alt

ঢাবিতে ছাত্রদলের পোস্টার, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পোস্টার সাঁটানোর ‘প্রতিবাদে’ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। এরপর বিভিন্ন হল ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেন তারা। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান নেওয়ার পর রাত ১২টার দিকে তারা হলে ফেরত যান।

মিছিলে ‘টু জিরো টু ফোর, ছাত্ররাজনীতি নো মোর’, ‘দেয়ালে পোস্টার লাগালে, দুঃখ আছে কপালে’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’ এমন নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক স ম আলী রেজা।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের সবার কথা বুঝতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তোমরা স্মারকলিপি দাও। আমিও তোমাদের সঙ্গে যাব।”

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাইম বলেন, “আমরা ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর থেকে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে সই নিয়েছি।

“কিন্তু এখন সে ধরনের কার্যক্রম দেখছি, পোস্টার দেখছি। আমরা ছাত্র সমাজ কখনো তা মেনে নেব না।”

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে যেকোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমের আলোচনা-সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পোস্টার সাঁটানোকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটলো তাকে ঠিক গণতান্ত্রিক সমালোচনা বলতে পারছি না।

“বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দিনে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন, তাই এই দিবসটির তাৎপর্য সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো আমাদের দীর্ঘদিনের রুটিন কার্যক্রম।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দি।

৭ নভেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন, পরে দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন।

বিএনপি এই দিনকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে। অন্যদিকে গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করত।

আওয়ামী লীগের আমলেও দিবসটি পালন করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ তুলে ছাত্রদল নেতা সাহস বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদের আমলেও এভাবে এই দিবসটির বিরোধিতা ও পোস্টার ছিঁড়ে শোডাউন দেওয়ার ব্যাপারটা আমরা দেখে এসেছি৷ পোস্টার লাগানোর ব্যাপারটি নিয়ে অনলাইনে-অফলাইনে আলোচনা হতে পারতো, তার প্রেক্ষিতে আমরা কী প্রক্রিয়ায় রুটিন এ কার্যক্রমটিকে আরো আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারি তা নিয়ে চিন্তা করতাম।

“কিন্তু এই ইস্যুকে ব্যবহার করে হলে হলে আমাদের নেতাকর্মীদের নানাবিধ হুমকি-ধামকি দেওয়া, নারী কর্মীদেরকে অনলাইনে হ্যারেজমেন্ট করা, পেশি শক্তির আস্ফালন দেখানো- এসব গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশের ভাষা হতে পারে না। বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে এসব অপরাজনৈতিক কার্যক্রম ফ্যাসিবাদী আমলের ট্রমাকে ট্রিগার করে আমাদের।”

এক হলে নিষেধাজ্ঞা

এদিকে রাতেই শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দেয়ালে বা আশপাশে যেকোনো ধরনের পোস্টার সাঁটানোর প্রশ্নে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হল প্রশাসন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “হলের সার্বিক সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য হলের অভ্যন্তরে বা হল চত্বরের দেয়ালে হল প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার লাগানো ও দেয়াললিখন করা যাবে না। কেউ এই আদেশ অমান্য করলে হল কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।”

ছবি

হাজারীবাগে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতি, আ.লীগের ১১ জন গ্রেপ্তার

ইসলামী কয়েকটি দলের যুগপৎ কর্মসূচি ‘গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়’: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লির ভাবনা: কেউ বলছে ‘অপেক্ষা করো এবং দেখো’, অনেকের দ্বিমত

রাজধানীতে নিষিদ্ধ আ’লীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ১৮

ছবি

পিআর, সংস্কার দাবিতে ইসলামী দলগুলোর বিক্ষোভ

ছবি

পিআর পদ্ধতিতে গণভোটের দাবি জামায়াতে ইসলামী

ছবি

বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য: যুগপৎ আন্দোলন ‘গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়’

ছবি

নরসিংদী বিএনপিতে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১, আহত ৫

ছবি

প্রবাসী ভোটারদের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ আসছে, ১৫তম সংসদ নির্বাচনে ডাকযোগে ভোটের ব্যবস্থা

ছবি

১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসম্মেলনের ডাক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াতের

ছবি

রাজনৈতিক সরকার না আসা পর্যন্ত অস্থিতিশীলতা কাটবে না: আমীর খসরু

ছবি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে ক্ষুব্ধ ফয়জুল করীম

ছবি

প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যম সংস্কার হয়নি, বললেন নাহিদ

ছবি

ঢাকায় আজ জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোট প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো

ছবি

রাজশাহীতে এনসিপি নেত্রীর আকস্মিক পদত্যাগ

ছবি

জামায়াতসহ কয়েক দলের যুগপৎ আন্দোলনের জবাব রাজপথেই দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

ছবি

খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিনকে আহ্বায়ক করে এইবির নতুন কমিটি

ছবি

নাশকতার দুই মামলা থেকে ফখরুল ও আব্বাসসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি

