আদালত বলছে: অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান নেই
ঢাকার রমনা মডেল থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৭৩ জন নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৬ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম বুধবার এ রায় দেন।
অব্যাহতি পাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
আদালতের রায় ঘোষণার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী জানান, “মামলায় অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান ছিল না। ফলে আদালত সকল আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন।”
২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজিরা শেষে বাসায় ফেরার সময় শাহবাগ থানার পরীবাগ এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহিবুল্লাহ নাশকতার অভিযোগ এনে রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ডিবির রমনা জোনাল টিমের এসআই মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম খাঁন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১৭৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি প্রায় ছয় বছর ধরে চলমান ছিল। এ সময় বিচার কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে আদালত শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের মতো উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
আদালতের রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, “মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং এটি গঠনমূলক বিচার থেকে দূরে ছিল।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মামলাটি সমাপ্ত হলো। বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে এই রায়কে ‘ন্যায়বিচার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই রায় দেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক পরিবেশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
আদালত বলছে: অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান নেই
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকার রমনা মডেল থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৭৩ জন নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৬ এর বিচারক শিহাবুল ইসলাম বুধবার এ রায় দেন।
অব্যাহতি পাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
আদালতের রায় ঘোষণার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী জানান, “মামলায় অভিযোগ গঠনের মতো কোনো উপাদান ছিল না। ফলে আদালত সকল আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন।”
২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে হাজিরা শেষে বাসায় ফেরার সময় শাহবাগ থানার পরীবাগ এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহিবুল্লাহ নাশকতার অভিযোগ এনে রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি ডিবির রমনা জোনাল টিমের এসআই মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম খাঁন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ১৭৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি প্রায় ছয় বছর ধরে চলমান ছিল। এ সময় বিচার কার্যক্রমে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে আদালত শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের মতো উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
আদালতের রায়ের পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, “মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং এটি গঠনমূলক বিচার থেকে দূরে ছিল।”
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মামলাটি সমাপ্ত হলো। বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে এই রায়কে ‘ন্যায়বিচার’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই রায় দেশের রাজনৈতিক ও বিচারিক পরিবেশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।