অবশেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্ময়ক সারজিস আলম জাতীয় পার্টির দেয়া চ্যালেজ্ঞ গ্রহন করে শিগগির রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষনা দিয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য প্রদান কালে এসব কথা বলেন।
এর আগে সারজিদ আলম রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদসহ ১০ জন শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং সহায়তা ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে আইজিপি ময়নুল ইসলামের সাথে অংশ নেন।
শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে পুর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। সেখানে সা¦ধীনতা স্মারকে শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি জাতীয় পার্টির নাম উল্লেখ না করে বলেন, বিগত ৩টি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ এমনিতেই জনবিচ্ছন্ন হয়ে পড়তো। তারা ক্ষমতায় আসতে পারতোনা। অথচ আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে গাড়ি বাড়ির লোভে এটা করা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, গত ১৬ বছরে স্বৈচারারী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিএনপি জামায়াতের উপর যখন নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে, বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়েছে, তখন তথাকথিত বিরোধী দল কোথায় ছিলো?।
সারজিস আলম বক্তব্য রাখার সময় সমাবেশে উপস্থিত হাজারো শিক্ষার্থী সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ সময় তিনি খুব শিগগিরই রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের একটি বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্ঠা আসিফ মাহমুদসহ বৈষম্য বিরোদী আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
সমাবেশে বেরোবির উপাচার্য অধ্যাপক ড, শওকত আলী বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশে আবু সাইদের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আবু সাইদের হত্যাকারী এবং প্রত্যাক্ষ পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী কেউই রেহাই পাবেনা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বেরোবির ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াছ প্রমানিক, প্রক্টর ফেরদৌস রহমান প্রমুখ। সমাবেশ চলাকালিন বেরোবির শিক্ষার্থীরা জাতীয় পার্টির চ্যালেজ্ঞ গ্রহন করে সারজিস আলমকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর পর্যন্ত গিয়ে আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী আংশ নেয়।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপে প্রথম দফা জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আহবান করলেও পরবর্তী সংলাপে ডাকেনি । এ জন্য জাতীয় পার্টি দুই সমন্ময়ক সারজিস আলম আর হাসনাত আব্দুল্লাহকে দায়ি করে তাদের দেয়া ফেইসবুকে ষ্ট্যাটাসকে দায়ি করেন। এ ঘটনায় রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপস্থিতিতে যৌথ কর্মী সভায় দুই সমন্ময়ককে রংপুরে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে। দলের পক্ষে দলের কো চেয়ারম্যান ও মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ ঘোষনা দেন। এ নিয়ে দেশ ব্যাপি তোলপাড় শুরু হয়।
শনিবার সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ রংপুরে আসছেন এমনি খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে আবারো রংপুরে জাতীয় পার্টি বিক্ষোভ করে। তারা শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দলীয় কার্যালয়ে নেতা কর্মীদের উপস্থিত হবার আহবান জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষনা করে। আজ শনিবার নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পায়রা চত্বরে সমাবেশ করে। সেই সাথে দুই সমন্ময়ককে রংপুরে অবাঞ্চিত ঘোষনার বহাল থাকবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।
শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
অবশেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্ময়ক সারজিস আলম জাতীয় পার্টির দেয়া চ্যালেজ্ঞ গ্রহন করে শিগগির রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষনা দিয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক চত্বরে সমাবেশে বক্তব্য প্রদান কালে এসব কথা বলেন।
এর আগে সারজিদ আলম রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদসহ ১০ জন শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং সহায়তা ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে আইজিপি ময়নুল ইসলামের সাথে অংশ নেন।
শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে পুর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি। সেখানে সা¦ধীনতা স্মারকে শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি জাতীয় পার্টির নাম উল্লেখ না করে বলেন, বিগত ৩টি নির্বাচনে অংশ না নিলে আওয়ামী লীগ এমনিতেই জনবিচ্ছন্ন হয়ে পড়তো। তারা ক্ষমতায় আসতে পারতোনা। অথচ আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে গাড়ি বাড়ির লোভে এটা করা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, গত ১৬ বছরে স্বৈচারারী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিএনপি জামায়াতের উপর যখন নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে, বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হয়েছে, তখন তথাকথিত বিরোধী দল কোথায় ছিলো?।
সারজিস আলম বক্তব্য রাখার সময় সমাবেশে উপস্থিত হাজারো শিক্ষার্থী সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ সময় তিনি খুব শিগগিরই রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের একটি বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্ঠা আসিফ মাহমুদসহ বৈষম্য বিরোদী আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
সমাবেশে বেরোবির উপাচার্য অধ্যাপক ড, শওকত আলী বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশে আবু সাইদের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আবু সাইদের হত্যাকারী এবং প্রত্যাক্ষ পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী কেউই রেহাই পাবেনা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বেরোবির ছাত্র উপদেষ্টা ইলিয়াছ প্রমানিক, প্রক্টর ফেরদৌস রহমান প্রমুখ। সমাবেশ চলাকালিন বেরোবির শিক্ষার্থীরা জাতীয় পার্টির চ্যালেজ্ঞ গ্রহন করে সারজিস আলমকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর পর্যন্ত গিয়ে আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী আংশ নেয়।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সংলাপে প্রথম দফা জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আহবান করলেও পরবর্তী সংলাপে ডাকেনি । এ জন্য জাতীয় পার্টি দুই সমন্ময়ক সারজিস আলম আর হাসনাত আব্দুল্লাহকে দায়ি করে তাদের দেয়া ফেইসবুকে ষ্ট্যাটাসকে দায়ি করেন। এ ঘটনায় রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উপস্থিতিতে যৌথ কর্মী সভায় দুই সমন্ময়ককে রংপুরে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে। দলের পক্ষে দলের কো চেয়ারম্যান ও মহানগর জাপা সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এ ঘোষনা দেন। এ নিয়ে দেশ ব্যাপি তোলপাড় শুরু হয়।
শনিবার সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ রংপুরে আসছেন এমনি খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে আবারো রংপুরে জাতীয় পার্টি বিক্ষোভ করে। তারা শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দলীয় কার্যালয়ে নেতা কর্মীদের উপস্থিত হবার আহবান জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষনা করে। আজ শনিবার নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পায়রা চত্বরে সমাবেশ করে। সেই সাথে দুই সমন্ময়ককে রংপুরে অবাঞ্চিত ঘোষনার বহাল থাকবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।