alt

রাজনীতি

যাওয়ার জায়গা ছিল না, ‘বাধ্য হয়ে’ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল: জামায়াত আমির

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষ ভারতে গেলেও আমাদের যাওয়ার জায়গা ছিল না, জামায়াতে ইসলামী ‘বাধ্য হয়ে’ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

পূর্ব লন্ডনের যুক্তরাজ্যে বাংলাভাষী সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে বুধবার ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুর রহমান বলেছেন, কেবল জামায়াত নয়, যারা ভারতে যেতে পারেনি তাদের সবাই একই কাজ করেছে। কিন্তু তাদেরকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না।

তিনি বলেন, ইয়েস, জামায়াতে ইসলামী ওয়ান পাকিস্তানের পক্ষে সাপোর্ট দিয়েছিল। এটা রাজনীতিতে অপরাধ না। তখন পাকিস্তানের অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান।

একাত্তরের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, এক কোটি মানুষ ভারতে গেলেও আমাদের যাওয়ার জায়গা ছিল না। জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য সে সময় দেশের ভেতরে থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও তাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার সুযোগ ছিল না। শুধু জামায়াত না, যারা ইন্ডিয়ায় যেতে পারেনি তারা সকলেই পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু বাকিদের প্রসঙ্গ আসে না। আমাদের প্রসঙ্গটা আসে। কারণ, বাকি দলগুলো নিজেদের কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতির সামনে নিজেদের অবস্থানটা তুলে ধরতে পারেনি, রাজনীতিতে তাদের অবস্থানটা উল্লেখযোগ্য না। তাদেরকে কেউ মাথাব্যথা হিসেবে নিচ্ছে না। সাবজেক্ট হিসেবে থেকে গেল জামায়াতে ইসলামী।

ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছিল বলে দাবি করেন জামায়াত আমির বলেন, মওলানা ভাসানী সাহেব, বাংলাদেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি কিন্তু ভারতে গিয়েছিলেন যুদ্ধ করার জন্য; চারদিনের বেশি থাকতে পারেন নাই, তার জীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তিনি বাধ্য হয়েছিলেন ফিরে আসতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। কারণ, তার নামের আগে মওলানা ছিল।

তিনি আরও বলেন, তিনি কিন্তু সে অর্থে কোন মাদ্রাসায় পড়ুয়া মানুষ না। চর্চা ছিল তার ইসলামের ওপরে কিছুটা। তার বেশভূষা ছিল মুসলমানদের মত। তিনি একটি বিশেষ কায়দার টুপি পরত আর খদ্দরের পাঞ্জাবি পরত। তার সহকর্মীরা তাকে মওলানা বলে অভিনন্দিত করত এবং তিনি সেটাতে কমফোর্ট ফিল করতেন। সেই লোকটাকে ভারত সহ্য করে নাই আর আমারে সহ্য করত? আমি অবশ্য তখন ১২ বছরের শিশু, আমার কথা বলছি না। আমি বলছি এ রকম যারা আছেন, তাদের বিষয়ে তো করত না। তাদের কোনো জায়গা সেখানে ছিল না।”

মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া ভারতের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ভারত যদি খোলা মনে এটার (সবাইকে ভারতে যাওয়া) সুযোগ করে দিত তাহলে জাতিটা ইউনাইটেড থাকত। এ জাতির মধ্যে কোনো ডিভিশন আসত না। কিন্তু ভারত এটা না দেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে এরা অসহায় এখানে পড়ে গেছে। শেখ মুজিব সাহেব যেমন, তার কিছুই করার ছিল না। তাকে বন্দি করে নিয়ে গেল পাকিস্তানে। আমাদেরও (জামায়াতে ইসলামী) কিছুই করার ছিল না, থেকে গেলাম এখানে।

পাকিস্তানিরা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল মন্তব্য করে শফিকুর বলেন, এটা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ইনভাইট করে আনে নাই। ভুট্টো সাহেব তার একগুঁয়েমির কারণে পাকিস্তানকে একটা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন, সেখানে ইয়াহিয়া খান তার কাছে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগণের এর বাইরে কিছু করার ছিলও না তখন এ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া।

মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, কিন্তু যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, যেমন মানুষ খুন করেন, কারও বাড়িতে আগুন দিয়ে থাকেন, কারও সম্পদ লুণ্ঠন করেন, কারো ইজ্জতের ওপরে হাত দেন, তাহলে অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব দেশ শাসন করেছেন পৌনে চার বছর। সেখানে ৪২ হাজার মামলা হয়েছে। কিন্তু যাদেরকে ওয়ার ক্রাইম ট্রাইবুনালের নামে বিচার করা হয়েছে তাদের কারও তো নাম ছিল না। কোথাও একটা জিডি এন্ট্রি পর্যন্ত ছিল না। একমাত্র ইউসুফ সাহেবের নাম ছিল। সে শেখ মুজিব সাহেব জীবিত থাকার সময় মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।

ছবি

ইস্যু আওয়ামী লীগঃ ঢাবিতে আইন উপদেষ্টা, বিএনপি মহাসচিব ও জামায়াত আমীরকে ‘জাতীয় বেঈমান’ ঘোষনা

ছবি

এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

ছবি

একাত্তরে জামায়াতের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব: জামায়াতের আমির

ছবি

সখীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় দুই আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

স্মরন সভায় আমন্ত্রন না পাওয়ায় বিএনপি নেতাদের ক্ষোভ, ইউএনওর সঙ্গে কথোপকথনের অডিও ফাঁস

ছবি

আমরা কাউকে নির্বাচনে আনতে চাই এমনটা বলিনি : ফেনীতে মির্জা ফখরুল

ছবি

ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে হট্টগোল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভা স্থগিত

ছবি

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ কিন্তু সফল হয়নি: হাসনাত আবদুল্লাহ

ছবি

কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে: তারেক রহমান

ছবি

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘পুনর্বাসন’ : হুমকি বৈষম্যবিরোধীদের

মানুষের সন্দেহ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আসতে শুরু করেছে : ফখরুল

ছবি

মানুষের সন্দেহ অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আসতে শুরু করেছে: : মির্জা ফখরুল

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে এক মাসে

ছবি

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ৮ দিনের রিমান্ডে

ছবি

নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত মির্জা ফখরুল

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ১৩ জনকে আনা হয়েছে

ছবি

সরকারপ্রধানের পালানোর ঘটনা দুঃখজনক: নজরুল ইসলাম খান

নির্বা‌চিত সরকার ছাড়া দে‌শে স্ব‌স্তি ফির‌বেনা : বুলু

ছবি

ভাসানীর জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না: কাদের সিদ্দিকী

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাইছে: তারেক রহমান

ছবি

দেশের রাজনীতি যদি রুগ্ন হলে অর্থনীতিও রুগ্ন হতে বাধ্য : তারেক রহমান

ছবি

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম ‘সুসম্পন্ন’ করার পরামর্শ বিশ্লেষকদের

ছবি

জাবির প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিলর কক্ষ থেকে শেখ মুজিবের ছবি অপসারণ

ছবি

ঢাবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, পদ পেলেন যারা

ছবি

হাজী সেলিমের ছেলে সোলাইমান সেলিম আটক

ছবি

ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে, সতর্ক থাকা উচিত : মির্জা ফখরুল

ছবি

সাবেক মন্ত্রী আবদুস শহীদ ও সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম রিমান্ডে

ছবি

নাহিদ আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই রাজপথে নেমেছিল : সারজিস আলম

সরকারকে সংস্কারে সময় দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

পার্কে লুকানো ৫০০ ভ্যান জব্দ, হকারদের বিক্ষোভ

শেখ মুজিবের ছবি: রিজভীর সকালের বক্তব্য বিকেলে প্রত্যাহার

ছবি

বিতর্কিত কাউকে যেন সরকারে দায়িত্ব না দেওয়া হয়: মির্জা ফখরুল

ছবি

এ সরকারকে সময় দিতে হবে : মির্জা ফখরুল

ছবি

জিয়াউল আহসানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সেই লিমনের অভিযোগ

ছবি

বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি: বিএনপি নেতা রিজভী

tab

রাজনীতি

যাওয়ার জায়গা ছিল না, ‘বাধ্য হয়ে’ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল: জামায়াত আমির

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষ ভারতে গেলেও আমাদের যাওয়ার জায়গা ছিল না, জামায়াতে ইসলামী ‘বাধ্য হয়ে’ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।

পূর্ব লন্ডনের যুক্তরাজ্যে বাংলাভাষী সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে বুধবার ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুর রহমান বলেছেন, কেবল জামায়াত নয়, যারা ভারতে যেতে পারেনি তাদের সবাই একই কাজ করেছে। কিন্তু তাদেরকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয় না।

