alt

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনটি করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, “কেন গণবিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।” হাসনাত কাইয়ুম আরও বলেন, “রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী ইসি এ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এটি করা হয় বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে, যা সংশোধন করে আরও কঠোর করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার কমিশন এ বিধিমালা সংশোধন করে সহজ করার সুপারিশ করেছে। কিন্তু তার আগেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে; এটা ঠিক হয়নি।”

গত ১০ মার্চ নির্বাচন কমিশন এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “নতুন দল নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নতুন যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে চান, তারা আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে আমাদের কাছে আবেদন করতে পারবেন।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান আইন-বিধি অনুযায়ী ১০টি তথ্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। নিবন্ধন ফি হিসেবে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা, যা অফেরতযোগ্য। দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি, তহবিলের উৎস, দল নিবন্ধনের আবেদনকারীর ক্ষমতাপত্র, নিবন্ধন ফি বাবদ অফেরতযোগ্য ট্রেজারি চালানের কপি এবং নিবন্ধনের তিনটি শর্তের মধ্যে যে কোনো একটি পূরণের প্রমাণ জমা দিতে হবে।

নিবন্ধনের শর্ত সম্পর্কে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়। প্রথম শর্ত হলো, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগ্রহী দলটি যদি অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকেন। দ্বিতীয় শর্ত হলো, যে কোনো একটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী অংশ নেওয়া আসনগুলোতে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ পায়। তৃতীয় শর্ত হলো, দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকে। নতুন দলের নিবন্ধন পেতে তৃতীয় শর্তটি পূর্ণ করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শর্ত নতুন দলের পূরণের সুযোগ নেই।

২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন আইনি সংস্কার এনে নিবন্ধন প্রথা চালু করে। তাতে তিনটি নিবন্ধন শর্ত দেওয়া হয়। ভোটে নিবন্ধিত দলগুলোকেই অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।

ক্ষমতার পালাবদলের পর এক ডজনের বেশি নতুন দলের আবির্ভাব হয়েছে রাজনীতির মাঠে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৪টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরে শর্ত পূরণ না হওয়া, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

হাসনাত কাইয়ুম তার রিট আবেদনে উল্লেখ করেছেন, “গণবিজ্ঞপ্তিতে ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় কমিটি থাকার কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের শর্তের কারণে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে রাজনীতির বাইরে থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনের এই শর্তগুলো নতুন ও ছোট দলগুলোর জন্য বাধা সৃষ্টি করছে। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করছে।”

রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের রুল জারির আশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

ছবি

খালেদা জিয়ার আসনে এনসিপির চূড়ান্ত মনোনয়ন চান জোবায়ের

ছবি

বহিষ্কৃত ৪০ নেতার পদ ফিরিয়ে দিলো বিএনপি

নির্বাচনের অপেক্ষায় স্থবির দেশ, বিনিয়োগ ও পারিবারিক সিদ্ধান্তও থমকে গেছে: আমীর খসরু

ছবি

অর্থনীতি ও সংস্কার নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

ছবি

নির্বাচনের অপেক্ষায় স্থবির দেশ: আমীর খসরু

ছবি

ঢাকা থেকে নির্বাচনের ঘোষণা আসিফ মাহমুদের, বললেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তে পদত্যাগ’

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে থাকবে গণতন্ত্র মানবাধিকার ও ভোটাধিকার’

ছবি

‘আমেরিকা থেকে আসা শিক্ষিত লোকজন আমাদের ঘাড়ে গণভোট চাপাচ্ছে’ : মির্জা ফখরুল

ছবি

নিবন্ধন প্রশ্নে আমজনতার দলকে আইনসম্মত পথে আসার আহ্বান ইসি সচিবের

বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

বিএনপি থেকে ৫ শতাংশ শিক্ষককে মনোনয়ন দেয়ার দাবি

ছবি

নিবন্ধনের দাবিতে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনে আমজনতার সদস্য সচিব

ছবি

সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই: আমীর খসরু

ছবি

আগেই গণভোট, নইলে কঠোর আন্দোলন: জামায়াতসহ ৮ দলের হুঁশিয়ারি

ছবি

কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান

ছবি

বিএনপি বলছে, প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে ‘আলোচনায় রাজি’, তবে ‘রাজনৈতিক দল দিয়ে আহ্বান কেন?’

ছবি

জামালপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ যুবদলের বিরুদ্ধে

ছবি

বিএনপির আচরণে আওয়ামী লীগের ছায়া দেখছেন হামিদুর রহমান আযাদ

ছবি

বাংলাদেশে মানুষ সংঘর্ষ নয়, স্থিতিশীলতা চায়: আমীর খসরু

ছবি

৫ আগস্টের আগের স্বপ্ন ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি: নুরুল হক

ছবি

যতই চালাকি হোক, আগে গণভোট, তারপর সংসদ নির্বাচন: তাহের

নতুন নামে ‘ফ্যাসিবাদ’ কায়েমের পাঁয়তারা চলছে: মুশতাক

ছবি

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আ’লীগের ‘ডোনার খ্যাত’ আনিসুল হক!

