নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা:
এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ভোটার তালিকা আইন, সীমানা নির্ধারণ আইন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা, এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
সভায় মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রথমত, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে উপধারা ৩(জ)-এ যৌক্তিক বিবেচনায় ঘোষিত অথবা নির্ধারিত অন্য কোনো তারিখ সংযোজনের প্রস্তাব রয়েছে। এভাবে, আগামীতে জানুয়ারির প্রথম দিন ছাড়াও ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সুযোগ থাকবে।
দ্বিতীয়ত, সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এটি নির্ধারণ করবে নির্বাচনী এলাকার সীমানা, যাতে ‘যতদূর সম্ভব সংশ্লিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক অবস্থা, জনসংখ্যা এবং ভোটার সংখ্যা অনুযায়ী সামঞ্জস্য রাখা যায়’।
তৃতীয়ত, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ এবং গাইডলাইনস ফর ইন্টারন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভার অ্যান্ড ফরেন মিডিয়া পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই নীতিমালাগুলি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নির্দেশনা প্রদান করবে, যাতে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারেন।
সভায় প্রস্তাবিত জাতীয় নির্বাচনি পদক নীতিমালা, ২০২৫-এর উপরও আলোচনা হয়েছে। এই পদকটি জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার ক্ষেত্রে প্রদান করা হবে।
এছাড়াও, বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের শর্ত, পদ্ধতি এবং সীমাবদ্ধতা পর্যালোচনা করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
সভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণতন্ত্র বিশেষজ্ঞ মাইকেল লিডরের সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরামর্শ দেন। তিনি জানান, যদিও এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, তবে এটি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়া, তিনি ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধি ও যোগাযোগ সিস্টেম শক্তিশালী করার প্রস্তাব দেন।
এছাড়াও, কমিশনের পক্ষে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনার বিষয় ছিল ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রক্রিয়া। ইসি জানিয়েছে, যে কোনো সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পূর্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব হবে, যদি তা প্রাসঙ্গিক কারণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় হয়।
নির্বাচন কমিশন যে দীর্ঘদিন ধরে এই সব আইন ও বিধিমালার পর্যালোচনা করছে, তা এক্ষেত্রে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সবমিলিয়ে, নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এতে বৈঠকে আলোচনা করা বিষয়গুলো আগামী দিনের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর এবং সুষ্ঠু করার পথে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা:
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ভোটার তালিকা আইন, সীমানা নির্ধারণ আইন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা, এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
সভায় মূলত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আইন পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রথমত, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে উপধারা ৩(জ)-এ যৌক্তিক বিবেচনায় ঘোষিত অথবা নির্ধারিত অন্য কোনো তারিখ সংযোজনের প্রস্তাব রয়েছে। এভাবে, আগামীতে জানুয়ারির প্রথম দিন ছাড়াও ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সুযোগ থাকবে।
দ্বিতীয়ত, সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এটি নির্ধারণ করবে নির্বাচনী এলাকার সীমানা, যাতে ‘যতদূর সম্ভব সংশ্লিষ্ট এলাকার ভৌগোলিক অবস্থা, জনসংখ্যা এবং ভোটার সংখ্যা অনুযায়ী সামঞ্জস্য রাখা যায়’।
তৃতীয়ত, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা ২০২৩ এবং গাইডলাইনস ফর ইন্টারন্যাশনাল ইলেকশন অবজারভার অ্যান্ড ফরেন মিডিয়া পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই নীতিমালাগুলি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নির্দেশনা প্রদান করবে, যাতে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহায়তা করতে পারেন।
সভায় প্রস্তাবিত জাতীয় নির্বাচনি পদক নীতিমালা, ২০২৫-এর উপরও আলোচনা হয়েছে। এই পদকটি জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার ক্ষেত্রে প্রদান করা হবে।
এছাড়াও, বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমের শর্ত, পদ্ধতি এবং সীমাবদ্ধতা পর্যালোচনা করা হয়। এটি আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
সভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণতন্ত্র বিশেষজ্ঞ মাইকেল লিডরের সাথে এক বিশেষ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরামর্শ দেন। তিনি জানান, যদিও এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, তবে এটি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়া, তিনি ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন এবং সচেতনতা বৃদ্ধি ও যোগাযোগ সিস্টেম শক্তিশালী করার প্রস্তাব দেন।
এছাড়াও, কমিশনের পক্ষে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনার বিষয় ছিল ভোটার তালিকা হালনাগাদের প্রক্রিয়া। ইসি জানিয়েছে, যে কোনো সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পূর্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্ভব হবে, যদি তা প্রাসঙ্গিক কারণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় হয়।
নির্বাচন কমিশন যে দীর্ঘদিন ধরে এই সব আইন ও বিধিমালার পর্যালোচনা করছে, তা এক্ষেত্রে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সবমিলিয়ে, নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং এতে বৈঠকে আলোচনা করা বিষয়গুলো আগামী দিনের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরো কার্যকর এবং সুষ্ঠু করার পথে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।