alt

রাজনীতি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল শুনানি ১০ নভেম্বর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে দুটি লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো.রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বিষয়টি আজ নিশ্চিত করেন আইনজীবী কায়সার কামাল।

এদিন দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগেও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে নিজের খরচে পেপারবুক (মামলা বৃত্তান্ত) তৈরির আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এখন পেপারবুক তৈরি হলে আপিল শুনানি হবে। যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।

সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।

হাইকোর্টের ওই রায়ের আগের দিন ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। যেটি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। সেই আপিলের শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুতে হাইকোর্টের অনুমতি নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

ছবি

রাষ্ট্রপতির অপসারণে জাতীয় ঐকমত্যের দাবি গণ অধিকার পরিষদের

ছবি

সংবিধান পুনর্বিবেচনার আহ্বান, তবে ব্যক্তিগত ইচ্ছায় পরিবর্তনের বিরোধিতা

ছবি

সংবিধান সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে সতর্ক বার্তা রাজনীতিক ও আইনজীবীদের

ছবি

হাছান মাহমুদ: ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজনে বিএনপির সাথে কাজ করতে প্রস্তুত

তদন্ত করে ইসকনের আর্থিক উৎস প্রকাশের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

ছবি

৮ নভেম্বর ঢাকায় বৃহত্তর র‍্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

ছবি

দেশে বি-রাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া চলছে: মুজিবুল হক চুন্নু

ছবি

আদালতে নির্দোষ প্রমাণের প্রত্যাশায় আপিলের উদ্যোগ খালেদা জিয়ার

ছবি

আওয়ামী লীগ জনগণের রায় কেড়ে নিয়েছিল, তা প্রমাণ হল: ফখরুল

ছবি

সোনারগাঁয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

ছবি

বিএনপির ৭ আইনজীবীকে অব্যাহতি, আবেদনকারীকে লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

ক্ষমতায় চিরস্থায়িত্বের বাসনায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

ছবি

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১১ সদস্যের কমিটি গঠন

ছবি

স্বৈরাচারী শাসনের রোধে সংবিধান সংশোধনের আহ্বান কামাল হোসেনের

ছবি

নোয়াখালীতে নুরের বক্তব্য চলাকালে লোডশেডিং, বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর ক্ষোভ

ছবি

বিএনপির রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে ২০ সাবেক সামরিক কর্মকর্তার মতবিনিময়

ছবি

‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের আমরা কারা’, প্রশ্ন ফখরুলের

ছবি

জাতীয় পার্টির শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত

জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে যশোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ

ছবি

আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের

ছবি

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার

ছবি

সরকারের মেয়াদ নিয়ে এক উপদেষ্টার বক্তব্যে ফখরুলের ‘খটকা’

ছবি

‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ পালনে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি

ছবি

রাশেদকে সহযোগিতায় বিএনপির নির্দেশ, নেতাকর্মীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ছবি

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০০ মামলা

ছবি

তারেক রহমান-সালামের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল

অন্তর্বর্তী সরকারকে মির্জা ফখরুল রাষ্ট্রকে টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে নজর দিন

ছবি

এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা : ফখরুল

ছবি

ছাত্র হত্যা মামলা : সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ গ্রেপ্তার

ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রদল ও শিবিরের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭

ছবি

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু

ছবি

চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

ছবি

বাংলাদেশে গ্লোবাল এনক্রিপশন দিবস পালিত

ছবি

ছাত্রলীগ নেতাদের গণহারে গ্রেপ্তারের বিরোধিতায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস

ছবি

আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের ‘রাজনীতি ও নির্বাচন’ নিষিদ্ধ চেয়ে সারজিসসহ তিনজনের রিট

ছবি

ঢাবির ছাত্রলীগে যুক্ত শিক্ষার্থীদের গণহারে গ্রেপ্তারের বিপক্ষে সারজিস আলম

tab

রাজনীতি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল শুনানি ১০ নভেম্বর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে দুটি লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো.রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বিষয়টি আজ নিশ্চিত করেন আইনজীবী কায়সার কামাল।

এদিন দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগেও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাত বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার অংশ হিসেবে নিজের খরচে পেপারবুক (মামলা বৃত্তান্ত) তৈরির আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এখন পেপারবুক তৈরি হলে আপিল শুনানি হবে। যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিলেন খালেদা জিয়া।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

একই সঙ্গে খালেদার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।

সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।

এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।

হাইকোর্টের ওই রায়ের আগের দিন ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।

পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। যেটি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। সেই আপিলের শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুতে হাইকোর্টের অনুমতি নেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।

back to top