ছবি

রংপুরের দুই আসনে এনসিপি ও জামায়াতের মর্যাদার লড়াই

ছবি

জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না: নাহিদ ইসলাম

ছবি

বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘে মোমেনের চিঠি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ ও গণভোট ইস্যুতে ফখরুলের কঠোর হুঁশিয়ারি

ছবি

শুক্রবার ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস’

ছবি

জাতীয়তাবাদী চেতনায় ঐক্যের আহ্বান বিএনপি নেতাদের

ছবি

আঙুল বাঁকা করার হুমকি জামায়াতের তাহেরের, কারণ ‘ঘি তাদের লাগবেই’

ছবি

গণতন্ত্রের পথ সরকারকেই সুগম করতে হবে, যশোরে মির্জা ফখরুল

ছবি

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট হতে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট দাবিতে প্রয়োজনে ‘আঙ্গুল বাঁকা’ করার হুঁশিয়ারি  : জামায়াত নেতৃত্ব

ছবি

৯ রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা , জাতীয় সনদ ও গণভোটে দূরত্ব ঘোচানোর উদ্যোগ

ছবি

৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতিতে এনসিপি, জোট না হলে সরাসরি লড়াই

ছবি

পদ ছেড়ে ‘ভোট করবেন’ অ্যাটর্নি জেনারেল, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ‘আশাবাদী’

tab

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এ আবেদনের শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনটি করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, “কেন গণবিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।” হাসনাত কাইয়ুম আরও বলেন, “রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী ইসি এ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এটি করা হয় বিগত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে, যা সংশোধন করে আরও কঠোর করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কার কমিশন এ বিধিমালা সংশোধন করে সহজ করার সুপারিশ করেছে। কিন্তু তার আগেই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে; এটা ঠিক হয়নি।”

গত ১০ মার্চ নির্বাচন কমিশন এ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “নতুন দল নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। নতুন যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত হতে চান, তারা আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে আমাদের কাছে আবেদন করতে পারবেন।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যমান আইন-বিধি অনুযায়ী ১০টি তথ্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। নিবন্ধন ফি হিসেবে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা, যা অফেরতযোগ্য। দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), দলের বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও দলীয় পতাকার ছবি, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সর্বশেষ স্থিতি, তহবিলের উৎস, দল নিবন্ধনের আবেদনকারীর ক্ষমতাপত্র, নিবন্ধন ফি বাবদ অফেরতযোগ্য ট্রেজারি চালানের কপি এবং নিবন্ধনের তিনটি শর্তের মধ্যে যে কোনো একটি পূরণের প্রমাণ জমা দিতে হবে।

নিবন্ধনের শর্ত সম্পর্কে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কমিশনের তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ হলে একটি দল নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত হয়। প্রথম শর্ত হলো, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের আগ্রহী দলটি যদি অন্তত একজন সংসদ সদস্য থাকেন। দ্বিতীয় শর্ত হলো, যে কোনো একটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী অংশ নেওয়া আসনগুলোতে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ পায়। তৃতীয় শর্ত হলো, দলটির যদি একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি এবং সদস্য হিসেবে অন্তত ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় প্রত্যেকটিতে কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত দলিল থাকে। নতুন দলের নিবন্ধন পেতে তৃতীয় শর্তটি পূর্ণ করতে হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শর্ত নতুন দলের পূরণের সুযোগ নেই।

২০০৮ সালে এটিএম শামসুল হুদা কমিশন আইনি সংস্কার এনে নিবন্ধন প্রথা চালু করে। তাতে তিনটি নিবন্ধন শর্ত দেওয়া হয়। ভোটে নিবন্ধিত দলগুলোকেই অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বাইরে অন্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হয়।

ক্ষমতার পালাবদলের পর এক ডজনের বেশি নতুন দলের আবির্ভাব হয়েছে রাজনীতির মাঠে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৪টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরে শর্ত পূরণ না হওয়া, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের (জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা) নিবন্ধন বাতিল করা হয়।

হাসনাত কাইয়ুম তার রিট আবেদনে উল্লেখ করেছেন, “গণবিজ্ঞপ্তিতে ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় কমিটি থাকার কথা বলা হয়েছে। এ ধরনের শর্তের কারণে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে রাজনীতির বাইরে থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনের এই শর্তগুলো নতুন ও ছোট দলগুলোর জন্য বাধা সৃষ্টি করছে। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করছে।”

রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্টের রুল জারির আশা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

back to top