ভারতের পরিকল্পনায় ফ্যাসিবাদী দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন।
সংগঠনটির দাবি এ ষড়যন্ত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান জড়িত। এজন্য তিনজনকে জাতীয় বেঈমান ঘোষণা করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি এ দাবি জানায় তারা।
সমাবেশে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক হাসান আরিফ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ও রাজনৈতিক অধিকার দিতে ক্রমাগতভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। গত সতেরো বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জীবন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের লোকেরা। অথচ নিজ কর্মীদের আত্মত্যাগ, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এবং গণদাবী উপেক্ষা করে মির্জা ফখরুল এবং ডাক্তার শফিক আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলছেন।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমন্বয়ক গালিব ইহসান বলেন, অনতিবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জুলাই বিপ্লবের শহীদের রক্তের সাথে গাদ্দারীর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। যদি ক্ষমা না চায় তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে তার নাম মুছে ফেলতে হবে।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ বলেম, এদেশে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হবে কি হবে না, আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না সেটা ৫ আগস্ট ছাত্র জনতাই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে। আমাদের ছাত্রজনতার শেষ রক্তবিন্দু থাকতে আওয়ামী লীগ এদেশে আর মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের উদারতার অংশ হিসাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ভারত থেকে শেখ হাসিনাকেও দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু হাসিনার ফেরার পরপরই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যার শিকার হব। এরপরেও বিএনপি কিভাবে জুলাই গনহত্যার পরেও আওয়ামী লীগকে ভোটের রাজনীতিতে আনতে চায়। তাদের এ দুঃসাহস দেখে আমাদের লজ্জা হয়, রক্ত গরম হয়ে যায়।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান বলেন, আমরা পরিষ্কার করে ঘোষণা করতে চাই ভারতের যে সকল দালাল এই দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চিন্তা ভাবনা করবে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করবো। আমরা তাদেরকে হাসিনার মত পালিয়ে যেতে বাধ্য করবো। এদেশে তাদের কবরও হবেনা ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার গত তিনটা নির্বাচন আমাদেরকে ভোট দিতে দেয়নি তারপরেও কতিপয় দালাল তাদেরকে ভোটের ময়দানে আনার জন্য উঠে পরে লেগেছে। আমরা তাদেরকে পরিস্কার জানিয়ে দিতে চাই যে ফ্যাসিস্ট দল গনহত্যাকারী দল আমাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, আমাদের রক্ত ঝরিয়েছে, আমাদের ভাইদের শহীদ করেছে, আমাদের দেশ বিক্রি করে দিয়েছিল তাদেরকে আমরা এই দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দিব না। তারা এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখে না। এই ফ্যসিবাদকে বিলুপ্ত করে আমাদের দেশকে সুষ্ঠু সুন্দর পরিপূর্ণ স্বাধীন দেশে রুপান্তর করতে হবে এবং আমাদের প্রতিটি সেক্টর থেকে ফ্যাসিবাদকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে।
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান বলেন, ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ ভাই ও চট্টগ্রামের শহীদ ওয়াসিম আকরাম ভাই শহীদ হন। ওয়াসিম আকরাম ভাই ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সেই সক্রিয় কর্মীর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে হবে। কেন? আপনার কর্মীর রক্তের দাম কি নেই? আপনার নিজের কাছে নিজের দলের চেয়ে কি আওয়ামী লীগ দামী? এর মানে কি? দেশের চেয়ে আপনার ভারত বড় হয়ে গেল?
