বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে অস্ত্র মামলায় দেওয়া ১৭ বছরের দণ্ড বাতিল করে তাকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চ বাবরের আপিল গ্রহণ করে এই রায় দেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাবরকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়। পরদিন তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর ৩ জুন গুলশান থানার এসআই হেলাল উদ্দিন বাবরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ও ১৯(চ) ধারায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বাবরের বাসায় যৌথবাহিনী ও গুলশান থানা পুলিশের তল্লাশি অভিযানে রিভলভার, পিস্তল, রাইফেল ও শর্টগান জব্দ করা হয়। তবে তার স্ত্রী তিনটি অস্ত্রের লাইসেন্স দেখালেও রিভলবারের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।
২০০৭ সালের ২৩ জুন তদন্ত কর্মকর্তা বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর শুনানি শেষে ৩০ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইবুনাল-৯ অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় ১০ বছর এবং ১৯(চ) ধারায় ৭ বছর, মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাই কোর্ট বুধবার বাবরকে খালাস দেন।
বাবরের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. শিশির মনির। তিনি বলেন, যৌথবাহিনী গ্রেপ্তারের সাত দিন পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলা দায়ের করে। এজহারে একটি লালকালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলা হলেও জব্দ তালিকায় সেই ব্যাগের উল্লেখ ছিল না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিনের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও উপস্থাপনের আবেদন করা হলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। মামলায় নিরপেক্ষ সাক্ষী থাকলেও, তারা আদালতে জানান যে, তাদের সামনে কিছু জব্দ করা হয়নি, শুধু সই নেওয়া হয়েছে।
টানা ১৭ বছর কারাবাসের পর ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান লুৎফুজ্জামান বাবর।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাবরসহ সব আসামিকে ১ ডিসেম্বর খালাস দেয় হাই কোর্ট।
১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল এবং অস্ত্র আইনের পৃথক মামলায় হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে গত ১৮ ডিসেম্বর ও ১৪ জানুয়ারি হাই কোর্টের রায়ে তিনি এসব মামলাতেও খালাস পান।
লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসন থেকে ১৯৯১-১৯৯৬ ও ২০০১-২০০৬ সালে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে অস্ত্র মামলায় দেওয়া ১৭ বছরের দণ্ড বাতিল করে তাকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের দ্বৈত হাই কোর্ট বেঞ্চ বাবরের আপিল গ্রহণ করে এই রায় দেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বাবরকে তার বাসা থেকে আটক করা হয়। পরদিন তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর ৩ জুন গুলশান থানার এসআই হেলাল উদ্দিন বাবরের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ও ১৯(চ) ধারায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বাবরের বাসায় যৌথবাহিনী ও গুলশান থানা পুলিশের তল্লাশি অভিযানে রিভলভার, পিস্তল, রাইফেল ও শর্টগান জব্দ করা হয়। তবে তার স্ত্রী তিনটি অস্ত্রের লাইসেন্স দেখালেও রিভলবারের লাইসেন্স দেখাতে পারেননি।
২০০৭ সালের ২৩ জুন তদন্ত কর্মকর্তা বাবরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর শুনানি শেষে ৩০ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইবুনাল-৯ অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় ১০ বছর এবং ১৯(চ) ধারায় ৭ বছর, মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাই কোর্ট বুধবার বাবরকে খালাস দেন।
বাবরের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. শিশির মনির। তিনি বলেন, যৌথবাহিনী গ্রেপ্তারের সাত দিন পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই মামলা দায়ের করে। এজহারে একটি লালকালো ব্যাগ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের কথা বলা হলেও জব্দ তালিকায় সেই ব্যাগের উল্লেখ ছিল না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিনের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও উপস্থাপনের আবেদন করা হলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। মামলায় নিরপেক্ষ সাক্ষী থাকলেও, তারা আদালতে জানান যে, তাদের সামনে কিছু জব্দ করা হয়নি, শুধু সই নেওয়া হয়েছে।
টানা ১৭ বছর কারাবাসের পর ২০২৫ সালের ১৬ জানুয়ারি মুক্তি পান লুৎফুজ্জামান বাবর।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের সাজা থেকে খালাস পান তিনি। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বাবরসহ সব আসামিকে ১ ডিসেম্বর খালাস দেয় হাই কোর্ট।
১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল এবং অস্ত্র আইনের পৃথক মামলায় হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে গত ১৮ ডিসেম্বর ও ১৪ জানুয়ারি হাই কোর্টের রায়ে তিনি এসব মামলাতেও খালাস পান।
লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোণা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসন থেকে ১৯৯১-১৯৯৬ ও ২০০১-২০০৬ সালে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।