বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছেন।
সোমবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ১৫ বছরের আন্দোলনের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হলো জুলাই-অগাস্টের আন্দোলন। এ সময়ে অনেক নেতাকর্মী নিখোঁজ হয়েছেন, যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বিদায় নিয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, "আপনারা কেন এই আন্দোলনের মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরি করছেন? সব রক্তস্রোত তো একই মোহনায় গিয়ে মিলিত হয়েছে। এখন আপনাদের উচিত জনগণের কল্যাণে কাজ করা। চাল-ডালের ঊর্ধ্বগতির দিকে নজর দিন, সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখুন।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে রিজভী বলেন, "জনগণ বিশ্বাস করে, আপনার হাত ধরেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। কিন্তু গড়িমসি হলে পরিস্থিতি ভিন্ন মাত্রা নেবে।”
রিজভী আরও বলেন, এক উপদেষ্টা বলেছেন, ‘তোমরা যেভাবে আমাদের চালাচ্ছ, এভাবে পাঁচ বছর চললে দেশ আরও সুন্দর হবে।’ তার মানে কি গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রয়োজন নেই? তিনি উপদেষ্টাদের সতর্ক করে বলেন, “ছাত্রদের এ ধরনের বার্তা দেওয়া ঠিক নয়। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই সরকারের কাজ।”
সারাদেশে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নয়া পল্টন সড়কে মিছিল বের করা হয়।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, "ফ্যাসিস্ট শাসনামলে একের পর এক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কিন্তু বিচার হয়নি। এখন আমরা শান্তির প্রতীক ড. ইউনূসের কাছে আশাবাদী যে, দেশের মানুষ নিরাপদে থাকবে, মা-বোনেরা নিরাপদে থাকবে।”
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে হেলেন জেরিন খান, জেবা খানসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন এবং জুলাই-অগাস্টের গণআন্দোলনের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছেন।
সোমবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ১৫ বছরের আন্দোলনের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হলো জুলাই-অগাস্টের আন্দোলন। এ সময়ে অনেক নেতাকর্মী নিখোঁজ হয়েছেন, যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বিদায় নিয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, "আপনারা কেন এই আন্দোলনের মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরি করছেন? সব রক্তস্রোত তো একই মোহনায় গিয়ে মিলিত হয়েছে। এখন আপনাদের উচিত জনগণের কল্যাণে কাজ করা। চাল-ডালের ঊর্ধ্বগতির দিকে নজর দিন, সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখুন।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে রিজভী বলেন, "জনগণ বিশ্বাস করে, আপনার হাত ধরেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। কিন্তু গড়িমসি হলে পরিস্থিতি ভিন্ন মাত্রা নেবে।”
রিজভী আরও বলেন, এক উপদেষ্টা বলেছেন, ‘তোমরা যেভাবে আমাদের চালাচ্ছ, এভাবে পাঁচ বছর চললে দেশ আরও সুন্দর হবে।’ তার মানে কি গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রয়োজন নেই? তিনি উপদেষ্টাদের সতর্ক করে বলেন, “ছাত্রদের এ ধরনের বার্তা দেওয়া ঠিক নয়। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই সরকারের কাজ।”
সারাদেশে ধর্ষণকারীদের বিচারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নয়া পল্টন সড়কে মিছিল বের করা হয়।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, "ফ্যাসিস্ট শাসনামলে একের পর এক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কিন্তু বিচার হয়নি। এখন আমরা শান্তির প্রতীক ড. ইউনূসের কাছে আশাবাদী যে, দেশের মানুষ নিরাপদে থাকবে, মা-বোনেরা নিরাপদে থাকবে।”
মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে হেলেন জেরিন খান, জেবা খানসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।