অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটির দাবি, এই দুইজন সরকারে থাকলে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে রাশেদ খাঁন বলেন, “অভ্যুত্থানের কোনো পরিকল্পনায় ছাত্র উপদেষ্টা থাকার কথা ছিল না। অথচ শুরুতে দুইজন উপদেষ্টা নিযুক্ত করা হয়। এরপর মাহফুজ আলমকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে রাখা হয়। পরে তাকে দপ্তরবিহীন উপদেষ্টা এবং শেষ পর্যন্ত তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটি মূলত একটি কৌশল ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “তথ্য উপদেষ্টা সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু মাহফুজ আলম কখনো হেফাজত, কখনো জামায়াত, কখনো বিএনপি, আবার কখনো গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। তার কাজ কী অনৈক্য সৃষ্টি করা?”
ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা নাহিদ ইসলাম আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের কারণে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন। এরপর মাহফুজ আলমকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
গণঅধিকার পরিষদের দাবি, বর্তমান ছাত্র উপদেষ্টারা সরকারের প্রতি অনুগত এবং তাদের উপস্থিতি আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। রাশেদ খাঁন বলেন, “সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও তাদের সমর্থন করেছেন এবং তাদের কার্যক্রম উৎসাহিত করেছেন। ফলে এই ছাত্র উপদেষ্টারা থাকলে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।”
দলটির পক্ষ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়োগ বাতিলেরও দাবি তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিয়ে দল গঠন করায় মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। ফলে উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্রদের পদত্যাগ করতেই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ওয়াসার নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, এরকম আরও অনেক বিতর্কিত নিয়োগ রয়েছে। তাই সব ছাত্র প্রতিনিধিদের সরিয়ে দিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ ও শাকিল উজ্জামান।
গণঅধিকার পরিষদের এই দাবি সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া পায়, সেটি এখন দেখার বিষয়।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটির দাবি, এই দুইজন সরকারে থাকলে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে রাশেদ খাঁন বলেন, “অভ্যুত্থানের কোনো পরিকল্পনায় ছাত্র উপদেষ্টা থাকার কথা ছিল না। অথচ শুরুতে দুইজন উপদেষ্টা নিযুক্ত করা হয়। এরপর মাহফুজ আলমকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে রাখা হয়। পরে তাকে দপ্তরবিহীন উপদেষ্টা এবং শেষ পর্যন্ত তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটি মূলত একটি কৌশল ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “তথ্য উপদেষ্টা সরকারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু মাহফুজ আলম কখনো হেফাজত, কখনো জামায়াত, কখনো বিএনপি, আবার কখনো গণঅধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। তার কাজ কী অনৈক্য সৃষ্টি করা?”
ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা নাহিদ ইসলাম আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের কারণে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন। এরপর মাহফুজ আলমকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া স্থানীয় সরকার ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
গণঅধিকার পরিষদের দাবি, বর্তমান ছাত্র উপদেষ্টারা সরকারের প্রতি অনুগত এবং তাদের উপস্থিতি আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। রাশেদ খাঁন বলেন, “সরকারের প্রধান উপদেষ্টাও তাদের সমর্থন করেছেন এবং তাদের কার্যক্রম উৎসাহিত করেছেন। ফলে এই ছাত্র উপদেষ্টারা থাকলে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।”
দলটির পক্ষ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়োগ বাতিলেরও দাবি তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিয়ে দল গঠন করায় মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। ফলে উপদেষ্টা পরিষদে থাকা ছাত্রদের পদত্যাগ করতেই হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ওয়াসার নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে, এরকম আরও অনেক বিতর্কিত নিয়োগ রয়েছে। তাই সব ছাত্র প্রতিনিধিদের সরিয়ে দিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ ও শাকিল উজ্জামান।
গণঅধিকার পরিষদের এই দাবি সরকারের পক্ষ থেকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া পায়, সেটি এখন দেখার বিষয়।