বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবকেই বড় অন্তরায় বলে মনে করেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক চিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত "বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না কেন?" শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশে রাজনীতিকদেরই উদ্যোগী হয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মতপ্রকাশ করতে পারেন।” এই আলোচনা সভাটি বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি আয়োজন করে, যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ফজলুল হক।
স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে নির্বাচনের মান কমতে শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নৈতিকতার মানের অবনতি একে ক্রমেই গভীর সংকটে ফেলেছে। দুর্নীতি ও ক্ষমতালিপ্সার প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন সরকার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের দিকে ঝুঁকেছে, যার চূড়ান্ত রূপ আমরা সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে প্রত্যক্ষ করেছি।”
অধ্যাপক ফজলুল হক আরও বলেন, “আমাদের দেশে সম্ভাবনার কমতি নেই; প্রযুক্তি, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি ইতোমধ্যেই অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে। এখন প্রয়োজন একটি জনকল্যাণমুখী গণতন্ত্রের স্থিতি, যার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ মানবিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম এ আলীম সরকার, যিনি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা ও জনগণের সচেতনতার অভাবের কথা তুলে ধরে ছয় দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লিবারেল পার্টির নেতা কে সি মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল হোসেন, অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন এবং প্রভাষক বিজন হালদার। সঞ্চালনা করেন অমূল্য কুমার বৈদ্য।
শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবকেই বড় অন্তরায় বলে মনে করেন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক চিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত "বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না কেন?" শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশে রাজনীতিকদেরই উদ্যোগী হয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মতপ্রকাশ করতে পারেন।” এই আলোচনা সভাটি বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি আয়োজন করে, যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ফজলুল হক।
স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে নির্বাচনের মান কমতে শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নৈতিকতার মানের অবনতি একে ক্রমেই গভীর সংকটে ফেলেছে। দুর্নীতি ও ক্ষমতালিপ্সার প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন সরকার স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের দিকে ঝুঁকেছে, যার চূড়ান্ত রূপ আমরা সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে প্রত্যক্ষ করেছি।”
অধ্যাপক ফজলুল হক আরও বলেন, “আমাদের দেশে সম্ভাবনার কমতি নেই; প্রযুক্তি, কৃষি ও তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতি ইতোমধ্যেই অনেক কিছু সহজ করে দিয়েছে। এখন প্রয়োজন একটি জনকল্যাণমুখী গণতন্ত্রের স্থিতি, যার মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ মানবিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।”
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক এম এ আলীম সরকার, যিনি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা ও জনগণের সচেতনতার অভাবের কথা তুলে ধরে ছয় দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লিবারেল পার্টির নেতা কে সি মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল হোসেন, অধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন এবং প্রভাষক বিজন হালদার। সঞ্চালনা করেন অমূল্য কুমার বৈদ্য।