alt

চাঁদাবাজি আগের মতোই চলছে, সরকারের প্রতি আস্থা কমছে: সারজিস আলম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাজারে আগের মতোই চাঁদাবাজি চলছে, সিন্ডিকেটও রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেছেন, এতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের যে আশা-প্রত্যাশা ছিল, যে আস্থা তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। রোববার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তার আয়োজনে ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম : বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের অল্প কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রাজধানীর বড় বড় পাইকারি বাজারে এসে পণ্যের দাম শুধু কয়েক গুণ বেড়ে যায় চাঁদাবাজির কারণে। এসব চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট আবার নিয়ন্ত্রণ করে রাজনৈতিক দলগুলো। তাই বাজার ব্যবস্থায় সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা দরকার।’

পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সবারই কিছু না কিছু দায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলে নানাভাবে তাদের প্রভাব কাজে লাগান। তবে এখন সময় এসেছে, কার কী ভূমিকা ও কার কতটুকু দায়, তা নিয়ে সরাসরি কথা বলার। সেই সৎসাহস আমাদের সবার থাকা উচিত।’

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের একটা আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছিল ইঙ্গিত করে সারজিস আলম বলেন, ‘নানা ফোরামে ভালো ভালো অনেক কথা হয়। কিন্তু আমরা সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা দেখতে পাই না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের যে আশা বা প্রত্যাশা ছিল, সেটিও ধীরে ধীরে কমছে।’

বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে অনেক ভালো মানুষ আছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো মনে করছেন, দেশের সব মানুষ ভালো। অথবা তারা মনে করছেন, সবাই ভালো হয়ে যাবেন। কিন্তু এটি তো আসলে বাস্তবে সম্ভব নয়। বাজার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে নতুন ও বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য যে ধরনের আইনকানুনের প্রয়োগ দরকার, সে রকম খুব বেশি কিছু আমরা সরকারের দিক থেকে দেখতে পারছি না।’

নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বাজার ব্যবস্থা অনেকটা সমঝোতা ও সহযোগিতাপূর্ণ। বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে একে অপরের প্রতিযোগী হওয়ার কথা, সেটি না হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে টেরিটোরি বা সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছে। বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানই আমদানি বাণিজ্যের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘মাঝারি বা ছোট ছোট আমদানিকারক কোথা থেকে কী পরিমাণ আমদানি করবেন, সেটিও ঠিক করে দেন বড়রা। ফলে বাজার ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতার বদলে সমঝোতা বা সহযোগিতা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে কিছুসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে। এই ব্যবস্থার বদলে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।’

ছবি

ঢাকায় আজ জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোট প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো

ছবি

রাজশাহীতে এনসিপি নেত্রীর আকস্মিক পদত্যাগ

ছবি

জামায়াতসহ কয়েক দলের যুগপৎ আন্দোলনের জবাব রাজপথেই দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

ছবি

খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিনকে আহ্বায়ক করে এইবির নতুন কমিটি

ছবি

নাশকতার দুই মামলা থেকে ফখরুল ও আব্বাসসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি

ছবি

এখন কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

অভিন্ন দাবিতে তিন ইসলামী দলের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

যুগপতে পাঁচ দাবিতে জামায়াতের তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ সনাতন যোগ দিলেন জামায়াতে

ছবি

তারেকের নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বাবরের আলোচনা

ছবি

যুগপতে কারা থাকছে ঠিক হয়নি, তবে খেলাফতের কর্মসূচি ঘোষণা

জামায়াতের আযাদ: মুক্তিযুদ্ধ না মানলে ‘বাংলাদেশ অস্বীকার করা হবে’

ছবি

জুলাই সনদের গেরো: এবার আদালতের মত নিতে বলল বিএনপি

ছবি

‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরে রাজি বিএনপি, তবে আইনি ভিত্তি নিয়ে মতভেদ

ছবি

ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রশ্ন তুললেন রিজভী

ছবি

মৌলবাদীরা ‘বেহেশতের টিকেট’ বিক্রি করছে: বিএনপির গয়েশ্বর

ছবি

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের তিন দিনের কর্মসূচি

ছবি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবার তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

