alt

রাজনীতি

আমি আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে নেই : এম এ মান্নান

প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ : শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

২০ দিন পর কারাগার থেকে বাড়ি ফিরেছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি নিজের বাড়িতে আসেন। তার ফেরার খবরে আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে ওই বাড়িতে। তাদের খোঁজ-খবর নেওয়ার ব্যাপারটি ভালো লেগেছে বলে জানান এম এ মান্নান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এম এ মান্নানের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরভর্তি মানুষের ভিড়। এম এ মান্নান নামাজ শেষ করে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ মান্নান বলেন, জুলাই মাসের ২৪ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত আমি আমার গ্রামের বাড়ি শান্তিগঞ্জে অবস্থান করছি। মাঝে ২০ দিন কারাগারে ছিলাম। আমাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গিয়েছিল সুনামগঞ্জের একটি মামলায়। ৪ আগস্ট নাকি সুনামগঞ্জে কী ঝামেলা হয়েছে। সেই ঝামেলায় আমিসহ অনেক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার ব্যাপারটা আমার অজানা ছিল। গায়েবি মামলা কি না জানি না। আমি কাউকেই চিনি না।

তিনি বলেন, আমি গত তিন মাসে একবারও সুনামগঞ্জ শহরে যাইনি। সুনামগঞ্জে আমার কোনো ঘরবাড়ি নেই, আমি সেখানে বাস করি না। আমি সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের কোনো নেতাও না। আমি সুনামগঞ্জ তথা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতেও নেই। তবে হ্যাঁ, আমি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ছিলাম এটা ঠিক। কিন্তু সুনামগঞ্জের আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু হঠাৎ দেখি আমার নামেও মামলা হলো।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি নির্ভয়ে বাড়িতেই ছিলাম। আমি পালাইনি, পালাব কেন? মামলা দায়েরের কিছুদিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় সুনামগঞ্জের এসপি সাহেব এসে আমাকে ধরে নিয়ে গেলেন। সেদিন থেকে একটানা জেলে ছিলাম। প্রথমে সুনামগঞ্জের জেলে, পরে বাদাঘাটের জেলে ছিলাম। শেষ দুই দিন আমি ওসমানী মেডিকেলে অসুস্থতার জন্য ভর্তি ছিলাম। গতকাল আদালত আমাকে দয়া করে জামিন দিয়েছেন।

আপনার সমর্থনে একপক্ষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আবার অন্য একটি পক্ষ আপনার শাস্তি চেয়েছে, এই ব্যাপারটাকে কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সমর্থনে সমর্থকরা মানববন্ধন করেছেন, আমি শুনেছি। আমার কাছে মোবাইল বা এমন কিছু ছিল না জানা বা দেখার মতো। আমার হাতের ঘড়ি, আমার মোবাইল সবকিছু প্রথম দিনই এসপি সাহেব নিয়ে গেছেন।

সুস্থতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ও হাসপাতালের ডাক্তাররা আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন। আমি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পেয়েছি। বড় বড় ডাক্তাররা আমার চিকিৎসা করেছেন। গতকাল থেকে আজ সারাদিন যাবত তারা আমাকে নানা চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তারা মনে করেছেন আমি ভালো আছি। তবে আমাকে শারীরিকভাবে ভালো দেখলেও মানসিকভাবে অবসাদে আছি, বিধ্বস্ত আছি।

তিনি আরও বলেন, আমি ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি আমি জেলে যাব। এটা আমার দোষ হতে পারে কারণ আমি বোকা। বোকা, কারণ আমি মনে করিনি আমি জেলে যাব। আমি মনে মনে কষ্ট পেয়েছি এই ভেবে যে, আমি কেন জেলে গেলাম। আমি কিছু করি নাই তো। আর যে মামলায় আমি জেলে গেলাম সেই মামলা দোয়ারাবাজারের এক লোক করেছে। তাকে আমি চিনিই না। আর আমি ঘটনার দিন সুনামগঞ্জ শহরেই ছিলাম না।

