সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা এবং দুটি হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে সারা দেশে অন্তত ২৩২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এ মামলাগুলোর মধ্যে ১৯৭টি হত্যা মামলা। উল্লেখযোগ্য হলো, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিভিন্ন গুলির ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী হত্যা মামলা
রাজধানীর হাতিরঝিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মামুন মিয়াকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন নিহত মামুনের মা হেনা বেগম। এজাহারে বলা হয়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিলে গুলি ছুঁড়ে। এতে মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে।
উত্তরায় হত্যা মামলা
উত্তরায় সাব্বির হোসেন নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা আমোদ আলী এ মামলা করেছেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালালে সাব্বির ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলায় তার পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে।
রামপুরায় হত্যাচেষ্টার মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে আবু নোমান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১৯ জুলাই রামপুরার বনশ্রী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপি কর্মীর হত্যা মামলার অভিযোগ
সাবেক বিএনপি কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালে বাদীকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি অভিনেত্রী শমী কায়সার, সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এই মামলাগুলোর তদন্ত চলছে এবং অধিকাংশ মামলায় উচ্চপর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সম্প্রতি এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি হত্যা এবং দুটি হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তার বিরুদ্ধে সারা দেশে অন্তত ২৩২টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এ মামলাগুলোর মধ্যে ১৯৭টি হত্যা মামলা। উল্লেখযোগ্য হলো, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিভিন্ন গুলির ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সরকারের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী হত্যা মামলা
রাজধানীর হাতিরঝিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মামুন মিয়াকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন নিহত মামুনের মা হেনা বেগম। এজাহারে বলা হয়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিলে গুলি ছুঁড়ে। এতে মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে।
উত্তরায় হত্যা মামলা
উত্তরায় সাব্বির হোসেন নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা আমোদ আলী এ মামলা করেছেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালালে সাব্বির ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলায় তার পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে।
রামপুরায় হত্যাচেষ্টার মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে আবু নোমান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১৯ জুলাই রামপুরার বনশ্রী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিএনপি কর্মীর হত্যা মামলার অভিযোগ
সাবেক বিএনপি কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালে বাদীকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি অভিনেত্রী শমী কায়সার, সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমসহ আরও অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
এই মামলাগুলোর তদন্ত চলছে এবং অধিকাংশ মামলায় উচ্চপর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।
