গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতা প্রিয় জনগণকে আমি একটি বিষয় আবারও স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সর্তক থাকতে চাই-সেটি হলো গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনও কিন্তু থেমে নেই।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে, শাসনে-প্রশাসনে এখনও সক্রিয়।’
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঢাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের শোভাযাত্রার আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। কারণ নিজেদেরকে সতর্ক করতে চাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে- এটি আজ জনগণের চাওয়া।
‘আসুন, এই লাখ জনতার মিছিলকে কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। এই প্রত্যাশা রেখে এই মিছিলের সাফল্য কামনা করে এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ‘ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ায়’ জনতাকে শুভেচ্ছাও জানান তারেক। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না ইনশাল্লাহ।’
তারেক রহমান বলেন, কখনো যেন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে সেজন্য প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জনগণের ভোটের প্রতি যতক্ষণ পর্যন্ত মুখাপেক্ষী করা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না।
তিনি বলেন, ‘এমনকি স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও স্বল্প আয়ের মানুষকে বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদি না মানুষের সরাসরি ভোটের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে পারি,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সতর্ক থাকতে চাই-সেটি হলো গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনও কিন্তু থেমে নেই।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, তবে নিজেদেরকে সতর্ক করতে চাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এটিই আজ জনগণের চাওয়া।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন, ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদের কবল থেকে মুক্ত করবার দিন।
‘আপনাদের নিশ্চয় জানা থাকার কথা, ৭ নভেম্বরের আগে ৩ নভেম্বর একটা অভ্যুত্থান হয়েছিল- খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে; খালেদ মোশাররফের লক্ষ্য ছিল- আবার আধিপত্যবাদকে প্রতিষ্ঠা করা, ওই এক দলীয় শাসনে দেশকে নিয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘এদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করে সেদিন আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ এক নতুন ইতিহাস রচনা করে।’
‘সেই ইতিহাস ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস; সেই ইতিহাস ছিল বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস দেশের মানুষকে একটা স্বাতন্ত্র পরিচিতি দেয়ার ইতিহাস।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে এবছর আমরা আরেকটা অভ্যুত্থান দেখেছি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এই ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটা লুটপাটের রাজত্বে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। শেখ হাসিনা তার পরিবার, তার সহকর্মীদের নিয়ে এদেশকে লুটপাট করেছে। আল্লাহ অশেষ রহমত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে, ছাত্র-জনতা অভূতপূর্ব এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টি করবার প্রয়াস পায়।’
শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪
গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতা প্রিয় জনগণকে আমি একটি বিষয় আবারও স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সর্তক থাকতে চাই-সেটি হলো গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনও কিন্তু থেমে নেই।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে, শাসনে-প্রশাসনে এখনও সক্রিয়।’
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঢাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের শোভাযাত্রার আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। কারণ নিজেদেরকে সতর্ক করতে চাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে- এটি আজ জনগণের চাওয়া।
‘আসুন, এই লাখ জনতার মিছিলকে কোনোভাবেই বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। এই প্রত্যাশা রেখে এই মিছিলের সাফল্য কামনা করে এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ‘ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ায়’ জনতাকে শুভেচ্ছাও জানান তারেক। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না ইনশাল্লাহ।’
তারেক রহমান বলেন, কখনো যেন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে সেজন্য প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জনগণের ভোটের প্রতি যতক্ষণ পর্যন্ত মুখাপেক্ষী করা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না।
তিনি বলেন, ‘এমনকি স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও স্বল্প আয়ের মানুষকে বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। যদি না মানুষের সরাসরি ভোটের অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে পারি,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সতর্ক থাকতে চাই-সেটি হলো গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনও কিন্তু থেমে নেই।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না বলে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, তবে নিজেদেরকে সতর্ক করতে চাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এটিই আজ জনগণের চাওয়া।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন, ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশকে আধিপত্যবাদের কবল থেকে মুক্ত করবার দিন।
‘আপনাদের নিশ্চয় জানা থাকার কথা, ৭ নভেম্বরের আগে ৩ নভেম্বর একটা অভ্যুত্থান হয়েছিল- খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে; খালেদ মোশাররফের লক্ষ্য ছিল- আবার আধিপত্যবাদকে প্রতিষ্ঠা করা, ওই এক দলীয় শাসনে দেশকে নিয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘এদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করে সেদিন আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ এক নতুন ইতিহাস রচনা করে।’
‘সেই ইতিহাস ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস; সেই ইতিহাস ছিল বাংলাদেশকে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস দেশের মানুষকে একটা স্বাতন্ত্র পরিচিতি দেয়ার ইতিহাস।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে এবছর আমরা আরেকটা অভ্যুত্থান দেখেছি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এই ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটা লুটপাটের রাজত্বে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। শেখ হাসিনা তার পরিবার, তার সহকর্মীদের নিয়ে এদেশকে লুটপাট করেছে। আল্লাহ অশেষ রহমত আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে, ছাত্র-জনতা অভূতপূর্ব এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টি করবার প্রয়াস পায়।’