সোমবার (৪ নভেম্বর) সংবিধান দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবিধান পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন হলেও একক ব্যক্তির ইচ্ছায় পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের মতামত গ্রহণের গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “সংবিধানকে পরিবর্তনের আগে জনগণের মতামতকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। কলমের খোঁচায় কেউ যেন এককভাবে এটাকে পরিবর্তন করতে না পারে।”
আলোচনায় আরও অংশ নেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, যিনি প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুইবারের বেশি থাকা উচিত নয় বলে মতামত দেন। তিনি বলেন, “সংবিধানের অধিকাংশ পরিবর্তন শাসকের ইচ্ছায় হয়েছে, জনগণের ইচ্ছায় নয়। সংবিধানের আসল বৈধতা জনগণের হাতে।”
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক জানান, “গত ৫২ বছরে ১২ বার সরকারপদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে, যা সরকার পরিচালনায় আমাদের অপরিপক্বতার প্রতিফলন।” তিনি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, “পৃথিবীতে কেবল বেলজিয়াম এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ পরিবর্তন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে গেছে, অন্যান্য দেশে এমন নজির নেই।”
সংবিধানের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “শিক্ষার্থীরা চাকরিতে বৈষম্য দূর করার দাবি তুলেছিল, তবে রাষ্ট্র সংস্কার তাদের ম্যান্ডেট নয়।” সংবিধান বিতর্ক জাতিকে সংকটে ফেলতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। সংবিধান দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ইতিহাসকে সম্মান না করে দিবস বাতিল করা মানা যায় না।” তিনি সংবিধানের সঠিক ব্যাখ্যা এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষার উপর জোর দেন।
সভায় গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল বারি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং প্রধানমন্ত্রী পদে মেয়াদের সীমা নির্ধারণের দাবি জানান।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪
সোমবার (৪ নভেম্বর) সংবিধান দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সংবিধান প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সংবিধান পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন হলেও একক ব্যক্তির ইচ্ছায় পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের মতামত গ্রহণের গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “সংবিধানকে পরিবর্তনের আগে জনগণের মতামতকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে। কলমের খোঁচায় কেউ যেন এককভাবে এটাকে পরিবর্তন করতে না পারে।”
আলোচনায় আরও অংশ নেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, যিনি প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুইবারের বেশি থাকা উচিত নয় বলে মতামত দেন। তিনি বলেন, “সংবিধানের অধিকাংশ পরিবর্তন শাসকের ইচ্ছায় হয়েছে, জনগণের ইচ্ছায় নয়। সংবিধানের আসল বৈধতা জনগণের হাতে।”
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক জানান, “গত ৫২ বছরে ১২ বার সরকারপদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে, যা সরকার পরিচালনায় আমাদের অপরিপক্বতার প্রতিফলন।” তিনি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, “পৃথিবীতে কেবল বেলজিয়াম এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদ পরিবর্তন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে গেছে, অন্যান্য দেশে এমন নজির নেই।”
সংবিধানের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, “শিক্ষার্থীরা চাকরিতে বৈষম্য দূর করার দাবি তুলেছিল, তবে রাষ্ট্র সংস্কার তাদের ম্যান্ডেট নয়।” সংবিধান বিতর্ক জাতিকে সংকটে ফেলতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। সংবিধান দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “ইতিহাসকে সম্মান না করে দিবস বাতিল করা মানা যায় না।” তিনি সংবিধানের সঠিক ব্যাখ্যা এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষার উপর জোর দেন।
সভায় গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল বারি তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং প্রধানমন্ত্রী পদে মেয়াদের সীমা নির্ধারণের দাবি জানান।