জেলা আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মতোই লুটপাট ও দখলদার রাজনীতি করছে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামিমুল হাসান বলেন, “আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা যেমন দখলদারিত্ব করতেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারও তেমনই করছেন।"
তিনি আরও বলেন, "৫ আগস্টের পর রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, অথচ কুতুব-জাকির লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের মালিকানা নিয়ে নিয়েছেন। তদন্ত করেও দেখি, একটাও মিথ্যা বলছি না।”
পদবঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ, জেলা কমিটি ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতকারী ও অযোগ্যদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, “চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস, মাদক—সবকিছুতেই জড়িয়ে পড়েছে এই আহ্বায়ক কমিটি। আওয়ামী লীগের এজেন্টদের স্থান দেওয়া হচ্ছে, এমনকি প্রতি মাসে গৌতম চাকীর কাছ থেকে জেলা বিএনপির নামে দুই লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে।”
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, “কুতুব-জাকিরের কথা প্রশাসন শোনে, আমাদের কথা শোনে না। যত দিন জেলা কমিটি পরিবর্তন হবে না, তত দিন আন্দোলন চলবে।”
দাবি আদায়ে শিগগিরই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান পদবঞ্চিত নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মেজবাউর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ৩০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর এটি বাতিল করা হয়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক এবং জাকির হোসেন সরকারকে সদস্যসচিব করে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ৪ নভেম্বর ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়, যা নিয়েই মূলত পদবঞ্চিতদের ক্ষোভ।
কমিটি বাতিলের দাবিতে ১৭ নভেম্বর এনএস রোডে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। একই দাবিতে ৬ নভেম্বর বিক্ষোভ সমাবেশ করে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। ৮ জানুয়ারি তিন দিনের বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচিও পালন করেন তাঁরা।
জেলা আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মতোই লুটপাট ও দখলদার রাজনীতি করছে জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামিমুল হাসান বলেন, “আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা যেমন দখলদারিত্ব করতেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারও তেমনই করছেন।"
তিনি আরও বলেন, "৫ আগস্টের পর রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, অথচ কুতুব-জাকির লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের মালিকানা নিয়ে নিয়েছেন। তদন্ত করেও দেখি, একটাও মিথ্যা বলছি না।”
পদবঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ, জেলা কমিটি ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাতকারী ও অযোগ্যদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, “চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস, মাদক—সবকিছুতেই জড়িয়ে পড়েছে এই আহ্বায়ক কমিটি। আওয়ামী লীগের এজেন্টদের স্থান দেওয়া হচ্ছে, এমনকি প্রতি মাসে গৌতম চাকীর কাছ থেকে জেলা বিএনপির নামে দুই লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে।”
সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, “কুতুব-জাকিরের কথা প্রশাসন শোনে, আমাদের কথা শোনে না। যত দিন জেলা কমিটি পরিবর্তন হবে না, তত দিন আন্দোলন চলবে।”
দাবি আদায়ে শিগগিরই নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান পদবঞ্চিত নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ, জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মেজবাউর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলার অন্তত ৩০ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত ১২ সেপ্টেম্বর এটি বাতিল করা হয়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর কুতুব উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক এবং জাকির হোসেন সরকারকে সদস্যসচিব করে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ৪ নভেম্বর ৩১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়, যা নিয়েই মূলত পদবঞ্চিতদের ক্ষোভ।
কমিটি বাতিলের দাবিতে ১৭ নভেম্বর এনএস রোডে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। একই দাবিতে ৬ নভেম্বর বিক্ষোভ সমাবেশ করে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। ৮ জানুয়ারি তিন দিনের বিক্ষোভ ও অনশন কর্মসূচিও পালন করেন তাঁরা।