জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সঠিক পথে আনতে প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় আন্দোলন করতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সরকারকে আগস্টে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাবস্থা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিএনপি দ্রুত আন্দোলনে যাবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
বুধবার ২৯শে জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলে তিনি। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান : গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে সঠিক পথে আনতে কিছু উদ্যোগ নিবে বিএনপি।’ নয়তো নির্বাচন কেন বিলম্বিত হবে সরকারকে তার যৌক্তিকতা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
‘সব সরকারের মত অন্তর্বর্তী সরকারও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভুল করতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, ‘এই ভুল ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব এদেশের সাংবাদিক সমাজের যেমন আছে, রাজনৈতিক দল, গণতান্ত্রিক শক্তি ও সামাজিক শক্তিগুলোরও আছে। সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সরকারের ভুল শুধরিয়ে সঠিক রাস্তায় আনতে চাই।’ এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে, যাকে সরকার আন্দোলনও বলা যবে বলে জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যের বলেন, ‘এই সরকারের একটি ভালো গুণ আছে তা হচ্ছে, সরকার মাঝে-মধ্যে ভুল সিদ্ধান্ত নিলেও সমালোচনার মুখে সেই ভুলগুলো শোধরায়, গো ধরে বসে থাকে না। সরকার যখন ভুল শোধরায়, তখনই মনে করতে হবে এই সরকার জনগণের সরকার।’
তবে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য সরকার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলেও দাবি তার। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা জনগণই নির্ধারণ করবে।’ সরকার বা জনগণ সিদ্ধান্ত না নিলে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নিবন্ধিত দল হিসেবে তাদের (আওয়ামী লীগের) নির্বাচনে যাবার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক কিছু সংস্কার প্রস্তাবে আসেনি। আবার অনেক কিছু এসেছে, যা অবাস্তব। সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে একই প্যারায় মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান আনা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ আর গণঅভ্যুত্থান এক নয়।’ ৬ মাস পর কি কি সংস্কার হয়েছে আর কি কি হয়নি তা জনগনকে জানানোর দাবি জানান তিনি।
ছাত্রদের দল গঠনকে ইঙ্গিত করে সাবেক এই যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠন করতে হলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।’
বিজেএর সভাপতি পার্থ সারথি দাসের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাছির জামালসহ অনেকে।
বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে সঠিক পথে আনতে প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় আন্দোলন করতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সরকারকে আগস্টে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাবস্থা করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিএনপি দ্রুত আন্দোলনে যাবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
বুধবার ২৯শে জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলে তিনি। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান : গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারকে সঠিক পথে আনতে কিছু উদ্যোগ নিবে বিএনপি।’ নয়তো নির্বাচন কেন বিলম্বিত হবে সরকারকে তার যৌক্তিকতা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
‘সব সরকারের মত অন্তর্বর্তী সরকারও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ভুল করতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, ‘এই ভুল ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব এদেশের সাংবাদিক সমাজের যেমন আছে, রাজনৈতিক দল, গণতান্ত্রিক শক্তি ও সামাজিক শক্তিগুলোরও আছে। সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সরকারের ভুল শুধরিয়ে সঠিক রাস্তায় আনতে চাই।’ এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে, যাকে সরকার আন্দোলনও বলা যবে বলে জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্যের বলেন, ‘এই সরকারের একটি ভালো গুণ আছে তা হচ্ছে, সরকার মাঝে-মধ্যে ভুল সিদ্ধান্ত নিলেও সমালোচনার মুখে সেই ভুলগুলো শোধরায়, গো ধরে বসে থাকে না। সরকার যখন ভুল শোধরায়, তখনই মনে করতে হবে এই সরকার জনগণের সরকার।’
তবে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্য সরকার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলেও দাবি তার। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে পারবে কিনা তা জনগণই নির্ধারণ করবে।’ সরকার বা জনগণ সিদ্ধান্ত না নিলে বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নিবন্ধিত দল হিসেবে তাদের (আওয়ামী লীগের) নির্বাচনে যাবার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘অনেক কিছু সংস্কার প্রস্তাবে আসেনি। আবার অনেক কিছু এসেছে, যা অবাস্তব। সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবে একই প্যারায় মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান আনা হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ আর গণঅভ্যুত্থান এক নয়।’ ৬ মাস পর কি কি সংস্কার হয়েছে আর কি কি হয়নি তা জনগনকে জানানোর দাবি জানান তিনি।
ছাত্রদের দল গঠনকে ইঙ্গিত করে সাবেক এই যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠন করতে হলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।’
বিজেএর সভাপতি পার্থ সারথি দাসের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাছির জামালসহ অনেকে।