বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, "২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার ঘটনার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল, তা ম্লান হয়ে যায়। এরপর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি কালো অধ্যায় পার করেছে। এ সময়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ পায়ের তলায় পিষ্ট হয়েছে।"
আজ শুক্রবার গাজীপুর জেলার ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর জেলা আমীর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. মো. সামিউল হক ফারুকী, এবং অন্যান্য জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, বিগত ১৮ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণতন্ত্রকে নিস্তেজ করে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, "২০০৬ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠার মাধ্যমে আমাদের নেতাদের হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই গুম, খুন, রিমান্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে জনগণকে দমন করা হয়েছে। এসময় অর্থনীতি লুটপাটের শিকার হয়েছে, বিচারব্যবস্থায় ছিল রাজনৈতিক প্রভাব, আর সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।"
তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজানো বিচারের অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, "আমাদের নেতাদের মিথ্যা মামলা ও সাজানো ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। অথচ আজ সেই ট্রাইব্যুনালেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।"
গোলাম পরওয়ার আরও দাবি করেন, "শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন এবং সেখান থেকেই ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।"
জুলাই বিপ্লবের আত্মত্যাগ স্মরণ করে তিনি বলেন, "আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। এ ঋণ শোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে একটি নতুন, ইনসাফপূর্ণ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন।"
তিনি সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।"
কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা বলেন, তারা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে বদ্ধপরিকর।
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, "২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার ঘটনার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল, তা ম্লান হয়ে যায়। এরপর থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ একটি কালো অধ্যায় পার করেছে। এ সময়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ পায়ের তলায় পিষ্ট হয়েছে।"
আজ শুক্রবার গাজীপুর জেলার ভবানীপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর জেলা আমীর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ড. মো. সামিউল হক ফারুকী, এবং অন্যান্য জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।
গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, বিগত ১৮ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণতন্ত্রকে নিস্তেজ করে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, "২০০৬ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠার মাধ্যমে আমাদের নেতাদের হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই গুম, খুন, রিমান্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে জনগণকে দমন করা হয়েছে। এসময় অর্থনীতি লুটপাটের শিকার হয়েছে, বিচারব্যবস্থায় ছিল রাজনৈতিক প্রভাব, আর সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।"
তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সাজানো বিচারের অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, "আমাদের নেতাদের মিথ্যা মামলা ও সাজানো ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। অথচ আজ সেই ট্রাইব্যুনালেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।"
গোলাম পরওয়ার আরও দাবি করেন, "শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন এবং সেখান থেকেই ষড়যন্ত্র করছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ফেরত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।"
জুলাই বিপ্লবের আত্মত্যাগ স্মরণ করে তিনি বলেন, "আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। এ ঋণ শোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে একটি নতুন, ইনসাফপূর্ণ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন।"
তিনি সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।"
কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা বলেন, তারা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে বদ্ধপরিকর।