খুলনা নগরের শান্তিধাম মোড়ে ‘পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র’ ক্লাব দখল করে তৈরি করা গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয় উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় ‘ছাত্র-জনতা’। পুলিশের ভাষ্যমতে, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উচ্ছেদের সময় দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে ভবনটি ‘দখলমুক্ত’ করা হয় বলে জানান খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম।
ওসি বলেন, ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের মালিকানাধীন। গণ অধিকার পরিষদ এটি দখল করেছিল, যা এনসিপির নেতা-কর্মীরা দখলমুক্ত করতে আসে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে ভবনটি পুলিশের পাহারায় রয়েছে এবং পরে গণপূর্ত বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র ক্লাবটি ২০১০ সালে সরকারি অনুমোদন নিয়ে ওই ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছিল। তবে গত ২৭ জানুয়ারি গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে ভবনটি দখলে নেয় এবং নিজেদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু করে।
এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটি খুলনা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলামকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। এরপরও তিনি সেখানে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
রাশেদুল জানান, মঙ্গলবার রাতে কার্যালয়ের ভেতরে তারা তারাবি নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ কর্মীরা হামলা চালিয়ে আসবাব ভাঙচুর ও মারধর করে তাদের বের করে দেয়। এতে তিনিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও খুলনা জেলার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, ভবনটি সরকারি এবং সেখানে ক্লাব পরিচালিত হচ্ছিল। রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে দখল হওয়ায় স্থানীয় ‘ছাত্র-জনতা’ এটি দখলমুক্ত করতে আসে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
বাপ্পী আরও জানান, দখলমুক্ত করার কর্মসূচিতে সংগঠনটি সরাসরি যুক্ত না থাকলেও তাদের অনেক সদস্য শিক্ষার্থী হওয়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে অংশ নেন। তবে এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
খুলনা নগরের শান্তিধাম মোড়ে ‘পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র’ ক্লাব দখল করে তৈরি করা গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয় উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় ‘ছাত্র-জনতা’। পুলিশের ভাষ্যমতে, তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উচ্ছেদের সময় দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে ভবনটি ‘দখলমুক্ত’ করা হয় বলে জানান খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন মাসুম।
ওসি বলেন, ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের মালিকানাধীন। গণ অধিকার পরিষদ এটি দখল করেছিল, যা এনসিপির নেতা-কর্মীরা দখলমুক্ত করতে আসে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে ভবনটি পুলিশের পাহারায় রয়েছে এবং পরে গণপূর্ত বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, পঞ্চবীথি ক্রীড়াচক্র ক্লাবটি ২০১০ সালে সরকারি অনুমোদন নিয়ে ওই ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছিল। তবে গত ২৭ জানুয়ারি গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তালা ভেঙে ভবনটি দখলে নেয় এবং নিজেদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার শুরু করে।
এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটি খুলনা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলামকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। এরপরও তিনি সেখানে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
রাশেদুল জানান, মঙ্গলবার রাতে কার্যালয়ের ভেতরে তারা তারাবি নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ কর্মীরা হামলা চালিয়ে আসবাব ভাঙচুর ও মারধর করে তাদের বের করে দেয়। এতে তিনিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও খুলনা জেলার সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, ভবনটি সরকারি এবং সেখানে ক্লাব পরিচালিত হচ্ছিল। রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে দখল হওয়ায় স্থানীয় ‘ছাত্র-জনতা’ এটি দখলমুক্ত করতে আসে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
বাপ্পী আরও জানান, দখলমুক্ত করার কর্মসূচিতে সংগঠনটি সরাসরি যুক্ত না থাকলেও তাদের অনেক সদস্য শিক্ষার্থী হওয়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে অংশ নেন। তবে এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।