বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, সামনের নির্বাচন সহজ ভাবার কোনো কারণ নেই। তিনি বলছেন, আত্মতুষ্টিতে ভুগলে দল ও দেশের জন্য বড় বিপদ আসতে পারে, কারণ "জনগণ সঙ্গী না হলে পস্তাতে হবে"।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই সতর্কবার্তা দেন। সভাটি রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালেই শেরে বাংলা নগরে শহীদ জিয়ার কবরের সামনে পুস্পমাল্য অর্পণ করে নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, "আমি গত কয়েক মাস ধরেই বলছি, সামনের নির্বাচন এত সহজ নয়, যতটা আপনারা ভাবছেন। জনগণ আমাদের শক্তি, জনগণ আমাদের সমর্থন, জনগণ আমাদের শক্তি। জনগণ ছাড়া কিছুই হবে না। ৫ আগস্ট আমাদের ভুল শেখায় দিয়েছে, জনগণ আবারও আমাদের বুঝিয়ে দিবে। যদি আমরা ভুল করি, তখন পস্তাতে হবে। তখন হায় হুতাশ করতে হবে।"
তারেক রহমান আরও বলেন, "আমাদের যদি ভুল কিছু হয় যা দলের ক্ষতি করে, আমরা তা মেনে নেব না। এমন কিছু ঘটলে, আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব, প্রতিরোধ গড়ব। আমরা যদি শহীদ জিয়াকে সত্যিকারের সম্মান দিতে চাই, তবে আমাদের কাজ হবে জনগণের পাশে থাকা, তাদের সমর্থন অর্জন করা।"
তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতি গুরুত্ব দেন, "আমাদের ছোট নেতা, বড় নেতা, ইউনিয়নের নেতা, কেন্দ্রীয় নেতা এসব কথা নয়, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে জনগণের পাশে থাকতে হবে।"
তারেক রহমান বলেন, "বিএনপি যদি জনগণের পাশে থাকে, যদি জনগণের সমর্থন পায়, তবে আমরা কখনোই পেছনে ফিরে যাব না। এটা নিশ্চিত।"
‘মোটরসাইকেল ওয়ালাদের’ সাথে বিএনপির নাম জড়িয়ে যেসব রাজনৈতিক দল কথা বলছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "যত বড় নেতা আমরা হই না কেন, জনগণ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমাদের বিপদ হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের বিপক্ষে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের সবার মধ্যে সতর্কতা থাকতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে আমাদের সামনে সময় আছে, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। আমাদের উচিত মানুষের চাওয়া অনুযায়ী কাজ করা, কারণ, দিনশেষে, আমাদের সবার লক্ষ্য একটি, সেটা হলো জনগণের আস্থা অর্জন করা।"
সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কবি আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সভায় বক্তব্য রাখেন।
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, সামনের নির্বাচন সহজ ভাবার কোনো কারণ নেই। তিনি বলছেন, আত্মতুষ্টিতে ভুগলে দল ও দেশের জন্য বড় বিপদ আসতে পারে, কারণ "জনগণ সঙ্গী না হলে পস্তাতে হবে"।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই সতর্কবার্তা দেন। সভাটি রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালেই শেরে বাংলা নগরে শহীদ জিয়ার কবরের সামনে পুস্পমাল্য অর্পণ করে নেতাকর্মীরা।
তিনি বলেন, "আমি গত কয়েক মাস ধরেই বলছি, সামনের নির্বাচন এত সহজ নয়, যতটা আপনারা ভাবছেন। জনগণ আমাদের শক্তি, জনগণ আমাদের সমর্থন, জনগণ আমাদের শক্তি। জনগণ ছাড়া কিছুই হবে না। ৫ আগস্ট আমাদের ভুল শেখায় দিয়েছে, জনগণ আবারও আমাদের বুঝিয়ে দিবে। যদি আমরা ভুল করি, তখন পস্তাতে হবে। তখন হায় হুতাশ করতে হবে।"
তারেক রহমান আরও বলেন, "আমাদের যদি ভুল কিছু হয় যা দলের ক্ষতি করে, আমরা তা মেনে নেব না। এমন কিছু ঘটলে, আমরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলব, প্রতিরোধ গড়ব। আমরা যদি শহীদ জিয়াকে সত্যিকারের সম্মান দিতে চাই, তবে আমাদের কাজ হবে জনগণের পাশে থাকা, তাদের সমর্থন অর্জন করা।"
তিনি ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতি গুরুত্ব দেন, "আমাদের ছোট নেতা, বড় নেতা, ইউনিয়নের নেতা, কেন্দ্রীয় নেতা এসব কথা নয়, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে জনগণের পাশে থাকতে হবে।"
তারেক রহমান বলেন, "বিএনপি যদি জনগণের পাশে থাকে, যদি জনগণের সমর্থন পায়, তবে আমরা কখনোই পেছনে ফিরে যাব না। এটা নিশ্চিত।"
‘মোটরসাইকেল ওয়ালাদের’ সাথে বিএনপির নাম জড়িয়ে যেসব রাজনৈতিক দল কথা বলছেন তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "যত বড় নেতা আমরা হই না কেন, জনগণ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমাদের বিপদ হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের বিপক্ষে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের সবার মধ্যে সতর্কতা থাকতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে আমাদের সামনে সময় আছে, জনগণের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। আমাদের উচিত মানুষের চাওয়া অনুযায়ী কাজ করা, কারণ, দিনশেষে, আমাদের সবার লক্ষ্য একটি, সেটা হলো জনগণের আস্থা অর্জন করা।"
সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, এবং যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কবি আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সভায় বক্তব্য রাখেন।