ছবি

রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে বাস্তুতন্ত্রও নিরাপদ থাকবে: তারেক রহমান

ছবি

সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে পশু-পাখি ও বাস্তুতন্ত্রের অধিকার নিশ্চিত হবে: তারেক রহমান

ছবি

বসুন্ধরায় গোপন বৈঠক: ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগ নেতার দোষ স্বীকার

ছবি

ঢাকার আগারগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

আওয়ামী লীগ লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে: মঈন খান

ছবি

ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তারেকের আহ্বান

ছবি

বাংলাদেশের সংবিধানে শ্রমিক, জনতার অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি: এনসিপি

ছবি

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মিন্টু

ছবি

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: বিএনপি

ছবি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে গাজীপুরে সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে ইসলামিক আন্দোলন

ছবি

নির্বাচনের আগে পরিবেশ সৃষ্টি জরুরি: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

ছবি

সংবিধান সংশোধন: মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে ভিন্নমত রাজনৈতিক দলগুলোর

ছবি

বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন হলে দেশের সংকট আরও বাড়বে: আনিসুল ইসলাম

ছবি

‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে কোনো কিছু চাপিয়ে দেবে না কমিশন: আলী রীয়াজ

ছবি

ডাকসু জয়ে ছাত্র শিবিরকে অভিনন্দন পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর

tab

চাঁদাবাজি আগের মতোই চলছে, সরকারের প্রতি আস্থা কমছে: সারজিস আলম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাজারে আগের মতোই চাঁদাবাজি চলছে, সিন্ডিকেটও রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেছেন, এতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের যে আশা-প্রত্যাশা ছিল, যে আস্থা তৈরি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। রোববার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে বণিক বার্তার আয়োজনে ‘খাদ্যপণ্যের যৌক্তিক দাম : বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা কাজ করতে গিয়ে নিজেদের অল্প কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, রাজধানীর বড় বড় পাইকারি বাজারে এসে পণ্যের দাম শুধু কয়েক গুণ বেড়ে যায় চাঁদাবাজির কারণে। এসব চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট আবার নিয়ন্ত্রণ করে রাজনৈতিক দলগুলো। তাই বাজার ব্যবস্থায় সুস্থ ধারা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা দরকার।’

পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সবারই কিছু না কিছু দায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেলে নানাভাবে তাদের প্রভাব কাজে লাগান। তবে এখন সময় এসেছে, কার কী ভূমিকা ও কার কতটুকু দায়, তা নিয়ে সরাসরি কথা বলার। সেই সৎসাহস আমাদের সবার থাকা উচিত।’

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের একটা আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছিল ইঙ্গিত করে সারজিস আলম বলেন, ‘নানা ফোরামে ভালো ভালো অনেক কথা হয়। কিন্তু আমরা সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব একটা দেখতে পাই না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের যে আশা বা প্রত্যাশা ছিল, সেটিও ধীরে ধীরে কমছে।’

বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদে অনেক ভালো মানুষ আছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো মনে করছেন, দেশের সব মানুষ ভালো। অথবা তারা মনে করছেন, সবাই ভালো হয়ে যাবেন। কিন্তু এটি তো আসলে বাস্তবে সম্ভব নয়। বাজার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন খাতে নতুন ও বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য যে ধরনের আইনকানুনের প্রয়োগ দরকার, সে রকম খুব বেশি কিছু আমরা সরকারের দিক থেকে দেখতে পারছি না।’

নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বাজার ব্যবস্থা অনেকটা সমঝোতা ও সহযোগিতাপূর্ণ। বড় বড় প্রতিষ্ঠান যেখানে একে অপরের প্রতিযোগী হওয়ার কথা, সেটি না হয়ে তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে টেরিটোরি বা সীমানা নির্ধারণ করে নিয়েছে। বড় বড় কিছু প্রতিষ্ঠানই আমদানি বাণিজ্যের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘মাঝারি বা ছোট ছোট আমদানিকারক কোথা থেকে কী পরিমাণ আমদানি করবেন, সেটিও ঠিক করে দেন বড়রা। ফলে বাজার ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতার বদলে সমঝোতা বা সহযোগিতা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে কিছুসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে। এই ব্যবস্থার বদলে বাজারে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার।’

back to top