রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় পুলিশের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়।
আজ শনিবার সূত্রাপুর থানায় স্থানীয় নাগরিক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে পুলিশ আয়োজিত এক সভায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সূত্রপাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামের সাথে ওই প্রতিষ্ঠানেরই সম্প্রতি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের একটি ছবি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি পাওয়া যায়। আর তা নিয়েই ঝামেলা।
জানা যায়, পুলিশ আয়োজিত নাগরিক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সভায় রিয়াজুলের একটি ছবি দেখিয়ে সে ছাত্রলীগ বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর এক পর্যায়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে পুলিশ রিয়াজুলকে ওসির অফিসে বসতে বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা থানায় আসতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ মীমাংসা করে দেয়।
মীমাংসা শেষে সাংবাদিকদের সামনে জবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ইতোপূর্বে সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে আমরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাদের সাথে একসাথে মিটিং করেছি। তাদের সাথে আমার পরিচয় আগে থেকেই ছিলো। আজ মিটিংয়ের শেষের দিকে, ৫টা ২০ বা ২২ মিনিটের দিকে জসিমসহ ৩ জন মিলে হামলা করার জন্য আমার দিকে এগিয়ে আসে। আর পিছনে ১৫-২০ জন চেয়ার ভাঙ্গা শুরু করে। সেসময় আমাকে পুলিশের একটি টিম ব্যারিকেড দিয়ে রক্ষা করে।’
তার আরও অভিযোগ, ‘সেসময়ের হামলার চেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কারণ তাদের সাথে আমার আগেও মিটিংয়ে সাক্ষাৎ ছিলো। আমি জবি ছাত্রদলের নেতাদের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু জবি ছাত্রদলের সাথে কথা না বলেই আমার উপর হামলার চেষ্টা করে।’
রিয়াজুল বলেন, ‘এই সমস্যাটার পর আমরা এখানে থানায় মিটিগেট করার চেষ্টা করেছি। যখন তারা এই সিচুয়েশন তৈরি করেছিলো তখন আমরা পিনপতন নীরবতা পালন করেছি। কারণ তখন আমরা কথা কাটাকাটি করলে সিচুয়েশন খারাপ হতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘যদিও এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে তবে আমরা এটাকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে ট্রিট করছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের আটকিয়ে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা আটক করে রাখে নাই। যখন তারা (ছাত্রদল) পরিস্থিতি খারাপ করতেছিলো, তখন পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আমাকে রক্ষা করেছিলো। যার ফলে তারা আমাকে অ্যাটাক করতে পারেনি।’
যে ছবি নিয়ে এই হট্টগোলের সূত্রপাত সে বিষয়ে রিয়াজুলের যুক্তি, ‘আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি। ফেব্রুয়ারিতে একুশের চেতনার একটা আয়োজনে ছাত্রলীগের নাম না থাকায় আমাদের গণিত বিভাগের একটি রুমে ৩ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে মার্চ মাসের আরেকটি বড় প্রোগ্রামে ছাত্রলীগকে দাওয়াত না দিয়ে প্রোগ্রাম করতে পারছি না। যার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে দাওয়াত দেওয়া হয় এবং সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রুমে সভাপতি ও সেক্রেটারির সাথে একটা ছবি তোলা হয় এবং ফেইসবুকে প্রচার করা হয় যেন অনুষ্ঠানটা সফল হয়।’
এ ঘটনায় মীমাংসার সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা তার শিবির সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জানতাম না। তার একটা ছবি আমাদের কাছে ছিলো যেটাতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলে। আমরা যাচাই না করেই তাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করি। পরবর্তীতে বাগবিতণ্ডা হয় তবে তাকে আটকে রাখার অভিযোগটি মিথ্যা। জবি ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা না বলে এমন ঘটনা তৈরি হওয়া ঠিক হয়নি। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এবিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ছবি দেখানোর পরেই ওখানে একটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। সেসময় অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, শিবিরের সেক্রেটারিকে আমার অফিসে বসতে বলি। পরে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।’
