সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সংকট তৈরি করবে এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার সকালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন, তাই তাদের নেওয়া এই ধরনের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে সমস্যা তৈরি করবে। একই সময়ে মহার্ঘ ভাতা চালু করলে তা মূল্যস্ফীতি বাড়াবে, কিন্তু সাধারণ মানুষের আয় বাড়ছে না। তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে এটি খুব জরুরি ছিল না।

সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকার গঠনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা থেকে উত্তরণের জন্য জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রয়োজন। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ সরকার থাকলে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করা হতো। তাই বিএনপি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিচ্ছে।

গত ডিসেম্বরেই মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের জন্য অর্থ বিভাগ সাত সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে। প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়াকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই কমিটিতে রয়েছেন অর্থ সচিব, লেজিসলেটিভ সচিব, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিব।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান ১৫ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের জানান, মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত এবং এই বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করবে। সরকার পেনশনভোগীসহ সব সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালু করবে বলেও তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।