃত্যু হয়।
রাজধানীর বাড্ডা থানার সোহাগ মিয়া হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, দীপু মনি ও পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইমরুল ফাহাদ।
মামলার নথি অনুযায়ী, গত ৫ অগাস্ট সকাল ১০টায় কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সোহাগ বাড্ডা গুলশান রিংক রোড এলাকায় পৌঁছালে গুলিবিদ্ধ হন। তাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে বাড্ডার বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া হত্যা মামলায় দীপু মনি ও মোজ্জাম্মেল বাবুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন বাড্ডা থানার এসআই সৌমিত্র সাহা।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই মেরুল বাড্ডায় ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারীরা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ছোড়ে। তখন বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে তৌফিকুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে ২১ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে তার মৃত্যু হয়।
এ মামলায় দীপু মনিকে গ্রেপ্তার দেখানোর পর তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন।
শুনানিতে তিনি বলেন, “ডা. দীপু মনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তিনি তিনবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে রাজনৈতিক হয়রানির জন্য বিভিন্ন মামলায় বারবার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।
“এটা ন্যায়ের শাসনের পরিপন্থি। এভাবে বারবার গ্রেপ্তার দেখানো হলে বিচাবিভাগের উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।”
জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ওই আবেদন নাকচ করে দীপু মনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।