বিএনপির উঠান বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতার উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক

রামগতি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ, শামীম আব্বাস সুমনের উপস্থিতি নিয়ে আলোচনা

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

https://sangbad.net.bd/images/2025/January/31Jan25/news/laxmipur-bnp-al-310125-01-1738322194.jpg

https://sangbad.net.bd/images/2025/January/31Jan25/news/laxmipur-bnp-al-310125-02-1738322208.jpg

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নে বিএনপির আয়োজিত একটি উঠান বৈঠকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আব্বাস সুমনের উপস্থিতি নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার এই বৈঠকে বিএনপির সহশিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আব্বাস সুমন যেভাবে বিএনপির মঞ্চে হাজির হয়েছেন, তা দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর অসন্তোষ তৈরি করেছে। আলেকজান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আব্বাস সুমনকে সেখানে দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এই ঘটনায় তাদের মধ্যে সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিএনপির এই উঠান বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিলো দলের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচি ও ৩১ দফা জনগণের কাছে তুলে ধরা। তবে শামীম আব্বাস সুমনের উপস্থিতি এই উদ্দেশ্যকে কিছুটা বাধাগ্রস্ত করেছে বলে মনে করছেন অনেক নেতাকর্মী। একাধিক বিএনপি নেতা বলেন, ‘‘এরা সুযোগ সন্ধানী, যারা নিজেদের স্বার্থে কিছুই করতে দ্বিধা করেন না। তাদের উপস্থিতি আমাদের জন্য অগ্রহণযোগ্য’’।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ জানান, ‘‘শামীম আব্বাস সুমন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। তিনি রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ৫১ নম্বর ক্রমিকে তার নাম রয়েছে।’’

তবে শামীম আব্বাস সুমন এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাটি এমপি সাহেবের কাছে জানানো হয়েছে। আমি এ নিয়ে কিছু বলব না।’’

রামগতি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের দলীয় বৈঠকে হঠাৎ শামীম আব্বাস সুমন ঢুকে পড়েন। তিনি আমাদের দলীয় কেউ নন, তাই আমাদের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’’

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে কল করা হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। এমনকি তার কাছে পাঠানো ক্ষুদে বার্তারও কোন উত্তর আসেনি।

এ ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলের সম্মান ও ভাবমূর্তি রক্ষায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন, এসব ঘটনা দলের ভিতরে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে এবং তাদের আন্দোলনের গতি মন্থর হতে পারে।

‘রাজনীতি’ : আরও খবর

» তারেক রহমানের দেশে ফেরা: ট্রাভেল পাস পেয়েছেন, নির্ধারিত তারিখে ফিরবেন বলে বিএনপি নিশ্চিত

» সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরেশোরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

সম্প্রতি