জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের মাঠিতে আর কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। আর কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করা হবে না।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেট মহানগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে কর্মী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসা পেলে এমন একটি দেশ গড়বো যেখানে কেউ চাঁদাবাজি করবে না, চাঁদাবাজি বরদাশত করবে না। দেশের এক ইঞ্চি মাটির উপর কারও দখলবাজি চলবে না, চলতে দেওয়াও হবে না। কোনো অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করবে না আর করতে দেওযা হবে না। নারী-পুরুষকে সমান মর্যাদা ও নিরাপত্তা দেবে। কুরআনের ভিত্তিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও গর্ব এবং ইজ্জতের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই স্বপ্নের দেশ গড়বো। যেই দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা কোথাও পাহারা দেওয়া লাগবে না। বরং ঘরে বাইরে এবং সামাজিক ও পেশাগত কাজে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ভোগ করবে। এটা আমরাই নিশ্চিত করবো।’
দীর্ঘ ১৫ বছর পর নিজ এলাকায় খোলা মাঠে আয়োজিত বিশাল কর্মীসভায় ডা. শফিকুর আরও বলেন, যেদিন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে ধংস করার জন্য নেতাদের মাথায় তলোয়ার চালাতে শুরু করলো, আমরা সেদিন বন্ধুদের বলেছিলাম-আমাদের বিরুদ্ধে সরকার অন্যায়ভাবে যুদ্ধ শুরু করেছে। আসুন আমরা একসঙ্গে সেই যুদ্ধের মোকাবিলা করি। তাহলে আর কাউকে আঘাত করার সাহস পাবে না। দেশ বাঁচবে, আপনারাও বাঁচবেন, আমরাও বাঁচবো। সেদিন আমাদের এই আওয়াজ সকলের কাছে পৌছায়নি অথবা তারা উপলব্দি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যার মাশুল সাড়ে ১৫ বছর এই জাতিকে দিতে হয়েছে। আমরা বলেছিলাম শুধু আমাদের মাথায় আঘাত করা হয়নি, সবার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটা মানুষের অপমানের দায় নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম তারা শপথ নেবে। আর তারা এদেশকে আর জ্বালা-যন্ত্রণা দিবে না। কিন্তু কয়লা ধু্ইলেও ময়লা যায় না। এটা সাবান দিয়ে ধুইলে আরও কালো হয়। আমরা সাবান দিয়ে ধুইতেছি, আর তারা আরও কালো হচ্ছে। তারা নিজেরো শান্তিতে নেই, দেশকেও শান্তিতে থাকতে দেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যাদেরকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলুক এ ধরনের রাজনীতি চায় কী না, হাসপাতালে পঙ্গুত্ববরণ করে যারা বেঁচে আছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুক তারা কী চায়, তাহলে জবাব পাওয়া যাবে।’
মানুষ এখন স্বস্তিতে আছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন রাতে ঘুমাতে পারছে, রাত জেগে আর দুর্বৃত্তদের পাহারা দিতে হচ্ছে না। দেশে রক্তের হুলি খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ক্ষমতা থেকে সরে গেলে বিরোধী শক্তিরা দুইদিনের মধ্যে ৫ লাখ মানুষকে খুন করবে। কিন্তু বাংলার মানুষ প্রমাণ করেছে তারা আওয়ামী লীগের মতো কোনো দুর্বৃত্ত না, পাষণ্ডও না।
জামায়াতে ইসলামীর সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর আমির ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, মৌলভীবাজার জেলা আমির শাহেদ আলী প্রমুখ।
শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের মাঠিতে আর কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। আর কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করা হবে না।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেট মহানগরীর সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে কর্মী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘জনগণের ভালোবাসা পেলে এমন একটি দেশ গড়বো যেখানে কেউ চাঁদাবাজি করবে না, চাঁদাবাজি বরদাশত করবে না। দেশের এক ইঞ্চি মাটির উপর কারও দখলবাজি চলবে না, চলতে দেওয়াও হবে না। কোনো অফিসে বসে কেউ ঘুষ খাওয়ার প্রয়োজন অনুভব করবে না আর করতে দেওযা হবে না। নারী-পুরুষকে সমান মর্যাদা ও নিরাপত্তা দেবে। কুরআনের ভিত্তিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও গর্ব এবং ইজ্জতের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সেই স্বপ্নের দেশ গড়বো। যেই দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা কোথাও পাহারা দেওয়া লাগবে না। বরং ঘরে বাইরে এবং সামাজিক ও পেশাগত কাজে একজন নাগরিক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ভোগ করবে। এটা আমরাই নিশ্চিত করবো।’
দীর্ঘ ১৫ বছর পর নিজ এলাকায় খোলা মাঠে আয়োজিত বিশাল কর্মীসভায় ডা. শফিকুর আরও বলেন, যেদিন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে ধংস করার জন্য নেতাদের মাথায় তলোয়ার চালাতে শুরু করলো, আমরা সেদিন বন্ধুদের বলেছিলাম-আমাদের বিরুদ্ধে সরকার অন্যায়ভাবে যুদ্ধ শুরু করেছে। আসুন আমরা একসঙ্গে সেই যুদ্ধের মোকাবিলা করি। তাহলে আর কাউকে আঘাত করার সাহস পাবে না। দেশ বাঁচবে, আপনারাও বাঁচবেন, আমরাও বাঁচবো। সেদিন আমাদের এই আওয়াজ সকলের কাছে পৌছায়নি অথবা তারা উপলব্দি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। যার মাশুল সাড়ে ১৫ বছর এই জাতিকে দিতে হয়েছে। আমরা বলেছিলাম শুধু আমাদের মাথায় আঘাত করা হয়নি, সবার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটা মানুষের অপমানের দায় নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম তারা শপথ নেবে। আর তারা এদেশকে আর জ্বালা-যন্ত্রণা দিবে না। কিন্তু কয়লা ধু্ইলেও ময়লা যায় না। এটা সাবান দিয়ে ধুইলে আরও কালো হয়। আমরা সাবান দিয়ে ধুইতেছি, আর তারা আরও কালো হচ্ছে। তারা নিজেরো শান্তিতে নেই, দেশকেও শান্তিতে থাকতে দেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যাদেরকে খুন করেছে তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলুক এ ধরনের রাজনীতি চায় কী না, হাসপাতালে পঙ্গুত্ববরণ করে যারা বেঁচে আছে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুক তারা কী চায়, তাহলে জবাব পাওয়া যাবে।’
মানুষ এখন স্বস্তিতে আছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন রাতে ঘুমাতে পারছে, রাত জেগে আর দুর্বৃত্তদের পাহারা দিতে হচ্ছে না। দেশে রক্তের হুলি খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন ক্ষমতা থেকে সরে গেলে বিরোধী শক্তিরা দুইদিনের মধ্যে ৫ লাখ মানুষকে খুন করবে। কিন্তু বাংলার মানুষ প্রমাণ করেছে তারা আওয়ামী লীগের মতো কোনো দুর্বৃত্ত না, পাষণ্ডও না।
জামায়াতে ইসলামীর সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা উত্তর জামায়াতের আমির সেলিম উদ্দিন, সিলেট মহানগর আমির ফখরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ফজলুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, মৌলভীবাজার জেলা আমির শাহেদ আলী প্রমুখ।