তাদের মধ্যে সখ্য তো দূরের কথা, বরং পরস্পর বিরোধী অবস্থানেই ছিলেন তারা। তবে, দুটি দলই ‘ইসলামপন্থি’। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জন্য এক মঞ্চে আসার আভাস দিলেন এই দুই দল-জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বরিশালে চরমোনাই মাদ্রাসা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। দুপুরে একসঙ্গে খেয়েছেন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আর সেখানেই এই দুই দলের দুই শীর্ষ নেতা পরিস্কার করে বললেন, ‘তারা আগামী নির্বাচন একসঙ্গে করতে চান।’
এই প্রথম জামাতের আমির চরমোনাই পীরের দরবারে গেলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা মূলত ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা দেখতে চাই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবো না। তাই যথাযথ সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে।’
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘জামায়াত ইসলামের আমিরসহ অন্য নেতারা চরমোনাইতে এসেছেন। আল্লাহ যেন আমাদের ইসলামের পক্ষে, দেশের পক্ষে ও মানবতার পক্ষে ভালো কাজ করার তৌফিক দান করেন। আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছর চলছে, কিন্তু এতদিন যারা দেশ পরিচালনা করেছিল তাদের দ্বারা আমাদের জাতির প্রত্যাশা বাস্তবায়িত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেন সবাই পরামর্শভিত্তিক এ দেশটাকে সুন্দরভাবে এবং ইসলামের পক্ষে মানবতার পক্ষে কাজ করতে পারি সে তৌফিক আল্লাহ আমাদের দান করুন।’
আর শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ জন নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বাকি ৯ ভাগের মধ্যে কিছু ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও কিছু নাস্তিকও থাকতে পারে। সব মিলিয়ে, এই বাংলাদেশ আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মিলনমেলা আল্লাহর জন্য। এই মিলন রাজনীতির মাঠেও থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। জনগণের প্রত্যাশা, নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইসলামী দলগুলোর যেন একটি বাক্স থাকে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন তা শেষ হলে নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগের সব ষড়যন্ত্র অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে।’
ইসলামী যুব আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি এইচ এম সানাউল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিতে দুই দল এত দিন পরস্পরবিরোধী থাকলেও এখন অনেক বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করছে। এটা দুই দলের ঐক্যের সূচনা পর্ব বলতে পারেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম জামায়াতের কোনো আমির চরমোনাই পীরের দরবারে এলেন এবং দলীয় প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিলেন।’
জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে সকালে বরিশাল আসেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। বিকেলে কর্মী সম্মেলনে যোগদানের আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বরিশাল সদরে চরমোনাই পীরের দরবারে যান। সেখানে তিনি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
তাদের মধ্যে সখ্য তো দূরের কথা, বরং পরস্পর বিরোধী অবস্থানেই ছিলেন তারা। তবে, দুটি দলই ‘ইসলামপন্থি’। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনের জন্য এক মঞ্চে আসার আভাস দিলেন এই দুই দল-জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বরিশালে চরমোনাই মাদ্রাসা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। দুপুরে একসঙ্গে খেয়েছেন। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আর সেখানেই এই দুই দলের দুই শীর্ষ নেতা পরিস্কার করে বললেন, ‘তারা আগামী নির্বাচন একসঙ্গে করতে চান।’
এই প্রথম জামাতের আমির চরমোনাই পীরের দরবারে গেলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা মূলত ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা দেখতে চাই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবো না। তাই যথাযথ সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে।’
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘জামায়াত ইসলামের আমিরসহ অন্য নেতারা চরমোনাইতে এসেছেন। আল্লাহ যেন আমাদের ইসলামের পক্ষে, দেশের পক্ষে ও মানবতার পক্ষে ভালো কাজ করার তৌফিক দান করেন। আজ স্বাধীনতার ৫৪ বছর চলছে, কিন্তু এতদিন যারা দেশ পরিচালনা করেছিল তাদের দ্বারা আমাদের জাতির প্রত্যাশা বাস্তবায়িত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেন সবাই পরামর্শভিত্তিক এ দেশটাকে সুন্দরভাবে এবং ইসলামের পক্ষে মানবতার পক্ষে কাজ করতে পারি সে তৌফিক আল্লাহ আমাদের দান করুন।’
আর শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ জন নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বাকি ৯ ভাগের মধ্যে কিছু ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও কিছু নাস্তিকও থাকতে পারে। সব মিলিয়ে, এই বাংলাদেশ আমাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মিলনমেলা আল্লাহর জন্য। এই মিলন রাজনীতির মাঠেও থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। জনগণের প্রত্যাশা, নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইসলামী দলগুলোর যেন একটি বাক্স থাকে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গ নিয়ে জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন তা শেষ হলে নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগের সব ষড়যন্ত্র অতীতে ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে।’
ইসলামী যুব আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি এইচ এম সানাউল্লাহ বলেন, ‘রাজনীতিতে দুই দল এত দিন পরস্পরবিরোধী থাকলেও এখন অনেক বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করছে। এটা দুই দলের ঐক্যের সূচনা পর্ব বলতে পারেন। এরই ধারাবাহিকতায় এই প্রথম জামায়াতের কোনো আমির চরমোনাই পীরের দরবারে এলেন এবং দলীয় প্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিলেন।’
জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে সকালে বরিশাল আসেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। বিকেলে কর্মী সম্মেলনে যোগদানের আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বরিশাল সদরে চরমোনাই পীরের দরবারে যান। সেখানে তিনি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।