সমাবেশ শেষে রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে "দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা" "ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান" "হাসিনা গেছে যে পথে ফখরুল যাবে সেপথে" "হাসিনা গেছে যে পথে ডা. শফিক যাবে সেপথে" "হাসিনা গেছে যে পথে আসিফ নজরুল যাবে সেপথে"প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
ভারতের পরিকল্পনায় ফ্যাসিবাদী দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ নামে একটি সংগঠন।
সংগঠনটির দাবি এ ষড়যন্ত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান জড়িত। এজন্য তিনজনকে জাতীয় বেঈমান ঘোষণা করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি এ দাবি জানায় তারা।
সমাবেশে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক হাসান আরিফ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ও রাজনৈতিক অধিকার দিতে ক্রমাগতভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। গত সতেরো বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদের হাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জীবন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের লোকেরা। অথচ নিজ কর্মীদের আত্মত্যাগ, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এবং গণদাবী উপেক্ষা করে মির্জা ফখরুল এবং ডাক্তার শফিক আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলছেন।
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমন্বয়ক গালিব ইহসান বলেন, অনতিবিলম্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জুলাই বিপ্লবের শহীদের রক্তের সাথে গাদ্দারীর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। যদি ক্ষমা না চায় তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে তার নাম মুছে ফেলতে হবে।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ বলেম, এদেশে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন হবে কি হবে না, আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকবে কি থাকবে না সেটা ৫ আগস্ট ছাত্র জনতাই ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে। আমাদের ছাত্রজনতার শেষ রক্তবিন্দু থাকতে আওয়ামী লীগ এদেশে আর মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে পারবেনা ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৯ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের উদারতার অংশ হিসাবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ভারত থেকে শেখ হাসিনাকেও দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু হাসিনার ফেরার পরপরই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যার শিকার হব। এরপরেও বিএনপি কিভাবে জুলাই গনহত্যার পরেও আওয়ামী লীগকে ভোটের রাজনীতিতে আনতে চায়। তাদের এ দুঃসাহস দেখে আমাদের লজ্জা হয়, রক্ত গরম হয়ে যায়।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব ফজলুর রহমান বলেন, আমরা পরিষ্কার করে ঘোষণা করতে চাই ভারতের যে সকল দালাল এই দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চিন্তা ভাবনা করবে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করবো। আমরা তাদেরকে হাসিনার মত পালিয়ে যেতে বাধ্য করবো। এদেশে তাদের কবরও হবেনা ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার গত তিনটা নির্বাচন আমাদেরকে ভোট দিতে দেয়নি তারপরেও কতিপয় দালাল তাদেরকে ভোটের ময়দানে আনার জন্য উঠে পরে লেগেছে। আমরা তাদেরকে পরিস্কার জানিয়ে দিতে চাই যে ফ্যাসিস্ট দল গনহত্যাকারী দল আমাদেরকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে, আমাদের রক্ত ঝরিয়েছে, আমাদের ভাইদের শহীদ করেছে, আমাদের দেশ বিক্রি করে দিয়েছিল তাদেরকে আমরা এই দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দিব না। তারা এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখে না। এই ফ্যসিবাদকে বিলুপ্ত করে আমাদের দেশকে সুষ্ঠু সুন্দর পরিপূর্ণ স্বাধীন দেশে রুপান্তর করতে হবে এবং আমাদের প্রতিটি সেক্টর থেকে ফ্যাসিবাদকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে হবে।
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান বলেন, ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদ ভাই ও চট্টগ্রামের শহীদ ওয়াসিম আকরাম ভাই শহীদ হন। ওয়াসিম আকরাম ভাই ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। সেই সক্রিয় কর্মীর রক্তের উপর দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে হবে। কেন? আপনার কর্মীর রক্তের দাম কি নেই? আপনার নিজের কাছে নিজের দলের চেয়ে কি আওয়ামী লীগ দামী? এর মানে কি? দেশের চেয়ে আপনার ভারত বড় হয়ে গেল?
সমাবেশ শেষে রাজু ভাস্কর্য থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে "দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা" "ভারতের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান" "হাসিনা গেছে যে পথে ফখরুল যাবে সেপথে" "হাসিনা গেছে যে পথে ডা. শফিক যাবে সেপথে" "হাসিনা গেছে যে পথে আসিফ নজরুল যাবে সেপথে"প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।