বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর বিএনপিও এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। তবে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনী রোড ম্যাপ ‘পরিষ্কার করতে হবে’, বলে জানিয়েছেন তারেক রহমান।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাস্তবতা বিবেচনায় আমাদের বুঝতে হবে সব পরিবর্তন সাধান তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) পক্ষে সম্ভব নয়। তেমনি এমন দায়িত্ব তাদের নেওয়া উচিত হবে না যেটা তারা বহন করতে সক্ষম নয়। তারপরও তাদের প্রতি সেদিনের মতো আজো আমাদের সমর্থন আছে।’ তাদের ‘দায়িত্ব’ যেন তারা ‘সঠিকভাবে পালন’ করতে পারেন ‘সেই রকম সমর্থন’ বিএনপির অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
শনিবার ঝিনাইদাহ সদরে কবুতর চত্বর মোড়ে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক গণ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের সকল মানুষের সমর্থন নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন ছিলো।’ তাদের প্রতি আস্থা যেন প্রশ্নহীন থাকে সেই দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে উল্লেখ করে তারেক বলেন, ‘বর্তমানে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের প্রতি অর্পিত যে দায়িত্ব সেটা যথাযথভাবে পালনের জন্য যে রোড ম্যাপ সেটা নির্দিষ্ট করতে হবে তাদেরকেই।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর ধরে পতিত স্বৈরাচারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, দাবিয়ে রাখা হয়েছিল মানুষের ন্যায্য অধিকারগুলোকে। কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের সকল মানুষের।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের ফেলে যাওয়া প্রশাসনের ষড়যন্ত্র কিন্তু আমরা দেখতে পাই। বর্তমান সরকার মাঝে মাঝেই অসহায় বোধ করছেন। এর অবসান যদি না হয়, তাহলে দেখা যাবে একটা সময় ছোট ছোট বিপর্যয়গুলো বড় আকার ধারণ করবে। স্বাভাবিকভাবেই তখন প্রতিকারের পথ হয়ে যাবে সংকীর্ণ।’
নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করেন। তারা বুঝতে সক্ষম বৈদেশিক বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বিশ্বের আস্থা, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, ব্যবসা বাণিজ্যে স্বস্তি, জনগণের নিরাপত্তা, দেশ ও জনগণের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা; এই সব কিছু দিতে পারে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ১৭ বছর ধরে অবিরাম আন্দোলনে গুম খুন নির্যাতনে পিষ্ট মানুষের সম্মান দিতে ব্যার্থ হই তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদাহ শহরের কবুতর চত্তর ও আশপাশের কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
ঝিনাইদহর সাথে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা, কুষ্টিয়া, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে বৃষ্টির কারণে সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করা হয়।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, নির্বাহী কমিটি সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খাঁন শিমুলসহ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ঝিনাইদা জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মসজিদের সভাপতিতে সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।
শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর বিএনপিও এই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। তবে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনী রোড ম্যাপ ‘পরিষ্কার করতে হবে’, বলে জানিয়েছেন তারেক রহমান।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাস্তবতা বিবেচনায় আমাদের বুঝতে হবে সব পরিবর্তন সাধান তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) পক্ষে সম্ভব নয়। তেমনি এমন দায়িত্ব তাদের নেওয়া উচিত হবে না যেটা তারা বহন করতে সক্ষম নয়। তারপরও তাদের প্রতি সেদিনের মতো আজো আমাদের সমর্থন আছে।’ তাদের ‘দায়িত্ব’ যেন তারা ‘সঠিকভাবে পালন’ করতে পারেন ‘সেই রকম সমর্থন’ বিএনপির অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
শনিবার ঝিনাইদাহ সদরে কবুতর চত্বর মোড়ে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এক গণ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের সকল মানুষের সমর্থন নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন ছিলো।’ তাদের প্রতি আস্থা যেন প্রশ্নহীন থাকে সেই দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে উল্লেখ করে তারেক বলেন, ‘বর্তমানে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের প্রতি অর্পিত যে দায়িত্ব সেটা যথাযথভাবে পালনের জন্য যে রোড ম্যাপ সেটা নির্দিষ্ট করতে হবে তাদেরকেই।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর ধরে পতিত স্বৈরাচারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল বাংলাদেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের অধিকারগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল, দাবিয়ে রাখা হয়েছিল মানুষের ন্যায্য অধিকারগুলোকে। কিন্তু জনগণের আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের সকল মানুষের।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারের ফেলে যাওয়া প্রশাসনের ষড়যন্ত্র কিন্তু আমরা দেখতে পাই। বর্তমান সরকার মাঝে মাঝেই অসহায় বোধ করছেন। এর অবসান যদি না হয়, তাহলে দেখা যাবে একটা সময় ছোট ছোট বিপর্যয়গুলো বড় আকার ধারণ করবে। স্বাভাবিকভাবেই তখন প্রতিকারের পথ হয়ে যাবে সংকীর্ণ।’
নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করেন। তারা বুঝতে সক্ষম বৈদেশিক বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বিশ্বের আস্থা, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, ব্যবসা বাণিজ্যে স্বস্তি, জনগণের নিরাপত্তা, দেশ ও জনগণের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা; এই সব কিছু দিতে পারে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ১৭ বছর ধরে অবিরাম আন্দোলনে গুম খুন নির্যাতনে পিষ্ট মানুষের সম্মান দিতে ব্যার্থ হই তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদাহ শহরের কবুতর চত্তর ও আশপাশের কমপক্ষে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
ঝিনাইদহর সাথে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা, কুষ্টিয়া, খুলনা ও চুয়াডাঙ্গার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে বৃষ্টির কারণে সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করা হয়।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, নির্বাহী কমিটি সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খাঁন শিমুলসহ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
ঝিনাইদা জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মসজিদের সভাপতিতে সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা।