দেড় দশক আগে জরুরি অবস্থার সময় দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি এ মামলার বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে বিচারক।
এ মামলায় অভিযোগ গঠন এবং আসামিদের ব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের বুধবার এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়া ছাড়াও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান ও মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ মামলার বিচার চলবে।
বুধবার এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। এরপর খালেদাসহ অপর আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, “এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার জন্যই উনার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।”
আদেশের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা, গুম-খুন করেছে।”
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির।
ওই ১৩ জনের মধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায়। অন্য আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান। সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেনও মারা যান বিভিন্ন সময়ে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন এ মামলার আসামিরা।
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
দেড় দশক আগে জরুরি অবস্থার সময় দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি এ মামলার বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে বিচারক।
এ মামলায় অভিযোগ গঠন এবং আসামিদের ব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের বুধবার এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়া ছাড়াও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান ও মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে এ মামলার বিচার চলবে।
বুধবার এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। এরপর খালেদাসহ অপর আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন তাদের আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, “এ মামলায় খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। রাজনৈতিকভাবে ফায়দা নেওয়ার জন্যই উনার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।”
আদেশের প্রতিক্রিয়ায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য একের পর এক মিথ্যা মামলা, গুম-খুন করেছে।”
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির।
ওই ১৩ জনের মধ্যে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায়। অন্য আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল মারা যান। সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম এবং সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেনও মারা যান বিভিন্ন সময়ে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন এ মামলার আসামিরা।