জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবনে কমিশনের কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এই প্রস্তাব হস্তান্তর করেন।
এ সময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন,
"জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। আমরা মনে করি, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করা হলে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব আরও ভারসাম্যপূর্ণ হবে। তাই আমাদের মতামতে এই বিষয়টির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে কিছু বিষয়ে আমাদের মতপার্থক্য থাকলেও, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সুপারিশ উপস্থাপন করেছি।"
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, "আমরা আশা করি, দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচনের পথ সুগম করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কার্যকর উদ্যোগ নেবে।"
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে। সংবিধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য ১১টি পৃথক কমিশন কাজ করছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনের সদস্যরা হলেন—
• জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী
• পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন
• নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার
• বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক
• দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান
কমিশন ইতোমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ জমা দিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর মতামত জানাতে ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৩ মার্চ ছিল মতামত জমা দেওয়ার শেষ দিন। তবে অর্ধেকের বেশি দল এখনও মতামত দেয়নি।
জামায়াতে ইসলামী অন্যতম প্রথম দল যারা তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। দলটি মনে করে, প্রচলিত একক আসনভিত্তিক ভোট ব্যবস্থা রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব সংকুচিত করে।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তাব জমা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবনে কমিশনের কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এই প্রস্তাব হস্তান্তর করেন।
এ সময় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন,
"জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে। আমরা মনে করি, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করা হলে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব আরও ভারসাম্যপূর্ণ হবে। তাই আমাদের মতামতে এই বিষয়টির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে কিছু বিষয়ে আমাদের মতপার্থক্য থাকলেও, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। আমরা বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সুপারিশ উপস্থাপন করেছি।"
জামায়াতের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, "আমরা আশা করি, দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচনের পথ সুগম করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কার্যকর উদ্যোগ নেবে।"
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে। সংবিধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য ১১টি পৃথক কমিশন কাজ করছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনের সদস্যরা হলেন—
• জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী
• পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন
• নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার
• বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক
• দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান
কমিশন ইতোমধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ সংস্কার বিষয়ে সুপারিশ জমা দিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর মতামত জানাতে ৩৮টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ১৩ মার্চ ছিল মতামত জমা দেওয়ার শেষ দিন। তবে অর্ধেকের বেশি দল এখনও মতামত দেয়নি।
জামায়াতে ইসলামী অন্যতম প্রথম দল যারা তাদের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। দলটি মনে করে, প্রচলিত একক আসনভিত্তিক ভোট ব্যবস্থা রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ছোট দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব সংকুচিত করে।