তিনি বলেন, ইয়েস, জামায়াতে ইসলামী ওয়ান পাকিস্তানের পক্ষে সাপোর্ট দিয়েছিল। এটা রাজনীতিতে অপরাধ না। তখন পাকিস্তানের অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান।

একাত্তরের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, এক কোটি মানুষ ভারতে গেলেও আমাদের যাওয়ার জায়গা ছিল না। জামায়াতে ইসলামী বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য সে সময় দেশের ভেতরে থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও তাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া ছাড়া আর কিছু করার সুযোগ ছিল না। শুধু জামায়াত না, যারা ইন্ডিয়ায় যেতে পারেনি তারা সকলেই পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু বাকিদের প্রসঙ্গ আসে না। আমাদের প্রসঙ্গটা আসে। কারণ, বাকি দলগুলো নিজেদের কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতির সামনে নিজেদের অবস্থানটা তুলে ধরতে পারেনি, রাজনীতিতে তাদের অবস্থানটা উল্লেখযোগ্য না। তাদেরকে কেউ মাথাব্যথা হিসেবে নিচ্ছে না। সাবজেক্ট হিসেবে থেকে গেল জামায়াতে ইসলামী।

ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছিল বলে দাবি করেন জামায়াত আমির বলেন, মওলানা ভাসানী সাহেব, বাংলাদেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি কিন্তু ভারতে গিয়েছিলেন যুদ্ধ করার জন্য; চারদিনের বেশি থাকতে পারেন নাই, তার জীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তিনি বাধ্য হয়েছিলেন ফিরে আসতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। কারণ, তার নামের আগে মওলানা ছিল।

তিনি আরও বলেন, তিনি কিন্তু সে অর্থে কোন মাদ্রাসায় পড়ুয়া মানুষ না। চর্চা ছিল তার ইসলামের ওপরে কিছুটা। তার বেশভূষা ছিল মুসলমানদের মত। তিনি একটি বিশেষ কায়দার টুপি পরত আর খদ্দরের পাঞ্জাবি পরত। তার সহকর্মীরা তাকে মওলানা বলে অভিনন্দিত করত এবং তিনি সেটাতে কমফোর্ট ফিল করতেন। সেই লোকটাকে ভারত সহ্য করে নাই আর আমারে সহ্য করত? আমি অবশ্য তখন ১২ বছরের শিশু, আমার কথা বলছি না। আমি বলছি এ রকম যারা আছেন, তাদের বিষয়ে তো করত না। তাদের কোনো জায়গা সেখানে ছিল না।”

মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া ভারতের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ভারত যদি খোলা মনে এটার (সবাইকে ভারতে যাওয়া) সুযোগ করে দিত তাহলে জাতিটা ইউনাইটেড থাকত। এ জাতির মধ্যে কোনো ডিভিশন আসত না। কিন্তু ভারত এটা না দেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে এরা অসহায় এখানে পড়ে গেছে। শেখ মুজিব সাহেব যেমন, তার কিছুই করার ছিল না। তাকে বন্দি করে নিয়ে গেল পাকিস্তানে। আমাদেরও (জামায়াতে ইসলামী) কিছুই করার ছিল না, থেকে গেলাম এখানে।

পাকিস্তানিরা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল মন্তব্য করে শফিকুর বলেন, এটা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ইনভাইট করে আনে নাই। ভুট্টো সাহেব তার একগুঁয়েমির কারণে পাকিস্তানকে একটা অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন, সেখানে ইয়াহিয়া খান তার কাছে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগণের এর বাইরে কিছু করার ছিলও না তখন এ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া।

মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, কিন্তু যদি কোনো অপরাধ করে থাকেন, যেমন মানুষ খুন করেন, কারও বাড়িতে আগুন দিয়ে থাকেন, কারও সম্পদ লুণ্ঠন করেন, কারো ইজ্জতের ওপরে হাত দেন, তাহলে অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব দেশ শাসন করেছেন পৌনে চার বছর। সেখানে ৪২ হাজার মামলা হয়েছে। কিন্তু যাদেরকে ওয়ার ক্রাইম ট্রাইবুনালের নামে বিচার করা হয়েছে তাদের কারও তো নাম ছিল না। কোথাও একটা জিডি এন্ট্রি পর্যন্ত ছিল না। একমাত্র ইউসুফ সাহেবের নাম ছিল। সে শেখ মুজিব সাহেব জীবিত থাকার সময় মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।

back to top