ছবি

এখন কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

অভিন্ন দাবিতে তিন ইসলামী দলের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

যুগপতে পাঁচ দাবিতে জামায়াতের তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ সনাতন যোগ দিলেন জামায়াতে

ছবি

তারেকের নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বাবরের আলোচনা

ছবি

যুগপতে কারা থাকছে ঠিক হয়নি, তবে খেলাফতের কর্মসূচি ঘোষণা

জামায়াতের আযাদ: মুক্তিযুদ্ধ না মানলে ‘বাংলাদেশ অস্বীকার করা হবে’

ছবি

জুলাই সনদের গেরো: এবার আদালতের মত নিতে বলল বিএনপি

ছবি

‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরে রাজি বিএনপি, তবে আইনি ভিত্তি নিয়ে মতভেদ

ছবি

ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রশ্ন তুললেন রিজভী

ছবি

মৌলবাদীরা ‘বেহেশতের টিকেট’ বিক্রি করছে: বিএনপির গয়েশ্বর

ছবি

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের তিন দিনের কর্মসূচি

ছবি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবার তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

ছবি

রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে বাস্তুতন্ত্রও নিরাপদ থাকবে: তারেক রহমান

ছবি

সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে পশু-পাখি ও বাস্তুতন্ত্রের অধিকার নিশ্চিত হবে: তারেক রহমান

tab

ঢাবিতে ছাত্রদলের পোস্টার, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পোস্টার সাঁটানোর ‘প্রতিবাদে’ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

বুধবার রাত ১০টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। এরপর বিভিন্ন হল ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নেন তারা। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান নেওয়ার পর রাত ১২টার দিকে তারা হলে ফেরত যান।

মিছিলে ‘টু জিরো টু ফোর, ছাত্ররাজনীতি নো মোর’, ‘দেয়ালে পোস্টার লাগালে, দুঃখ আছে কপালে’, ‘আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এ ক্যাম্পাসে হবে না’ এমন নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক স ম আলী রেজা।

এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের সবার কথা বুঝতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তোমরা স্মারকলিপি দাও। আমিও তোমাদের সঙ্গে যাব।”

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাইম বলেন, “আমরা ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটর থেকে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে সই নিয়েছি।

“কিন্তু এখন সে ধরনের কার্যক্রম দেখছি, পোস্টার দেখছি। আমরা ছাত্র সমাজ কখনো তা মেনে নেব না।”

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে যেকোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমের আলোচনা-সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের পোস্টার সাঁটানোকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটলো তাকে ঠিক গণতান্ত্রিক সমালোচনা বলতে পারছি না।

“বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দিনে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন, তাই এই দিবসটির তাৎপর্য সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো আমাদের দীর্ঘদিনের রুটিন কার্যক্রম।”

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সপরিবারের নিহত হওয়ার পর সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসেন জিয়াউর রহমান। এরপর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান হয়, জিয়া হন গৃহবন্দি।

৭ নভেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থানে আটকাবস্থা থেকে মুক্ত হন জিয়া। এর মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন, পরে দেশের প্রথম সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন।

বিএনপি এই দিনকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ এবং জাসদ ‘সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করে। অন্যদিকে গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করত।

আওয়ামী লীগের আমলেও দিবসটি পালন করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়ার অভিযোগ তুলে ছাত্রদল নেতা সাহস বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদের আমলেও এভাবে এই দিবসটির বিরোধিতা ও পোস্টার ছিঁড়ে শোডাউন দেওয়ার ব্যাপারটা আমরা দেখে এসেছি৷ পোস্টার লাগানোর ব্যাপারটি নিয়ে অনলাইনে-অফলাইনে আলোচনা হতে পারতো, তার প্রেক্ষিতে আমরা কী প্রক্রিয়ায় রুটিন এ কার্যক্রমটিকে আরো আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারি তা নিয়ে চিন্তা করতাম।

“কিন্তু এই ইস্যুকে ব্যবহার করে হলে হলে আমাদের নেতাকর্মীদের নানাবিধ হুমকি-ধামকি দেওয়া, নারী কর্মীদেরকে অনলাইনে হ্যারেজমেন্ট করা, পেশি শক্তির আস্ফালন দেখানো- এসব গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশের ভাষা হতে পারে না। বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে এসব অপরাজনৈতিক কার্যক্রম ফ্যাসিবাদী আমলের ট্রমাকে ট্রিগার করে আমাদের।”

এক হলে নিষেধাজ্ঞা

এদিকে রাতেই শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের দেয়ালে বা আশপাশে যেকোনো ধরনের পোস্টার সাঁটানোর প্রশ্নে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হল প্রশাসন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “হলের সার্বিক সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য হলের অভ্যন্তরে বা হল চত্বরের দেয়ালে হল প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত কোনো প্রকার ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার লাগানো ও দেয়াললিখন করা যাবে না। কেউ এই আদেশ অমান্য করলে হল কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।”

back to top