দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ২৮টি ছাত্রসংগঠনের নেতারা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকার কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠনের নেতারা এই সভায় অংশ নেন। তবে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন জানান, আপত্তির কারণে শিবিরকে ডাকা হয়নি।
সভায় নেতারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতন হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ এবং আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি। তাঁরা ভারতকে অভিযোগ করে বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত।
নেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ও ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে সংস্কার কমিশন গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকাকে বিভাজন সৃষ্টিকারী হিসেবে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, অভ্যুত্থানের জাতীয় ঐক্যে ভাঙনের জন্য তারা দায়ী।
ছাত্রনেতারা ক্যাম্পাসে দখলদারমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রতিহত করা এবং ছাত্ররাজনীতি বন্ধের যেকোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে ছিল বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ভাসানী ছাত্র পরিষদসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।
সভা শেষে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, "ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর যেকোনো আঘাত প্রতিহত করা সম্ভব।"
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ২৮টি ছাত্রসংগঠনের নেতারা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকার কাঁটাবনের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টসহ ২৮টি ছাত্রসংগঠনের নেতারা এই সভায় অংশ নেন। তবে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন জানান, আপত্তির কারণে শিবিরকে ডাকা হয়নি।
সভায় নেতারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট শাসনের পতন হয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন দুই হাজারের বেশি মানুষ এবং আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি। তাঁরা ভারতকে অভিযোগ করে বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত।
নেতারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ও ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে সংস্কার কমিশন গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকাকে বিভাজন সৃষ্টিকারী হিসেবে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, অভ্যুত্থানের জাতীয় ঐক্যে ভাঙনের জন্য তারা দায়ী।
ছাত্রনেতারা ক্যাম্পাসে দখলদারমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, সাম্প্রদায়িক উসকানি প্রতিহত করা এবং ছাত্ররাজনীতি বন্ধের যেকোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এই মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে ছিল বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ভাসানী ছাত্র পরিষদসহ আরও কয়েকটি সংগঠন।
সভা শেষে ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, "ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর যেকোনো আঘাত প্রতিহত করা সম্ভব।"