জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে চিৎকার-চেঁচামেচির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ তাকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ কেউ দাবি করছেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’ সারজিস আলমকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
তবে সারজিসের দাবি পরিকল্পিতভাবে বসুন্ধরায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে এতে ছাত্রদল নেতা জড়িত।
কী ঘটেছিল সেখানে?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ১০টার পর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামনে।
সারজিস আলম বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আসেন। তিনি সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শ খানেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আড্ডা দেন। রাত ১০টার পর হঠাৎ করে ১০-১২ জন তরুণ এসে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সারজিসের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে গিয়ে জানতে চান, কেন তারা চিৎকার করছেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
সারজিস আলম নিজেও এগিয়ে গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, "আপনাদের কারও চিৎকার করার দরকার নেই। দুই পক্ষই বাসায় যান।" এরপর তিনি গাড়িতে উঠে সেখান থেকে চলে আসেন। তবে তার চলে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদল নেতার সম্পৃক্ততার অভিযোগ
এ ঘটনায় নর্থ সাউথের সাবেক শিক্ষার্থী শাকিল নামে ছাত্রদলের একজন নেতা জড়িত বলে দাবি করেছেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, "উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরির জন্য এটা করা হয়েছে। তারা সর্বোচ্চ ১০-১২ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে তিন-চারজন বাদে বাকিরা শিক্ষার্থীও নন। অন্যদিকে, আমার সঙ্গে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক থেকে দেড় শ শিক্ষার্থী ছিলেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমি চলে আসার পর শুনলাম, সেখানে হাতাহাতি হয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিলো পরিস্থিতি ঘোলাটে করা। এ ঘটনায় ছাত্রদলের শাকিল নামে এক নেতা এতে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেন।"
ভিন্নমত ও বিতর্ক
বুধবার রাতে ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, "এনসিপিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার পর সারজিস আলম আজ (বুধবার) এসেছিলেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাঁর অনুসারীদের নিয়ে শোডাউন দিতে। এ খবর শুনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, এআইইউবি (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ), আইইউবির (ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ) সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে সারজিসের অনুসারীদের ওপর চড়াও হন। পরে সবার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে সারজিস তাঁর গাড়িতে উঠে বসুন্ধরা এলাকা থেকে চলে যান। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সারজিসকে বসুন্ধরা এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।"
তবে সারজিস আলমের অনুসারীদের দাবি, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা এবং ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী পরিকল্পিতভাবে এ বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন।
ঘটনাটি নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং দুই পক্ষের বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তিও রয়েছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে চিৎকার-চেঁচামেচির একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন তরুণ তাকে উদ্দেশ্য করে স্লোগান দিচ্ছেন। কেউ কেউ দাবি করছেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’ সারজিস আলমকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।
তবে সারজিসের দাবি পরিকল্পিতভাবে বসুন্ধরায় বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে এতে ছাত্রদল নেতা জড়িত।
কী ঘটেছিল সেখানে?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাত ১০টার পর, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সামনে।
সারজিস আলম বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আসেন। তিনি সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শ খানেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে আড্ডা দেন। রাত ১০টার পর হঠাৎ করে ১০-১২ জন তরুণ এসে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সারজিসের সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে গিয়ে জানতে চান, কেন তারা চিৎকার করছেন। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
সারজিস আলম নিজেও এগিয়ে গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, "আপনাদের কারও চিৎকার করার দরকার নেই। দুই পক্ষই বাসায় যান।" এরপর তিনি গাড়িতে উঠে সেখান থেকে চলে আসেন। তবে তার চলে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদল নেতার সম্পৃক্ততার অভিযোগ
এ ঘটনায় নর্থ সাউথের সাবেক শিক্ষার্থী শাকিল নামে ছাত্রদলের একজন নেতা জড়িত বলে দাবি করেছেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, "উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরির জন্য এটা করা হয়েছে। তারা সর্বোচ্চ ১০-১২ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে তিন-চারজন বাদে বাকিরা শিক্ষার্থীও নন। অন্যদিকে, আমার সঙ্গে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক থেকে দেড় শ শিক্ষার্থী ছিলেন।"
তিনি আরও বলেন, "আমি চলে আসার পর শুনলাম, সেখানে হাতাহাতি হয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের উদ্দেশ্য ছিলো পরিস্থিতি ঘোলাটে করা। এ ঘটনায় ছাত্রদলের শাকিল নামে এক নেতা এতে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেন।"
ভিন্নমত ও বিতর্ক
বুধবার রাতে ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, "এনসিপিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার পর সারজিস আলম আজ (বুধবার) এসেছিলেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তাঁর অনুসারীদের নিয়ে শোডাউন দিতে। এ খবর শুনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, এআইইউবি (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ), আইইউবির (ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ) সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে সারজিসের অনুসারীদের ওপর চড়াও হন। পরে সবার সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে সারজিস তাঁর গাড়িতে উঠে বসুন্ধরা এলাকা থেকে চলে যান। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা সারজিসকে বসুন্ধরা এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।"
তবে সারজিস আলমের অনুসারীদের দাবি, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘটনা এবং ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী পরিকল্পিতভাবে এ বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন।
ঘটনাটি নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং দুই পক্ষের বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তিও রয়েছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।