image

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাই কোর্টে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু

রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় হাই কোর্টে আপিল শুনানিতে আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর এ মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। সেদিন আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় ঘোষণা করে। আদালত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহীম এবং উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াও এই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদীর তীরে সিইউএফএল জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালাসের সময় পুলিশ অস্ত্রগুলো আটক করে। তদন্তে জানা যায়, চীনে তৈরি এই অস্ত্র ও গোলাবারুদ ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘উলফা’র জন্য আনা হয়েছিল এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তা ভারতে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।

অস্ত্র উদ্ধারের পর ৩ এপ্রিল কর্ণফুলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলায় মোট ৫২ জন আসামি ছিলেন, যাদের মধ্যে চট্টগ্রামের আদালত ৩৮ জনকে খালাস দেয়। চোরাচালান মামলায় ১৪ জনের ফাঁসির পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অতিরিক্ত সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি এখন হাই কোর্টে চলমান রয়েছে।

‘রাজনীতি’ : আরও খবর

» ঢাকা-বগুড়ায় খালেদা ও তারেকের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিলো বিএনপি

» ৩০০ আসনে ২৫৮২টি মনোনয়নপত্র জমা, শেষ দিনে উপচেপড়া ভিড়

» নির্বাচনে অংশ নেবে না জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি

সম্প্রতি