দ্রুত সংস্কার শেষ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “সংস্কার সংস্কারের কথা বলে কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এটি কোনো ষড়যন্ত্র কিনা খেয়াল রাখতে হবে। সংস্কার দীর্ঘ হলে সমস্যা বাড়বে। আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দ্রুত সংস্কার শেষ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
বুধবার বিকেলে ফেনীর সোনাগাজী ছাবের সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে এক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধিদল উপজেলার চরচান্দিয়া গ্রামে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে নতুন বাড়ির চাবি হস্তান্তর করে। নিহত মোহাম্মদ মাসুদ ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি আড়াই বছর আগে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল, কারণ আমরা জানতাম স্বৈরাচারের একদিন পতন হবে। দেশের মানুষ রাজনৈতিক সরকার চায়।” দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “নতুন করে কিছু মানুষ আমাদের ভেতরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
জুলাই-অগাস্ট আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সে সময় দুই হাজার মানুষ নিহত, ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। প্রতিটি মানুষ প্রতিরোধ গড়েছিল। পালানোর আগে শেখ হাসিনা নির্বিচারে হত্যা চালিয়েছে। হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, জয়নাল আবেদীন ফারুক ও কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত।
বরকত উল্লাহ বুলু অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের ১৬ দিনের আন্দোলনে নয়, আমাদের ১৭ বছরের আন্দোলনে হাসিনা সরকার বিদায় নিয়েছে। ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দিন, না হলে আপনাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন গড়ে উঠবে।”
রুহুল কবির রিজভী জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে বলেন, “একটি দল ইসলামের নামে রাজনীতি করছে, অথচ শেখ হাসিনার আঁচল ধরে ক্ষমতায় গিয়েছিল। কারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তা দেশের মানুষ বোঝে।”
তিনি শেখ হাসিনার অনলাইন কার্যক্রমের বিষয়ে বলেন, “তিনি লাদেনের মতো গুহায় বসে হুমকি দিচ্ছেন, অনলাইনে হরতাল-অবরোধের ঘোষণা দিচ্ছেন। এতে নেতা-কর্মীদের মাঠে সরব রাখার চেষ্টা চলছে। লালমনিরহাটে সরকারি আমলারা লিফলেট বিতরণ করছে, যা অস্বাভাবিক।”
সমাবেশে ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ফেনীর ছয়, লক্ষ্মীপুরের ১৭ ও নোয়াখালীর ২২ পরিবারের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ খালেক, আকবর হোসেন, গাজি হাবিব উল্যাহ মানিক ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।
দ্রুত সংস্কার শেষ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “সংস্কার সংস্কারের কথা বলে কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এটি কোনো ষড়যন্ত্র কিনা খেয়াল রাখতে হবে। সংস্কার দীর্ঘ হলে সমস্যা বাড়বে। আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দ্রুত সংস্কার শেষ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
বুধবার বিকেলে ফেনীর সোনাগাজী ছাবের সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে এক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধিদল উপজেলার চরচান্দিয়া গ্রামে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুদের পরিবারকে নতুন বাড়ির চাবি হস্তান্তর করে। নিহত মোহাম্মদ মাসুদ ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
তারেক রহমান বলেন, “বিএনপি আড়াই বছর আগে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল, কারণ আমরা জানতাম স্বৈরাচারের একদিন পতন হবে। দেশের মানুষ রাজনৈতিক সরকার চায়।” দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “নতুন করে কিছু মানুষ আমাদের ভেতরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
জুলাই-অগাস্ট আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সে সময় দুই হাজার মানুষ নিহত, ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। প্রতিটি মানুষ প্রতিরোধ গড়েছিল। পালানোর আগে শেখ হাসিনা নির্বিচারে হত্যা চালিয়েছে। হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, জয়নাল আবেদীন ফারুক ও কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত।
বরকত উল্লাহ বুলু অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের ১৬ দিনের আন্দোলনে নয়, আমাদের ১৭ বছরের আন্দোলনে হাসিনা সরকার বিদায় নিয়েছে। ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দিন, না হলে আপনাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন গড়ে উঠবে।”
রুহুল কবির রিজভী জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে বলেন, “একটি দল ইসলামের নামে রাজনীতি করছে, অথচ শেখ হাসিনার আঁচল ধরে ক্ষমতায় গিয়েছিল। কারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তা দেশের মানুষ বোঝে।”
তিনি শেখ হাসিনার অনলাইন কার্যক্রমের বিষয়ে বলেন, “তিনি লাদেনের মতো গুহায় বসে হুমকি দিচ্ছেন, অনলাইনে হরতাল-অবরোধের ঘোষণা দিচ্ছেন। এতে নেতা-কর্মীদের মাঠে সরব রাখার চেষ্টা চলছে। লালমনিরহাটে সরকারি আমলারা লিফলেট বিতরণ করছে, যা অস্বাভাবিক।”
সমাবেশে ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ফেনীর ছয়, লক্ষ্মীপুরের ১৭ ও নোয়াখালীর ২২ পরিবারের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ খালেক, আকবর হোসেন, গাজি হাবিব উল্যাহ মানিক ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী।