জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, একাত্তরে জামায়াত কোনো ভুল করলে, সেটি যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জামায়াতের আমির। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিচারের রায়কে যুক্তরাজ্যের বিচারপতিরা ‘জেনোসাইড অব জাস্টিস’ বলেছেন বলে উল্লেখ করেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৫টি বছর আমাদের আমাদের অফিসে বসতে দেওয়া হয়নি, কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো র্যালি পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমেও জাতির কাছে যেতে পারিনি।’
২০২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘এ অভ্যুত্থানে দেশের সব শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এমনকি দেশের বাইরে অবস্থানরত অনেকেই যার যার সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। আমরা তাদের সবাইকে মোবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিপুল সহায়তা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘মনিটারি রেমিট্যান্সের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্যও আমি প্রবাসীদের কাছে আবেদন রাখছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিট্যান্স বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাটভাবে সহায়ক হবে।’
বিগত সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, যে পরিমাণ উন্নয়ন করা সম্ভব হতো, সেটা আসলে হয়নি। বাংলাদেশে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সে ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প তার তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয় করেই সম্পন্ন হয়েছে। দেশে সময়মতো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি, একের পর এক সময় বাড়ানো হয়েছে আর সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের ব্যয়। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘জাতিগতভাবে অনৈক্য এবং দুর্নীতির কারণে আমরা জাতি হিসেবে আগাতে পারিনি। দুর্নীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেদের দুর্নীতি থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে পারার কারণে সারা বিশ্বে নিজেদের একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র আবু বকর মোল্লা। আবু সালেহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন ইমাম উদ্দিন। দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন কামাল হোসাইন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা এতে অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, একাত্তরে জামায়াত কোনো ভুল করলে, সেটি যদি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চাইবেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে একাত্তরের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন জামায়াতের আমির। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিচারের রায়কে যুক্তরাজ্যের বিচারপতিরা ‘জেনোসাইড অব জাস্টিস’ বলেছেন বলে উল্লেখ করেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘১৫টি বছর আমাদের আমাদের অফিসে বসতে দেওয়া হয়নি, কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো র্যালি পর্যন্ত করতে দেওয়া হয়নি। আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমেও জাতির কাছে যেতে পারিনি।’
২০২৪-এর গণ–অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘এ অভ্যুত্থানে দেশের সব শ্রেণির মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এমনকি দেশের বাইরে অবস্থানরত অনেকেই যার যার সাধ্য অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। আমরা তাদের সবাইকে মোবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিপুল সহায়তা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘মনিটারি রেমিট্যান্সের পাশাপাশি বাংলাদেশকে ইন্টেলিজেন্স রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্যও আমি প্রবাসীদের কাছে আবেদন রাখছি। ইন্টেলিজেন্স রেমিট্যান্স বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে বিরাটভাবে সহায়ক হবে।’
বিগত সরকারের লাগামহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, যে পরিমাণ উন্নয়ন করা সম্ভব হতো, সেটা আসলে হয়নি। বাংলাদেশে একটি উন্নয়ন প্রকল্পে যে ব্যয় দেখানো হয়েছে, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশে সে ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প তার তিন ভাগের এক ভাগ ব্যয় করেই সম্পন্ন হয়েছে। দেশে সময়মতো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়নি, একের পর এক সময় বাড়ানো হয়েছে আর সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে প্রকল্পের ব্যয়। এভাবেই দেশটাকে লুটেপুটে নিঃস্ব করা হয়েছে।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘জাতিগতভাবে অনৈক্য এবং দুর্নীতির কারণে আমরা জাতি হিসেবে আগাতে পারিনি। দুর্নীতি আমাদের জন্য একটি জাতীয় লজ্জার বিষয়। যুক্তরাজ্য নিজেদের দুর্নীতি থেকে অনেকটা মুক্ত রাখতে পারার কারণে সারা বিশ্বে নিজেদের একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। কিন্তু আমরা পারিনি।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র আবু বকর মোল্লা। আবু সালেহ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করেন ইমাম উদ্দিন। দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন কামাল হোসাইন। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বাংলা গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা এতে অংশ নেন।