জামিন পাওয়ার ব্যাপারে এম এ মান্নান বলেন, আমাকে আদালত বিবেচনা করেছেন। জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সুনামগঞ্জের সুশীল সমাজ, নিজ এলাকার মানুষ দোয়া করেছেন বলেই আমি জামিন পেয়েছি। যারা আমার জন্য মানববন্ধন করেছেন, দোয়া করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।

ছবি

আওয়ামী লীগের তৈরি আইনেই তাদের বিচার করতে হবে: জামায়াতের আমির

ছবি

নারায়ণগঞ্জে দখল ও চাঁদাবাজি : ওসমানদের শুন্যস্থানে বিএনপির লোক

ছবি

কারাগারে সাবেক এমপি বোমা মানিক

ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা

ছবি

১০ দফা সংস্কার প্রস্তাবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় জামায়াত

সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনো প্রধানমন্ত্রী : রুমিন ফারহানা

ছবি

ক্ষমতায় এলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ও দখলদারত্বের বিচার হবে : মির্জা ফখরুল

ছবি

রাষ্ট্র সংস্কারে যেসব প্রস্তাব দিল জামায়াত

ছবি

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র হিসেবে বিএনপির শাহাদাত হোসেনকে ঘোষণা, প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি

পদত্যাগ করেছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী

ছবি

সাবেক মেয়র তাপস ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ছবি

সীমান্তে স্বর্ণা দাস হত্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিবাদ নেই কেন- প্রশ্ন রিজভীর

ছবি

সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

সংবিধান সংস্কার নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার গুরুত্ব

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীতে রাজনীতি বন্ধ ও সামরিক আইন সংস্কারের দাবি

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণঅধিকার পরিষদের ১২ দফা দাবি

ছবি

নির্বাচন থেকে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ : জামায়াত

ছবি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ: ইসি গঠন ও ভোটের রোড ম্যাপ চেয়েছে বিএনপি

ছবি

বিরাজনীতিকরণ চাই না, উদার গণতন্ত্র দেখতে চাই: ফখরুল

ছবি

সংলাপে কাদের সঙ্গে কখন বসবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

শহীদরা জাতির সম্পদ, দলীয় ভিত্তিতে তাদের ভাগ করতে চাই না

জনতা পার্টির নতুন চেয়ারম্যান হলেন হুমায়ূন কবীর আকন

শনিবার থেকে দলগুলোর সঙ্গে ফের আলোচনা

আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের শরিকদের বিরুদ্ধে ট্র্যাইব্যুনালে অভিযোগ

ছবি

প্রকাশ্যে এল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

ছবি

দুই মামলায় আবারও ৭ দিনের রিমান্ডে সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশে ৩৩ পুলিশ সুপারের নতুন স্থানে বদলি

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে বিদেশে দুদকের ৭১ চিঠি

ছবি

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর ডিবি হেফাজতে

ছবি

শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

ছবি

নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চান বিএনপি নেতা হাফিজ

ছবি

বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত

ছবি

মুগ্ধের ভাইয়ের বেদনাবিধুর আহ্বান: ‘আমি এখন আর হাসতে পারি না’

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার জন্মদিনে `গণ জুতা নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা’

