চা শিল্পে উন্নয়ন না হওয়ার জন্য রাজনীতিকে দায়ী নাগরিক নেতারা
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা চা বাগান মাঠে রোববার বিকেলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তারা চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চাকরির নিশ্চয়তা এবং সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের দাবি তুলে ধরেন।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “চা শ্রমিক বোনদের দুরবস্থা উন্নয়নের অভাবে হয়েছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তাদের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের নিয়ে রাজনীতি হলেও বাস্তবে উন্নয়নের জন্য কেউ কাজ করেনি।”
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্য কোনো অঞ্চলের শ্রমিকদের উন্নয়নে তার নজর ছিল না।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “আগামী নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন হবে। নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির মাধ্যমে আমরা চা শ্রমিকদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করব।”
কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ বলেন, “ন্যাশনাল টি কোম্পানিকে পুনর্গঠন করে চা বাগানগুলোকে রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় লুটপাটের ফলে চা শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষণ এবং শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ চা শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু দলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী। তিনি বলেন, “চা শ্রমিকদের উন্নয়নে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তাদের বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।”
চা শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, নারী নেত্রী গীতা কানু এবং চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব, এবং কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের উন্নয়ন এবং চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা। বক্তারা আরও বলেন, “চা শ্রমিকদের অধিকারের জন্য রাজনীতি নয়, তাদের উন্নয়নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।”
সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। তারা চা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
চা শিল্পে উন্নয়ন না হওয়ার জন্য রাজনীতিকে দায়ী নাগরিক নেতারা
রোববার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমা চা বাগান মাঠে রোববার বিকেলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন নিয়ে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তারা চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চাকরির নিশ্চয়তা এবং সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের দাবি তুলে ধরেন।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, “চা শ্রমিক বোনদের দুরবস্থা উন্নয়নের অভাবে হয়েছে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তাদের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের নিয়ে রাজনীতি হলেও বাস্তবে উন্নয়নের জন্য কেউ কাজ করেনি।”
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্য কোনো অঞ্চলের শ্রমিকদের উন্নয়নে তার নজর ছিল না।”
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “আগামী নির্বাচন গণপরিষদ নির্বাচন হবে। নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান তৈরির মাধ্যমে আমরা চা শ্রমিকদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করব।”
কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ বলেন, “ন্যাশনাল টি কোম্পানিকে পুনর্গঠন করে চা বাগানগুলোকে রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে হবে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় লুটপাটের ফলে চা শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষণ এবং শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ চা শ্রমিকদের মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু দলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী। তিনি বলেন, “চা শ্রমিকদের উন্নয়নে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তাদের বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি।”
চা শ্রমিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, নারী নেত্রী গীতা কানু এবং চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব, এবং কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের উন্নয়ন এবং চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বক্তারা। বক্তারা আরও বলেন, “চা শ্রমিকদের অধিকারের জন্য রাজনীতি নয়, তাদের উন্নয়নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রয়োজন।”
সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্থানে প্রচারপত্র বিতরণ করেন। তারা চা শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।