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় পুলিশের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়।
আজ শনিবার সূত্রাপুর থানায় স্থানীয় নাগরিক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে পুলিশ আয়োজিত এক সভায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সূত্রপাত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামের সাথে ওই প্রতিষ্ঠানেরই সম্প্রতি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের একটি ছবি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি পাওয়া যায়। আর তা নিয়েই ঝামেলা।
জানা যায়, পুলিশ আয়োজিত নাগরিক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। সভায় রিয়াজুলের একটি ছবি দেখিয়ে সে ছাত্রলীগ বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর এক পর্যায়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে পুলিশ রিয়াজুলকে ওসির অফিসে বসতে বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা থানায় আসতে শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশ মীমাংসা করে দেয়।
মীমাংসা শেষে সাংবাদিকদের সামনে জবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ইতোপূর্বে সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টারে আমরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাদের সাথে একসাথে মিটিং করেছি। তাদের সাথে আমার পরিচয় আগে থেকেই ছিলো। আজ মিটিংয়ের শেষের দিকে, ৫টা ২০ বা ২২ মিনিটের দিকে জসিমসহ ৩ জন মিলে হামলা করার জন্য আমার দিকে এগিয়ে আসে। আর পিছনে ১৫-২০ জন চেয়ার ভাঙ্গা শুরু করে। সেসময় আমাকে পুলিশের একটি টিম ব্যারিকেড দিয়ে রক্ষা করে।’
তার আরও অভিযোগ, ‘সেসময়ের হামলার চেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কারণ তাদের সাথে আমার আগেও মিটিংয়ে সাক্ষাৎ ছিলো। আমি জবি ছাত্রদলের নেতাদের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু জবি ছাত্রদলের সাথে কথা না বলেই আমার উপর হামলার চেষ্টা করে।’
রিয়াজুল বলেন, ‘এই সমস্যাটার পর আমরা এখানে থানায় মিটিগেট করার চেষ্টা করেছি। যখন তারা এই সিচুয়েশন তৈরি করেছিলো তখন আমরা পিনপতন নীরবতা পালন করেছি। কারণ তখন আমরা কথা কাটাকাটি করলে সিচুয়েশন খারাপ হতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘যদিও এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে তবে আমরা এটাকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে ট্রিট করছি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের আটকিয়ে রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা আটক করে রাখে নাই। যখন তারা (ছাত্রদল) পরিস্থিতি খারাপ করতেছিলো, তখন পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আমাকে রক্ষা করেছিলো। যার ফলে তারা আমাকে অ্যাটাক করতে পারেনি।’
যে ছবি নিয়ে এই হট্টগোলের সূত্রপাত সে বিষয়ে রিয়াজুলের যুক্তি, ‘আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম এবং বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছি। ফেব্রুয়ারিতে একুশের চেতনার একটা আয়োজনে ছাত্রলীগের নাম না থাকায় আমাদের গণিত বিভাগের একটি রুমে ৩ ঘন্টা আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে মার্চ মাসের আরেকটি বড় প্রোগ্রামে ছাত্রলীগকে দাওয়াত না দিয়ে প্রোগ্রাম করতে পারছি না। যার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে দাওয়াত দেওয়া হয় এবং সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রুমে সভাপতি ও সেক্রেটারির সাথে একটা ছবি তোলা হয় এবং ফেইসবুকে প্রচার করা হয় যেন অনুষ্ঠানটা সফল হয়।’
এ ঘটনায় মীমাংসার সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা তার শিবির সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জানতাম না। তার একটা ছবি আমাদের কাছে ছিলো যেটাতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলে। আমরা যাচাই না করেই তাকে এবিষয়ে প্রশ্ন করি। পরবর্তীতে বাগবিতণ্ডা হয় তবে তাকে আটকে রাখার অভিযোগটি মিথ্যা। জবি ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা না বলে এমন ঘটনা তৈরি হওয়া ঠিক হয়নি। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এবিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ছবি দেখানোর পরেই ওখানে একটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। সেসময় অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে, শিবিরের সেক্রেটারিকে আমার অফিসে বসতে বলি। পরে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।’