ছবি

সরকারকে নির্বাচনী রোড ম্যাপ পরিষ্কার করতে হবে: তারেক রহমান

গাজীপুরে বিএনপি মহাসচিব : মির্জা ফখরুল

tab

রাজনীতি

আমি আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে নেই : এম এ মান্নান

প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ

শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

২০ দিন পর কারাগার থেকে বাড়ি ফিরেছেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি নিজের বাড়িতে আসেন। তার ফেরার খবরে আত্মীয়স্বজন ও কাছের মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে ওই বাড়িতে। তাদের খোঁজ-খবর নেওয়ার ব্যাপারটি ভালো লেগেছে বলে জানান এম এ মান্নান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এম এ মান্নানের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরভর্তি মানুষের ভিড়। এম এ মান্নান নামাজ শেষ করে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ মান্নান বলেন, জুলাই মাসের ২৪ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত আমি আমার গ্রামের বাড়ি শান্তিগঞ্জে অবস্থান করছি। মাঝে ২০ দিন কারাগারে ছিলাম। আমাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গিয়েছিল সুনামগঞ্জের একটি মামলায়। ৪ আগস্ট নাকি সুনামগঞ্জে কী ঝামেলা হয়েছে। সেই ঝামেলায় আমিসহ অনেক লোকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার ব্যাপারটা আমার অজানা ছিল। গায়েবি মামলা কি না জানি না। আমি কাউকেই চিনি না।

তিনি বলেন, আমি গত তিন মাসে একবারও সুনামগঞ্জ শহরে যাইনি। সুনামগঞ্জে আমার কোনো ঘরবাড়ি নেই, আমি সেখানে বাস করি না। আমি সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের কোনো নেতাও না। আমি সুনামগঞ্জ তথা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতেও নেই। তবে হ্যাঁ, আমি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ছিলাম এটা ঠিক। কিন্তু সুনামগঞ্জের আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমার সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু হঠাৎ দেখি আমার নামেও মামলা হলো।

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমি নির্ভয়ে বাড়িতেই ছিলাম। আমি পালাইনি, পালাব কেন? মামলা দায়েরের কিছুদিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় সুনামগঞ্জের এসপি সাহেব এসে আমাকে ধরে নিয়ে গেলেন। সেদিন থেকে একটানা জেলে ছিলাম। প্রথমে সুনামগঞ্জের জেলে, পরে বাদাঘাটের জেলে ছিলাম। শেষ দুই দিন আমি ওসমানী মেডিকেলে অসুস্থতার জন্য ভর্তি ছিলাম। গতকাল আদালত আমাকে দয়া করে জামিন দিয়েছেন।

আপনার সমর্থনে একপক্ষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে আবার অন্য একটি পক্ষ আপনার শাস্তি চেয়েছে, এই ব্যাপারটাকে কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার সমর্থনে সমর্থকরা মানববন্ধন করেছেন, আমি শুনেছি। আমার কাছে মোবাইল বা এমন কিছু ছিল না জানা বা দেখার মতো। আমার হাতের ঘড়ি, আমার মোবাইল সবকিছু প্রথম দিনই এসপি সাহেব নিয়ে গেছেন।

সুস্থতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ও হাসপাতালের ডাক্তাররা আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন। আমি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পেয়েছি। বড় বড় ডাক্তাররা আমার চিকিৎসা করেছেন। গতকাল থেকে আজ সারাদিন যাবত তারা আমাকে নানা চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। তারা মনে করেছেন আমি ভালো আছি। তবে আমাকে শারীরিকভাবে ভালো দেখলেও মানসিকভাবে অবসাদে আছি, বিধ্বস্ত আছি।

তিনি আরও বলেন, আমি ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি আমি জেলে যাব। এটা আমার দোষ হতে পারে কারণ আমি বোকা। বোকা, কারণ আমি মনে করিনি আমি জেলে যাব। আমি মনে মনে কষ্ট পেয়েছি এই ভেবে যে, আমি কেন জেলে গেলাম। আমি কিছু করি নাই তো। আর যে মামলায় আমি জেলে গেলাম সেই মামলা দোয়ারাবাজারের এক লোক করেছে। তাকে আমি চিনিই না। আর আমি ঘটনার দিন সুনামগঞ্জ শহরেই ছিলাম না।

জামিন পাওয়ার ব্যাপারে এম এ মান্নান বলেন, আমাকে আদালত বিবেচনা করেছেন। জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সুনামগঞ্জের সুশীল সমাজ, নিজ এলাকার মানুষ দোয়া করেছেন বলেই আমি জামিন পেয়েছি। যারা আমার জন্য মানববন্ধন করেছেন, দোয়া করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ।

back to top