রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী শনিবার থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সংলাপ শুরু হবে। এতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সংলাপে উপদেষ্টারাও উপস্থিত থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, এ আলোচনার মুখ্য বিষয় হবে সংস্কার কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা। সেখানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বিষয়েও তাদের সাথে কথা হবে, তাদের পরামর্শ নেয়া হবে।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি প্রেস সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুরোটাই প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাম-লী নির্ধারণ করবেন। আমি যতটুকু জেনেছি যে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে দাওয়াত দেয়া হবে।’
এ সময় প্রেস সচিব জানান, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে কমিশনগুলো গঠন হয়ে যাবে।
একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করে ছয় জন প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে এসব কমিশনের সদস্য নিয়োগ দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এই বিলম্বের কারণ কি? প্রশ্নকারী আরো বলেন, ‘আলোচনা আছে অনেককেই প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে তবে তারা কমিশনে যোগ দিতে সম্মত হচ্ছেন না। এ বিষয়টা একটু পরিষ্কার করবেন?’
জবাবে প্রস সচিব বলেন, তিনি আগেই বলেছেন ২-৩ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, কমিশনের প্রধান নিয়োগ মানেই কমিশন এর কাজ শুরু হয়ে যাওয়া।
শফিকুল আলম বলেন, কমিশন গুলোর পক্ষ থেকে অফিসের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনেককে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, মতামত জানতে চাওয়া হচ্ছে।
প্রেস সচিব বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের একটা ব্যাপার আছে। কিছুটা সময় লাগবে। এটা এমন কোন বিষয় নয়।
রাজনৈতিক দলগুলো থেকে কমিশনে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, এটা তার মনে হয় না।
কয়েকটি ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো সরকারেরই অনেক কিছুতেই সমালোচনা হয়। এটা স্বাভাবিক বিষয়।
সংলাপে প্রথম কোন দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা উপদেষ্টাম-লী নির্ধারণ করবেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে বড় ভূমিকা রেখেছিল সাধারণ মানুষ। তাদের মতামত কিভাবে নেয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই এই সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
প্রবল গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর শপথ নেওয়া অন্তর্র্বতী সরকার এর আগে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আগে এই আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনটিতে শোক দিবসের ছুটি বাতিল করা হয়। পালন করা হয়নি কোনো রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা।
অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনের দাবিতে রোডম্যাপ দাবি করতে থাকলে সেই মাসের শেষে দ্বিতীয় দফায় সংলাপ হয়। সেই সংলাপে বেশিরভাগ দল ‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’, এমন মত দেয়।
খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য অঞ্চলের সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি মনে করি না অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। বাঙালি একজন শিক্ষককে পিটিয়ে মারা হয়েছে। সে নিয়ে কিছু অস্থিরতা হয়েছিল। আজকে পরিস্থিতি অনেকটা ভালো।
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফায় সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী শনিবার থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সংলাপ শুরু হবে। এতে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সংলাপে উপদেষ্টারাও উপস্থিত থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
শফিকুল আলম বলেন, এ আলোচনার মুখ্য বিষয় হবে সংস্কার কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা। সেখানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বিষয়েও তাদের সাথে কথা হবে, তাদের পরামর্শ নেয়া হবে।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি প্রেস সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুরোটাই প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাম-লী নির্ধারণ করবেন। আমি যতটুকু জেনেছি যে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে দাওয়াত দেয়া হবে।’
এ সময় প্রেস সচিব জানান, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে কমিশনগুলো গঠন হয়ে যাবে।
একজন সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করে ছয় জন প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে এসব কমিশনের সদস্য নিয়োগ দিতে বিলম্ব হচ্ছে। এই বিলম্বের কারণ কি? প্রশ্নকারী আরো বলেন, ‘আলোচনা আছে অনেককেই প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে তবে তারা কমিশনে যোগ দিতে সম্মত হচ্ছেন না। এ বিষয়টা একটু পরিষ্কার করবেন?’
জবাবে প্রস সচিব বলেন, তিনি আগেই বলেছেন ২-৩ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, কমিশনের প্রধান নিয়োগ মানেই কমিশন এর কাজ শুরু হয়ে যাওয়া।
শফিকুল আলম বলেন, কমিশন গুলোর পক্ষ থেকে অফিসের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনেককে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, মতামত জানতে চাওয়া হচ্ছে।
প্রেস সচিব বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের একটা ব্যাপার আছে। কিছুটা সময় লাগবে। এটা এমন কোন বিষয় নয়।
রাজনৈতিক দলগুলো থেকে কমিশনে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, এটা তার মনে হয় না।
কয়েকটি ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনো সরকারেরই অনেক কিছুতেই সমালোচনা হয়। এটা স্বাভাবিক বিষয়।
সংলাপে প্রথম কোন দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এটা উপদেষ্টাম-লী নির্ধারণ করবেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে বড় ভূমিকা রেখেছিল সাধারণ মানুষ। তাদের মতামত কিভাবে নেয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই এই সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
প্রবল গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর শপথ নেওয়া অন্তর্র্বতী সরকার এর আগে দুই দফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আগে এই আলোচনার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনটিতে শোক দিবসের ছুটি বাতিল করা হয়। পালন করা হয়নি কোনো রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা।
অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনের দাবিতে রোডম্যাপ দাবি করতে থাকলে সেই মাসের শেষে দ্বিতীয় দফায় সংলাপ হয়। সেই সংলাপে বেশিরভাগ দল ‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’, এমন মত দেয়।
খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য অঞ্চলের সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি মনে করি না অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছে। বাঙালি একজন শিক্ষককে পিটিয়ে মারা হয়েছে। সে নিয়ে কিছু অস্থিরতা হয়েছিল। আজকে পরিস্থিতি অনেকটা ভালো।