সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী : রুমিন ফারহানা

বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪
জাবি প্রতিনিধি

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি করে বলেছেন, যদি বর্তমানে কোনো সংবিধান না থাকে তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিলেন কীভাবে? একটা প্রশ্ন থেকেই যায়৷ সংবিধানের ৫৭ (৩) অনুযায়ী পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বভার নেওয়ার আগ পর্যন্ত পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী তার পদে বহাল থাকবে। সেই হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এখনো শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারি কক্ষে ‘সংবিধান: ক্ষমতার না জনতার’ শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে রেখে কীভাবে রাষ্ট্রের মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা করছেন? রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সাথে সংবিধানের মূলনীতি তথা ধর্মনিরপেক্ষতা সাংঘর্ষিক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাইজার মোহাম্মদ শাওলীনের সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মী ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আমাদের সংবিধান অনেক বৈপরীত্যে ভরা। যেমন- সংবিধানের ২ এর (ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলা হয়েছে। আবার এই সংবিধানের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ এই ৪টি মূলনীতি আছে। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে রেখে কীভাবে রাষ্ট্রের মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা করছেন? নতুন প্রজন্মের কাছে আমার হাত জোড় করে অনুরোধ, ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রাখবেন, রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রের জায়গায়। রাষ্ট্রের সাথে ধর্ম, ধর্মের সাথে রাষ্ট্রকে মেলাবেন না।

রুমিন ফারহানা দেশের আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে আমরা চিন্তিত। এটা যদি স্বাধীন না থাকে তাহলে রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র থাকে না। আমরা কিন্তু সেটাই করছি। সংবিধানে বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আবার রাষ্ট্রপতির কার্যত কোনো ক্ষমতাই নাই। তাকে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে করতে হয়। দেশে রাষ্ট্রপতি যারা হন তাদের যোগ্যতা নিয়েও কথা বলার আছে। এর জন্য রাষ্ট্রপতি কে হতে পারবেন তা নিয়ে আগে কথা বলতে হবে।

সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত সংবিধানের প্রত্যেকটা সংশোধনী হয়েছে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে। রাষ্ট্রের পুরো কাঠামোকে ভেঙে দিয়েছে চতুর্থ সংশোধনী।

সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, দেশের সংসদে সবসময় দেখা যায় হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে, হ্যাঁ জয়যুক্ত হয়েছে। আমরা কিন্তু সংসদে না ভোটও দিয়েছি। কিন্তু এ না ভোট কখনো জয়যুক্ত হতে শুনেছেন? শুনেননি। কারণ, না ভোট যদি ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ দেয়, তাহলে তার সাংসদ ও দলের পদ থাকে না। এটা পরিবর্তনে সময় এসেছে। এ জন্য সবাইকে কথা বলতে হবে।

‘রাজনীতি’ : আরও খবর

» ঢাকা-বগুড়ায় খালেদা ও তারেকের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিলো বিএনপি

» ৩০০ আসনে ২৫৮২টি মনোনয়নপত্র জমা, শেষ দিনে উপচেপড়া ভিড়

» নির্বাচনে অংশ নেবে না জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি

সম্প্রতি